ব্রেকিং:
কুবি প্রক্টরের পদত্যাগ চেয়ে শিক্ষকের অবস্থান কর্মসূচি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে রাইসির হেলিকপ্টার, কোনো আরোহী বেঁচে নেই রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের ছবি-ভিডিও প্রকাশ্যে দুর্ঘটনাস্থলে রেড ক্রিসেন্ট, খুঁজে পেয়েছে রাইসির হেলিকপ্টার চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে নিখোঁজ এমপি আনার আজ থেকে ৬৫ দিন সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা জিয়াউর রহমান যেভাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে চেয়েছি চলতি হজ মৌসুমে প্রথম বাংলাদেশী হজযাত্রীর মৃত্যু শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ধর্ম অবমাননা কুবি শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ ‘পিডাইয়া লম্বা করে দেওয়ার নির্দেশ’ ফুলবাড়িতে সীমান্তে ঢুকে বিএসএফের গুলিবর্ষণ অভিযানে গিয়ে নারীর মাথায় পিস্তল ধরে, ‘শিশুকে আঘাত’ করে পুলিশ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান রাতেই কুতুবদিয়ায় নোঙর করবে এমভি আব্দুল্লাহ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সিন্ডিকেটের থাবা প্রাণিখাদ্যের বাজারেও কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল, সম্পাদক মুন
  • সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আখাউড়ায় বাজারে অপরিপক্ব লিচু, দামও চড়া

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৯ মে ২০২৪  

রসালো সুস্বাদু আর সুমিষ্টি ফল লিচু। এরই মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বাজারে উঠতে শুরু করেছে লিচু। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ঝরে পড়ায় পরিপক্ব হওয়ার আগেই বাগান থেকে লিচু সংগ্রহ করছেন চাষিরা। ফলে লিচুর আসল স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ক্রেতারা। বাজারে প্রতি ১শ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকায়। বাজারে নতুন লিচু দেখে পরিবারের সদস্যদের জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। তবে লিচু পরিপক্ব না হলেও দাম বেশ চড়া বলে জানান ক্রেতারা।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে, এখনো লিচু পরিপক্ক হয়নি। লিচু পরিপক্বসহ আরো অন্তত দুই সপ্তাহের ওপর সময় লাগবে। অপরিপক্ব লিচু বিক্রি করা ঠিক নয়। তারা চাষিদের অপরিপক্ব লিচু বিক্রি না করতে পরামর্শ দিচ্ছেন।

স্থানীয় একাধিক চাষি জানান, চলতি মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া ভালো থাকায় প্রতিটি লিচু গাছে ব্যাপক মুকুলের সমারোহ ঘটে। চৈত্র মাসের শেষের দিকে ওইসব গাছে গুটি আসতে শুরু করে। এরপর অব্যাহত দাবদাহ আর অনাবৃষ্টির কারণে গাছ থেকে ঝরে পড়ছে লিচুর গুটি। সেইসঙ্গে শুকিয়ে যাচ্ছে গুটির বোটা। প্রথম অবস্থায় গাছে গাছে মুকুলের সমারোহ দেখে খুশি হলেও এখন ফলন নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ৭৮ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। এরমধ্যে বোম্বে, পাটনাই ও চায়নাসহ অন্যান্য জাতের লিচু রয়েছে। এ উপজেলার  লিচু জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করা হয়ে থাকে।

বাজারে লিচু কিনতে আসা পৌর শহরের দেবগ্রাম এলাকার শরীফ মিয়া বলেন, আমার ছেলে-মেয়েরা লিচু খুবই পছন্দ করে। মৌসুমি ফল লিচু বাজারে উঠায় ছেলে-মেয়েদের জন্য একশ লিচু ২৫০ টাকায় কিনেছি। বাজারে উঠা লিচু এখনো তেমন বড় হয়নি। নেই কোনো স্বাদও। আরো কিছুদিন গাছে থাকলে লিচু পুষ্ট হতো, স্বাদও পাওয়া যেত।

 

রসালো ফল লিচু

রসালো ফল লিচু

কলেজপাড়া এলাকার মো. কামাল মিয়া বলেন, বাজারে নতুন ফল লিচু দেখে ছেলে-মেয়ের জন্য কিনলাম। লিচুর আকার তেমন বড় নয়, কিন্তু দাম চড়া।

উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামের লিচু চাষি মো. রবিন  মিয়া বলেন, আমার ছোট বড় মিলে ২০টি লিচু গাছ আছে। প্রতিটি গাছে ভালো মুকুল এসেছিল। মুকুলগুলো যখন গুটিতে পরিণত হতে শুরু করে তখন তাপদাহের কারণে প্রতিনিয়ত গুটি ঝরে পড়ছে। কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী বাগানে সেচ দিচ্ছি। ওষুধ স্প্রে করে কিছুটা রক্ষা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় লিচুর ফলন অর্ধেক হয়েছে। তবে ঝড়-বৃষ্টির ভয়ে লিচু বিক্রি শুরু করেছি।

লিচু বাগান মালিক খোকন মিয়া বলেন, বাড়ি সংলগ্ন জায়গাতে চায়না ও পাটনাই জাতের ১২০টি লিচু গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে মুকুল থেকে গুটি হয়েছে। অব্যাহত তাপদাহের কারণে গুটিগুলো ডগা শুকিয়ে যাচ্ছে এবং একটু বাতাস হলেই ঝরে পড়ছে। কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী বাগানে সেচসহ ওষুধ দেওয়া হলে শেষ পযর্ন্ত কিছুটা রক্ষা হয়। সব মিলিয়ে আবহাওয়াগত কাররণে এবার বাগানে ফলন অর্ধেকের কম এসেছে। 

লিচু বিক্রেতা হারুন মিয়া জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে এবার লিচুর ফলন তেমন ভালো হয়নি। লিচুর সাইজ ছোট হলেও দাম বেশি। এই নতুন লিচুর স্থানীয় বাজারে ভালো চাহিদা রয়েছে। প্রকারভেদে ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকায় (প্রতিশ লিচু) বিক্রি করছি।

লিচু বিক্রেতা সবুজ মিয়া বলেন, দুই দিন ধরে বাগান থেকে লিচু এনে বাজারে বিক্রি করছি। বাজারে লিচুর চাহিদা প্রচুর। ফলে বেশ লাভবান হচ্ছি।

আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম বলেন, এখনো লিচু পরিপক্ব তেমন হয়নি। পরিপক্ব হওয়ার আগে লিচু খেলে এতে পুষ্টি ও স্বাদ পাওয়া যাবে না।

তিনি আরো বলেন  শিলাবৃষ্টি এবং ঝড় ছাড়া বর্তমানে যে আবহাওয়া বিরাজ করছে তা লিচুর জন্য উপযোগী। লিচু পরিপক্ব হওয়ার পর বাজারে বিক্রি করতে চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।