ব্রেকিং:
কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা জিয়াউর রহমান যেভাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে চেয়েছি চলতি হজ মৌসুমে প্রথম বাংলাদেশী হজযাত্রীর মৃত্যু শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ধর্ম অবমাননা কুবি শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ ‘পিডাইয়া লম্বা করে দেওয়ার নির্দেশ’ ফুলবাড়িতে সীমান্তে ঢুকে বিএসএফের গুলিবর্ষণ অভিযানে গিয়ে নারীর মাথায় পিস্তল ধরে, ‘শিশুকে আঘাত’ করে পুলিশ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান রাতেই কুতুবদিয়ায় নোঙর করবে এমভি আব্দুল্লাহ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সিন্ডিকেটের থাবা প্রাণিখাদ্যের বাজারেও কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল, সম্পাদক মুন নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ আজ বিশ্ব মা দিবস চাঁদপুরে মন্ত্রী ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলে আলোচনায় নাজিম কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
  • রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

অব্যবস্থাপনায় চলছে বশিকপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন হচ্ছে না দীর্ঘ ১২ বছর। নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিকে সিলেকশন করে মনগড়া কমিটি করার অভিযোগ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। এছাড়াও নানা অনিয়ম, অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলছে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম।

স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার ৭ নম্বর বশিকপুর ইউপির বশিকপুর বাজারে ১৯৭১ সালে বশিকপুর স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন তৎকালিন এমপি আবুল কালাম। যা সদরের উত্তর অঞ্চলের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলো এটি। কিন্তু সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে সে ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারেনি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি। নানা অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের কারণে হারাচ্ছে বিদ্যালয়ের ঐতিহ্য, কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে কুমিল্লা বোর্ডে লিখিত অভিযোগও করেছে দাতা সদস্য ও অভিভাবকরা। এছাড়াও বিদ্যালয়ের নথিপত্র গায়েবের ঘটনাও ঘটেছে এ প্রতিষ্ঠানে।

বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মোহাম্মদ উল্যাহ পাটোয়ারী বলেন, দীর্ঘ দিন এ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন হচ্ছে না। প্রতিষ্ঠান প্রধান নুরুল হুদা বকুল সিলেকশনের মাধ্যমে গোপনে কমিটির করে আসছেন। সম্প্রতি কমিটির মেয়াদ শেষ হলে গত তিন মাস আগেও সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন মিজানের পছন্দের ব্যক্তিকে আহবায়ক কমিটির প্রধান করেন। অথচ কমিটির বিষয়ে বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য, অভিভাবক ও স্থানীয়দের কেউ জানেন না। এ দিকে বিদ্যালয়ের ভবনের ছাদে তিনটি মোবাইল ফোনের টাওয়ার স্থাপন করেছে বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতিসহ ঐ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। এতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনাসহ শিক্ষার্থীদের শারীরিক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া নানা অব্যবস্থাপনার কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় ছেড়ে চলে যাচ্ছে।

এছাড়া গত বছর বিদ্যালয়ে ৬০০ শিক্ষার্থী থাকলেও এ বছর ২০০ কমে তা ৪০০ এ এসেছে। এসব বিষয়ে স্থানীয়রা কুমিল্লা বোর্ডে লিখিত অভিযোগও করেছেন। তা তদন্তাধীন রয়েছে। তবে প্রতিবাদ করায় স্কুলের ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক আবদুল বাসেদ সম্প্রতি স্থানীয়দের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে হয়রানি করেন। পরে স্থানীয়দের ঐক্যবদ্ধতায় সে অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন তিনি। এছাড়া অধ্যক্ষ নুরুল হুদা বকুল বিদ্যালয়ের নিয়মিত আসেন না। তার অবর্তমানে বিদ্যালয়ের সকল বিষয় দেখা শুনা করেন ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক আবদুল বাসেদ।

ভারপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক আবদুল বাসেদ বলেন, বিদ্যালয়ের ১২ বছর নির্বাচন হচ্ছে না তা সঠিক। সিলেকশনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন কমিটি করা হচ্ছে। আমরাও চাই নির্বাচনে মাধ্যমে কমিটি হোক। এছাড়া বিদ্যালয় ভবনে মোবাইল ফোনে টাওয়ার করেছে সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন মিজান। যার থেকে প্রতি বছর প্রতিষ্ঠান ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা পায়। এছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কমে গেছে তাও ঠিক। পার্শ্ববর্তী একটি নতুন মাদরাসা হওয়ায় শিক্ষার্থী কমেছে বলে তার ধারণা। 

সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন মিজানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এসব বিষয়ে কথা বলতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন।

উপেক্ষিত বিদ্যালয়ের দাতা সদস্যসহ অভিভাবকরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠনতন্ত্র ও নিয়মাবলী অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করে অভিভাবকহীন বিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার দাবি স্থানীয়দের।