আরো তিন হাসপাতালকে করোনা পরীক্ষার অনুমতি

রাজধানীর আরো তিনটি বেসরকারি হাসপাতালকে করোনা পরীক্ষা করার জন্য অনুমতি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। হাসপাতালগুলো হলো- এভার কেয়ার হাসপাতাল লিমিটেড (সাবেক অ্যাপোলো হাসপাতাল), স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড ও ইউনাইটেড হাসপাতাল লিমিটেড।

বুধবার রাজধানীর মহাখালীতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।

এসব হাসপাতাল শুধুমাত্র তাদের ভর্তিকৃত বা অন্তঃবিভাগে রোগীর নমুনা পরীক্ষা করতে পারবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এখনো তাদের বহির্বিভাগে নমুনা পরীক্ষার অনুমতি দেয়নি। সেজন্য সরকার নির্ধারিত একটা ফি তাদের নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। তারা যেগুলো পরীক্ষা করবেন আমাদের তথ্যে তা সংযুক্ত করা হবে। তবে ঢাকা ও এর বাইরে আরো যদি কোনো বেসরকারি হাসপাতাল  আমাদের থেকে অনুমতি চায়, সেটাও বিবেচনায় করা হবে। আমাদের টিম গিয়ে তাদের ল্যাবসহ যাবতীয় বিষয় দেখবে এবং পরবর্তী কার্যক্রম চালাবে।

করোনায় মোট মৃত্যুর বেশির ভাগই ঢাকায় জানিয়ে অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আরো ৮ জনের মৃত্যু হয়েছ এবং সর্বমোট ১৬৩ জন। মৃত্যুর তথ্য বিশ্লেষণে দেখতে পাই, বেশিরভাগ মৃত্যুই ঢাকা ডিভিশনে। ১৬৩ জনের মধ্যে ১৩৭ জনই ঢাকা ডিভিশনের এবং অন্যান্যগুলো ঢাকার বাইরে।

গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৮ জন মারা গেছে তাদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ, দুজন মহিলা। এদের মধ্যে ৬ জন ঢাকার মধ্যে ও দুজন ঢাকার বাইরে। তাদের চারজনের বয়স ষাটোর্ধ, ৫০ থেকে ৬০ দুইজন এবং ৩১ থেকে ৪০ এর মধ্যে দুজন।

যারা হাসপাতালে ভর্তি আছেন গত ২৪ ঘণ্টায় তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১১ জন জানিয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫০ জন। সারাদেশে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি আছেন শতকরা ১ ভাগ, আর বাকি ৩ ভাগই বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বাড়িতে থাকা রোগীদের গত ২৮ এপ্রিলের পরিসংখ্যান তুলে ধরে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, যারা বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের মধ্যে ৩৮ জন এবং হাসপাতালে থেকে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের মধ্যে রোগমুক্তির সংখ্যা ১২ জন। যারা বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা আমাদের হটলাইনে মাধ্যমে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন।

বেশিরভাগই তাদের লক্ষণ ও উপসর্গগুলো মৃদু থাকে এবং তারা বাড়ি থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানে করোনায় আক্রান্ত বিষয়টি তা নয় জানিয়ে তিনি আরো বলেন, যারা কোনো পজিটিভ রোগীর সংস্পর্শে আসে, আমরা তাদেরকেই কোয়ারেন্টাইনে রাখি।

গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইনে আছেন ২ হাজার ৪১২জন। এরা বাড়িতেই আছেন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন আছেন ১৩২ জন। মোট ২ হাজার ৫৪৪ জন। এ পর্যন্ত মোট ১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৩৭ জন।  

এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ৩ হাজার হাজার ২ জন। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬০ হাজার ৯৫৫ জন। বর্তমানে মোট ৭৬ হাজার ৩৮২ জন হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে আছেন।