ব্রেকিং:
ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  • শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

৩০০ টাকায় দেশের সবচেয়ে ‘মনোমুগ্ধকর’ কটেজে

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারি ২০২০  

দুর্গম পথে ঘাম ঝরানো ট্যুর হিসেবে বান্দরবানের কেওক্রাডং জনপ্রিয় গন্তব্য। দেশের পঞ্চম উঁচু পাহাড় এটি। দু-তিন দিন হাতে সময় নিয়ে অসম্ভব সুন্দর কিছু মুহূর্ত আর দুর্দান্ত রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিয়ে ফেরার জন্য প্রতিবছর অসংখ্য পর্যটক যান সেখানে।

সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩ হাজার ১৭২ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই শৃঙ্গটি ব্যক্তি মালিকানাধীন। মালিকের নাম লাল মুন থন হাওং। স্থানীয়ভাবে ওনি লালা বম নামে পরিচিত। এরা বম উপজাতীর। বর্তমানে লাল মুন জীবিত নেই, তার পরিবারের অন্যান্যরা সবকিছু দেখাশোনা করেন। পর্যটকদের কাছে এটা বম বাড়ি নামে পরিচিত।

চূড়ায় আগে থেকেই দুটি কটেজ ছিল তাদের। এ বছর সংযোজন করেছে মূল চূড়া থেকে একটু দূরে আরেকটা নতুন কটেজ। সবুজ ও লাল রঙের ছবিটা সেই কটেজেরই। এত উঁচু পাহাড়ে এরচেয়ে মনোমুগ্ধকর কটেজ দেশে আর আছে কি-না জানা নেই। দূর থেকে কটেজটির দিকে তাকালেই কেমন যেন মায়া জন্মে। ইচ্ছে জাগে এই কটেজে কয়েকটা জোছনা-রাত কাটানোর।

 

কেওক্রাডং

কেওক্রাডং

তবে এই কটেজে বিদ্যুৎ নেই, সোলারের সাহায্যে জ্বলে লাইট। বিছানা নেই, তোশক বিছিয়ে দেয়া হয় বাঁশের মাচার উপরে। কোনো রুমের সঙ্গেই সংযুক্ত বাথরুম নেই, টয়লেট কটেজের বাইরে। কোনো রুম সার্ভিস পাবেন না সারাদিন। প্রথমে একবার যাবতীয় জিনিস গুছায়ে দিয়ে চলে যাবে কর্তৃপক্ষ। কটেজে রুম জনপ্রতি ৩শ’ টাকা। সদস্য বেশি হলেও সমস্যা নেই, এক রুমে অনায়াসে ১০ জন থাকা যায়।

বম বাড়ি লাগোয়া একটা রেস্তোরাঁও আছে। সেখানে একদম প্রাকৃতিকভাবে রান্না করা নানা জাতের খাবার পাওয়া যায়। বেশি ঝাল দেয়া দেশি মুরগি, আলুভর্তা, পেঁপের সালাদ, লাউয়ের তরকারি, জুমের সবজিসহ আরও নানান রকমের পদ থাকে সেখানে। রোজকার ট্রাভেলারদের খাবার-দাবারের আয়োজন এখানেই হয়। বিভিন্ন প্যাকেজে ১২০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে খাবার পাওয়া যায়।

 

কেওক্রাডংয়ের সেই কটেজ

কেওক্রাডংয়ের সেই কটেজ

বান্দরবান শহর থেকে কেওক্রাডং যেতে হলে প্রথমে যেতে হবে রুমা বাজার। তারপর রুমা বাজার থেকে গাইড নিয়ে বগালেক হয়ে কেওক্রাডং। একদিনে বান্দরবান থেকে কেওক্রাডং পৌঁছানো একটু কষ্টকর হয়ে যাবে। সাধারণত পর্যটকরা প্রথমদিন বগালেকে এক রাত থেকে তার পরদিন সকালে কেওক্রাডং ভ্রমণে যায়। বগালেক দেখা ও সেখানে থাকা আপনার কেওক্রাডং ভ্রমণ আরো সুখময় করে তুলবে।