ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

৫৯ বছরের বায়তুল মোকাররম মসজিদ

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৩ মে ২০১৯  

বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ ‘বায়তুল মোকাররম মসজিদ’। এটি ঢাকার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র গুলিস্তানের নিকট পল্টনে অবস্থিত। ইতিহাসবিদ শরীফ উদ্দিন আহমেদ সম্পাদিত ঢাকা কোষ-এ বলা হয়েছে, পাকিস্তান আমলে সিন্ধুর স্থপতি এ এইচ থারানি এই মসজিদের নকশা প্রণয়ন করেন। পাকিস্তানের বিশিষ্ট শিল্পপতি লতিফ বাওয়ানি ও তার ভাতিজা ইয়াহিয়া বাওয়ানি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। ঢাকায় বিপুল মুসল্লি ধারণক্ষমতার একটি বড় মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা নেয় বাওয়ানি পরিবার।

‘বায়তুল মুকাররম মসজিদ সোসাইটি’ গঠনের মাধ্যমে ১৯৫৯ সালে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। স্থান হিসেবে নির্বাচন করা হয় পুরান ও নতুন ঢাকার মিলনস্থল পল্টনে ৮.৩০ একর জমি। যা একসময় ছিল পুকুর। ২৭ জানুয়ারি ১৯৬০ সালে পুকুরটি ভরাট করার মধ্য দিয়ে মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ১৯৬২ সালে কাজ মোটামুটি শেষ হয়।

 

মসজিদটির বর্তমান ধারণ ক্ষমতা ৪০ হাজার

মসজিদটির বর্তমান ধারণ ক্ষমতা ৪০ হাজার

যখন এটি নির্মাণ করা হয়েছিল তখন এর ধারণ ক্ষমতা ছিল ৩০ হাজার। ১৯৭৫ সালের ২৮ মার্চ থেকে ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’ এই মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে। ২০০৮ সালে সৌদি সরকারের অর্থায়নে মসজিদটি সম্প্রসারিত করা হয়। বর্তমানে বায়তুল মোবারক মসজিদ ৮ তলা বিশিষ্ট এবং এর উচ্চতা ৯৯ ফুট। মসজিদের নিচ তালার মূল নামাজের স্থানটি ২৬,৫০৭ বর্গফুট। এর পূর্বদিকে আরো ১৮৪০ বর্গফুট জায়গা রাখা হয়েছে নামাজ পড়ার জন্য। এছাড়াও মূল কাঠামোর বাইরে পূর্বদিকে আরো ২৮,৯৮৭ বর্গফুট খোলা জায়গা নামাজ পড়ার জন্য রাখা হয়েছে। এর বর্তমান ধারণ ক্ষমতা ৪০ হাজার। নিচতলায় বিপণিবিতান ও গুদামঘর। মসজিদের দোতলা থেকে খতিব নামাজ পড়ান। তবে দোতলা থেকে ছয়তলা পর্যন্ত প্রতিটি তলায় নামাজ পড়া হয়। তিনতলার উত্তর পাশে নারীদের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিক থেকে মসজিদে প্রবেশ করা যায়। 

বায়তুল মোকাররমকে আল্লাহর ৯৯ নাম লিখে মসজিদটি সজ্জিত করা হয়েছে। মসজিদটির ভেতরে বেশ খোলামেলা এবং প্রচুর আলো-বাতাসের ব্যবস্থা আছে। কেউ চাইলেই যেকোনো দিন মসজিদে এসে নামাজ পড়তে পারেন। রমজান মাসে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ বায়তুল মোকাররমে ইফতার করেন। প্রতি ঈদে নামাজ পড়তে আসেন লাখো মানুষ। সব মিলিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদ ঢাকার গর্ব এবং পৃথিবীর সুন্দর মসজিদগুলোর একটি। আবার অনেকের মতে, বায়তুল মোকাররম পৃথিবীর ১০ম বৃহত্তম মসজিদ।