ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অবশেষে বিমানবন্দরে স্বামী নিয়ে দুই স্ত্রীর দ্বন্দ্বের অবসান

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২০  

বিমানবন্দরে স্বামী নিয়ে দুই স্ত্রীর দ্বন্দ্বের অবসান হলো। সোমবার কুমিল্লায় এক গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেন মালদ্বীপ প্রবাসী স্বামী মাঈনুল।  ফলে দ্বিতীয় স্ত্রীর ভাগ্যেই জুটলেন তিনি।

এর আগে, ১৮ আগস্ট বিকেলে বিদেশ ফেরত স্বামীকে নিয়ে টানা-হেঁচড়া শুরু করেন মাইনুলের দুই স্ত্রী। মালদ্বীপ থেকে প্রবাসী মাঈনুল দেশে ফিরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নিজ বাড়ি কুমিল্লা যাওয়ার জন্য ভাড়া গাড়িতে উঠে বসলেই টেনে নামানোর চেষ্টা করে তার প্রথম স্ত্রী সানজিদা।

স্বামীকে নিজ জিম্মায় বউদের অতর্কিত মারামারি আর কাড়াকাড়িতে কাহিল হয়ে পড়েন স্বামী মাঈনুল। পরে তিন জনকেই থানায় পাঠিয়ে দেয় বিমান বন্দরে নিয়োজিত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। ঘটনাটি গণমাধ্যমে বেশ আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দেয়। পরে থানায় মুচলেকা দিয়ে তিনজনকেই ছাড়িয়ে নেন মাইনুলের চাচা। ফিরে যান কুমিল্লার দাউদকান্দিতে। 

অবশেষে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মিটমাট হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সোমবার সকালে স্থানীয়দের নিয়ে গ্রাম্য সালিশে বসেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। 

তার দাবি, সাত বছর আগে তাদের বিয়ে হলেও তাকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন তার স্বামী। 

মাইনুলের দ্বিতীয় স্ত্রী তমার দাবি, তিনিই প্রথম স্ত্রী। এরপরই স্বামীকে তার বাড়িতে নিয়ে যেতে হাতাহাতি শুরু করেন সানজিদার সাথে।

আইনগতভাবে বিচ্ছেদ না হলেও সানজিদা ও তার তিন বছরের শিশুর কোনো ভরণপোষণ দেন না মাঈনুল। সানজিদাকে প্রথম স্ত্রী হিসেবে স্বীকার করলেও তার সঙ্গে আর সংসার করতে চান না বলেও জানান মাঈনুল।  

ইউপি চেয়ারম্যান মো. মামুনুর রশীদ বলেন, মাইনুল তার প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে ঘর-সংসার করতে রাজি না হওয়ায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে দুই স্ত্রীকে আলাদা করে দিয়েছি। 

মাঈনুলের চাচা আলী আহমেদ মিয়াজী বলেন, প্রথম স্ত্রীকে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক ডিভোর্স দেয়া হয়েছে এবং ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সফলভাবে আজকের রায় কার্যকর হয়েছে। 

আলোচিত এই ঘটনাটি সমাধান হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে মাঈনুল। তিনি বলেন, সানজিদা আমাকে ঠিকমত সময় দিত না। এ কারণেই আমি তার কাছ থেকে সরে গেছি। অবশেষে সমাধান হওয়ায় আমার স্বস্তিবোধ হচ্ছে। দুই বউও অবশেষে মেনে নিয়েছেন সালিশের রায়। 

প্রথম বউ সানজিদা বলেন, আমাদেরকে সমাধান করে দিয়েছে। আমার ভাগ্যে ছিল না, তাই আমি পাই নাই।

দ্বিতীয় বউ তমা বলেন, আমি অনেক খুশি আমার স্বামীকে আমি অবশেষে পেয়েছি।