ব্রেকিং:
ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  • শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সার্বিক দারিদ্র্যের হার হবে শূণ্য !!!

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০১৮  

২০০৭-০৮ সালে বৈশ্বিক মন্দা, অর্থনৈতিক শ্লথ ও সংকট পরবর্তী একটি কঠিন সময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বিগত সময়ে বিএনপি-জামাত জোটের দুঃশাসন এবং ১/১১ সরকারের জোরজবরদস্তি ও অবিমৃশ্যকারী পদক্ষেপের ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক বন্ধ্যাত্ব এবং দুই মেয়াদে ১০ বছর বিভিন্ন প্রতিকুলতাকে মোকাবিলা করে বর্তমানে উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে সাফল্য ও অর্জন করেছে, তা দেশের ইতিহাসে অনন্য এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বে অনুকরণীয় উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। সামষ্টিক অর্থনীতিতে এই ধারাকে অগ্রসর করে নেয়াই আগামী দিনগুলোর চ্যালেঞ্জ। আর এই বিষয়গুলো মাথায় রেখেই উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে যুগোপযোগী কৌশল দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আমাদের এবারের ইশতহারেই রয়েছে এ বিশদ পরিকল্পনা। তরুণদের কাজে লাগিয়ে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে নতুন শিল্পের বাজার তৈরি, ও দক্ষ জনবল তৈরির ক্ষেত্রে মনোযোগী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। গরীব, অসচ্ছল মানুষদের সচ্ছলতা এনে দিতে স্বাধীনতাকালীন সময় থেকেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বদ্ধ পরিকর। আগামী ৫ বছরে দারিদ্র্য বিমোচনে চলমান সকল পরিকল্পনা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি এগুলোকে আরো বড় পরিসরে নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ যাতে করে ২০২০ সালের মধ্যে দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৯ শতাংশে নেমে আসে। পাশাপাশি কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির আধুনিকায়ন ও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সম্প্রসারনেও নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।এই পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় হবে ৫৪৭৯ ডলারেরও বেশি। এই পরিকল্পনায় ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সার্বিক দারিদ্র্যের হার শূণ্য শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ তার নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লা-১০ (সদর দক্ষিণ, লালমাই ও নাঙ্গলকোট) এর মধ্যম বিজয়পুর, রতনপুর ও পিপুলিয়া এলাকায় পথসভায় এসব কথা বলেন।

 

 মাননীয়মন্ত্রী আরো বলেন, বেসরকারি খাতে নতুন মূলধন সৃষ্টির হার বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কৌশল ও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ২০৪১ সালের মধ্যে বিনিয়োগের হার জিডিপি’র ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। পর্যাপ্ত অবকাঠামো সেবা সরবরাহ করার মাধ্যমে রপ্তানি বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ানো হবে। পুঁজি বাজারের সম্প্রসারণ ও গভীরতা এবং পুঁজি পণ্য সরবরাহ ও বৈচিত্র্য আরো বাড়ানো হবে। ইতোমধ্যে চীনা কনসর্টিয়াম ঢাকা পুঁজি বাজারে কৌশলগত বিনিয়োগ করেছে। দেশব্যাপী বিনিয়োগ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করে পুঁজি বাজারে বিনিয়োগ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা হবে। এছাড়া রপ্তানি আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্য বৃদ্ধি এবং নতুন বাজার প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং রপ্তানি বহুমুখীকরণের জন্য খাতভিত্তিক সমস্যাবলি সমাধানের পদক্ষেপ নেয়া হবে।

 

শিল্প উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে মাননীয়মন্ত্রী বলেন,উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বির্নিমাণে শিল্পায়নের গুরুত্ব খুবই বেশি। দেশে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক শিক্ষিত তরুণ-যুব সমাজের জন্য কর্মসংস্থান ও কাজের উৎস সৃষ্টি করা প্রয়োজন। এই বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে সরকার বিপুল শ্রমশক্তি কাজে লাগাতে শ্রমঘন ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পভিত্তিক শিল্প উন্নয়ন কৌশলের উপর জোর দিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে গুরুত্ব পাচ্ছে ভারী ও মৌলিক শিল্প- যে শিল্পকে ভিত্তি করে বহুমাত্রিক সংযোজন শিল্প গড়ে উঠবে। ব্যবসাবান্ধব শিল্পবান্ধব এবং প্রো্প্রাইভেট সেক্টর প্রাইভেট সেক্টরের চালিকা শক্তি হিসাবে কাজ করবে। তাদেরকে প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ সুবিধা প্রদানকরা হবে। তাদের হাত ধরেই আমারা উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শ করব এবং এর মাঝ দিয়ে দারিদ্র বিমোচন করতে সক্ষম হবো। সামাজিক নিরাপত্তা বলয় আরো বেশী দৃঢ় হবে।তরুন সমাজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।