৭ কিলোমিটারে হাজার গর্ত, ঢেউ খেলে পানি

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার প্রধান ও সবচেয়ে প্রশস্ত সড়ক নাঙ্গলকোট-জোড্ডা-বক্সগঞ্জ সড়ক। নাঙ্গলকোট থেকে জোড্ডা পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য ৭ কিলোমিটার। ঐ ৭ কিলোমিটার সড়কে রয়েছে এক হাজারের বেশি গর্ত। এমন দুর্ভোগে সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা।

জানা গেছে, নাঙ্গলকোট পৌরসভা, আদ্রা, জোড্ডা পূর্ব ও পশ্চিম, বটতলীর একাংশ, দৌলখাঁড়, বক্সগঞ্জ ও সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে এ সড়ক। এছাড়া নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা ও ফেনী সদরে যাতায়াতেও এ সড়ক ব্যবহার করা হয়ন। দৈনিক অন্তত চার লাখ মানুষের চলাচল এ সড়কে। অথচ এক বছরের বেশি সময় ধরে সড়কটিতে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। সবাই অতিরিক্ত সময় ও অর্থ ব্যয়ে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করায় আগের তুলনায় কমেছে যানবাহন চলাচল।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তার বড় বড় গর্তে পানি ঢেউ খেলছে। দূর থেকে এসব গর্তকে ছোটখাটো পুকুর মনে হতে পারে। প্রায়ই ভ্যান-রিকশা-অটোরিকশা আটকা পড়ছে সড়কের এসব গর্তে। বিশেষ করে সড়কটির শ্রীহাস্য, আটঘরা, শংকরপুর ও ধাতীশ্বর এবং পৌরসভার দাউদপুর অংশ একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যা নামলেই ভাড়া বেড়ে যায় এ সড়কে। দিনে নাঙ্গলকোট থেকে জোড্ডার ভাড়া ৩০ টাকা। সন্ধ্যায় ওই ভাড়া হয়ে যায় ৪০ টাকা এবং রাত বাড়লে ৫০-৮০ টাকা হয়ে যায়। ওই সড়কে চলাচলে প্রতিনিয়ত লোকসান গুণতে হয় যাত্রীদের। পোহাতে হয় নিদারুণ দুর্ভোগ।

নাঙ্গলকোটের বাসিন্দা শেখ ফরিদ জানান, ২-১ বছর পর পরই সড়কটি মেরামত করা হয়। অল্প কয়েকদিন পর আবার ভেঙে যায়। বছরে ৩ মাস সড়কটি ভালো থাকে, ৯ মাস থাকে ভাঙা।

নাঙ্গলকোট উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন কালু জানান, সড়কটির কাজ হয়েছে প্রায় ১৪ বছর আগে। মাঝে সংস্কার করা হয়েছে। একটি সড়ক সংস্কার ছাড়া বেশিদিন ভালো থাকতে পারে না। শুনেছি এটি মেরামতের জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে এলজিইডি নাঙ্গলকোটের প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুনের মোবাইলে বেশ কয়েকবার কল এবং মেসেজ পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি।