"অধ্যাপক গুজব" আসিফ নজরুল!! কি?কেন?বিস্তারিত =

ড. আসিফ নজরুল। বিএনপি-জামায়াতপন্থী বুদ্ধিজীবী। সুযোগ পেলেই সরকারকে আক্রমণ করে মিথ্যাচার ও গুজব ছড়ান। মত প্রকাশের নামে ফেসবুক ও অন্যান্য মাধ্যমে রাষ্ট্র, সরকার ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নগ্ন আক্রমণ করে তাদের সম্মানহানির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন আসিফ নজরুল। এবার সিলেটে পুলিশি নির্যাতনে নিহত রায়হানের ময়নাতদন্ত নিয়ে বারবার এডিট করে ফেসবুকে তথ্য বিকৃতি করে নতুন করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। পুরো তথ্য না জেনে স্পর্শকাতর একটি হত্যার ঘটনায় শিক্ষিত একজন বুদ্ধিজীবীর এমন নির্বুদ্ধিতা ও উস্কানিমূলক মন্তব্যকে শিষ্টাচার বহির্ভূত বলেও সমালোচনা চলছে নানা মহলে।

তথ্যসূত্র বলছে, সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে হেফাজতে নিহত যুবক রায়হানের মৃত্যু নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন বিএনপি-জামায়াতপন্থী কথিত বুদ্ধিজীবী আসিফ নজরুল। পোস্টে আসিফ নজরুল দাবি করেন, রায়হান মারা গেছে ফাঁড়িতে, পুলিশের পিটুনিতে। প্রথমবার ময়নাতদন্তে পুলিশ তার শরীরে কোনো আঘাতে চিহ্ন পায়নি, কিন্তু দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে শতাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এসময় তিনি চিকিৎসকদের অসৎ বলেও তিরস্কার করেন এবং তাদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসার কথা বলেন। কিছুক্ষণ পরে তিনি পোস্টে চিকিৎসকদের কথিত অবহেলার বিষয় ও ময়নাতদন্তের বিষয়টি এডিট করে পুলিশকে এই হত্যার জন্য দায়ী করেন। পরপর ৪ বার এডিট করে আসিফ নজরুল পোস্টটি দেন। প্রতিবারই তিনি সরকারের ডিজিটাল ব্যবস্থাকে কটাক্ষ করেছেন। তবে আশ্চর্যজনক তথ্য হলো, ঘাতক এসআই আকবর ইতোমধ্যে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও আসিফ নজরুল তার পোস্টে তাকে আটক না করতে পারার বিষয়ে সরকারকে আক্রমণ করে কটাক্ষ করেছেন। এছাড়া তার লেখায় অসংখ্য বানান ভুল লক্ষ্য করা গেছে।

এতেই প্রতীয়মান হচ্ছে যে, আসিফ নজরুল সিলেটের ঘটনায় পুরো তথ্য না জেনেই মিথ্যাচার ও গুজব ছড়াচ্ছেন। পাশাপাশি হত্যার মতো একটি স্পর্শকাতর ঘটনায় জনমনে উস্কানি দেয়ার ষড়যন্ত্র করছেন, যা একজন সুনাগরিকের কাছে কাম্য নয়। শিক্ষিত হয়েও তিনি অশিক্ষিতদের মতো আচরণ করে নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়েছেন বলেও অনেকে অনলাইনে সমালোচনা করছেন। বিএনপি-জামায়াতের পেইড এজেন্ট আসিফ নজরুল রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা বিনষ্ট করতে জেনেশুনে স্পর্শকাতর ইস্যুতে উস্কানি দিয়ে তার রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার অপচেষ্টা করছেন। আসিফ নজরুলের মতো মিথ্যাবাদী বক ধার্মিকদের কথায় কান না দিতেও অনেকে পরামর্শ দিয়েছেন।