ব্রেকিং:
৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত সিদ্দিকী নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি না থাকলে সেটা কলঙ্কজনক হবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ প্রস্তুত বিজিবি
  • বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

১৮ হাজার ১৩২ সংস্থাকে ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে নিয়ে আসা হচ্ছে

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

সারাদেশে ১৮ হাজার ১৩২টি সরকারী সংস্থাকে ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসার কাজ চলছে। অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের মাধ্যমে এই নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হচ্ছে। সরকারী সংস্থা ও বেসরকারী সংস্থা একটি নেটওয়ার্ক মধ্যে থাকলে দেশের মানুষ সব জায়গা থেকেই সেবা নিতে পারবেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রাম ও শহরের বৈষম্য অনেকাংশে দূর হবে। ইতোমধ্যে ২ হাজার ৬শ’টি ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্রে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হয়েছে। ইউনিয়ন নেটওয়ার্কিংয়ের বড় একটি অংশ স্থাপন করছে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। বাকি অংশ দুটি বেসরকারী কোম্পানি স্থাপন করছে। নেটওয়ার্ক স্থাপন প্রকল্পের মাধ্যমে ‘বাংলা গভ নেট ও ইনফো সরকার’ প্রযুক্তি সেবার বিস্তার ঘটিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। সরকার ইতোমধ্যে ১৪ হাজার রকমের সেবা বিগডাটায় দিয়েছে। এখান থেকে সরকারের অনেক সেবা মানুষ নিতে পারছেন।

তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ জানিয়েছে, দেশের সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদফতর ও বেসরকারী সংস্থাগুলোকে এক নেটওয়ার্কের মধ্যে নিয়ে আসার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ বছরের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে। তখন দেশের শহর ও গ্রামের বৈষম্য দূর হবে। শহরের মানুষ আর গ্রামের মানুষ সমভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। ডিজিটাল সেবাগুলো সম্পর্কে ই-গভর্নেন্স ব্যবস্থায় এগিয়ে যেতে হলে দরকার সময় এবং অর্থের ব্যয় কমিয়ে আনা। তার জন্যই এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এর উদ্যোগে চালু করা হয়েছে একশপ, একপে এবং একসেবা। সরকারের সব সেবা একই প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসতে চায়। পর্যায়ক্রমে সরকারের ৩ হাজার সেবাকে একসঙ্গে নিয়ে আসা হবে। আগামী ২ বছরের মধ্যে ৪০ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরি করবে আইসিটি বিভাগ। স্কুল পর্যায়ে শিশু কিশোরদের প্রযুক্তি জ্ঞানে দক্ষ করতে ২০২১ সালের মধ্যে ৬৪টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ইউকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করবে আইসিটি বিভাগ। ‘ডিজিটাল মিউনিসিপ্যালিটি সার্ভিসেস সিস্টেম’ পাইলট প্রকল্পের অধীন পরীক্ষামূলকভাবে ইতোমধ্যে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন ও ৯টি পৌরসভা ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নাটোর, ঝিনাইদহ, টুঙ্গিপাড়া, পীরগঞ্জ, সিংড়া, তারাব ও রামগতিতে ‘ডিজিটাল অটোমেশন পদ্ধতিতে নাগরিক সেবা’ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ‘একসেবায়’ এখন পর্যন্ত ১৬২টি সরকারী সেবা চালু রয়েছে। এই সেবা পেতে নাগরিকদের ভিন্ন ভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বা ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইটেও যেতে হবে না। এক জায়গা থেকেই এসব সেবা পাওয়া যাবে। পর্যায়ক্রমে এতে আরও তিন হাজার সেবা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ‘একপে’ এর মাধ্যমে সরকারী বিভিন্ন ইউটিলিটি সেবার বিল ও অন্যান্য ফি এক জায়গা থেকেই দেয়া যাবে। আর ‘একশপ’ এর মাধ্যমে দেশের যে কোন জায়গা থেকে পণ্য উৎপাদক বা উদ্যোক্তারা ই-কমার্সে তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারবে।

সূত্র জানিয়েছে, বাংলা গভ নেট ও ইনফো সরকার প্রকল্পের আওতায় দেশের প্রায় সব উপজেলা ফাইবার অপটিক ক্যাবলে সংযুক্ত হয়েছে। ফলে দেশের ১৮ হাজার ১৩২ টি সরকারী সংস্থা অবিভক্ত নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসার কাজ চলছে। সচিবালয়ে উচ্চ গতির নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবার আওতায় এসেছে। দেয়া হয়েছে ওয়াইফাই সুবিধাও। ৭০ হাজার তরুণ তরুণীকে তথ্য প্রযুক্তি পেশাজীবী হিসেবে গড়ে তোলা হযেছে। এর মধ্যে ২০ হাজার জনকে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ, ১০ হাজার জনকে টপ আইটি প্রশিক্ষণ এবং সাড়ে চার হাজার জনকে ফাস্ট ট্র্যাক ফিউচার লিডার হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। হাইটেক পার্কের অন্তর্ভুক্ত ‘স্টিল এনহান্সমেন্ট’ কর্মসূচীর আওতায় ২ হাজার ৪৫০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া লার্নিং আর্নিং প্রকল্পের আওতায় আরও ২৬ হাজার জনকে ফ্রি ল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্রাপ্তদের কাছ থেকে আবার অন্যরা শিখবেন। এভাবে দেশে দক্ষ আইটি বিশেজ্ঞ গড়ে ওঠবে।

তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ জানিয়েছে, সারাদেশের সব মানুষকে একটি নাম্বারে নাগরিক সেবা সম্পর্কিত তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্যে ‘ন্যাশনাল কল সেন্টার’ তৈরি করা হয়েছে। সে সঙ্গে কোরিয়া সরকারের সহায়তায় আইসিটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সারাদেশের সব সরকারী প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটকে একটি অভিন্ন প্ল্যাটফর্মের আওতায় নিয়ে এসে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পাবলিক ওয়েবপোর্টাল ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ চালু করা হয়েছে। ঠিক একইভাবে একটি নাম্বারের মাধ্যমে নাগরিক সেবার নতুন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এটি সম্পন্ন করতে পারলে নাগরিক সুবিধা পাওয়া আরও সহজ হবে। দেশের সব নাগরিক এই সুবিধার আওতায় আসবে। ইন্টারনেট এখন মানুষের মৌলিক অধিকারের পর্যায়ে চলে গেছে। তাই শহর ও গ্রামের বৈষম্য দূর করতে ইন্টারনেট সুবিধা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কোন মানুষ যাতে ইন্টারনেটের বাইরে না থকেন তার জন্যই সরকার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।