আ‘লীগ নেতার মৃত্যুতে এলজিআরডি মন্ত্রীর নাগরিক সংবর্ধনা স্থগিত

কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসন থেকে হ্যাট্রিকসহ চারবার নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নব নিযুক্ত মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ফলে তাঁর আগমণকে ঘিরে এলাকায় এখন সাজ সাজ রব। এ যেন অন্য রকম আনন্দ।  

স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর এই আসনে মন্ত্রী পাওয়ায় শনিবার ১২ জানুয়ারি বিকেলে লাকসাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে লাকসামবাসী  নব নিযুক্ত মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামকে নাগরিক সংবর্ধনা প্রদানের আয়োজন করেন। কিন্তু হঠাৎ স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুতে ওই নাগরিক সংবর্ধনা স্থগিত করা হয়। তবে ওইদিন সকাল ১০টায় লাকসামস্থ দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও মতবিনিময় করবেন।  

দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন উপজেলার বাকই (দক্ষিণ) ইউনিয়নের কৈত্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র কর্মীরা ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসতে বাধা দেন। এ সময় ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি মো. ফয়েজ উল্লাহ এবং তাঁর ছেলে মো. আতিকুর রহমান ফয়সাল প্রতিবাদ জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র কর্মীরা তাঁদের ওপর হামলা চালায় এবং এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। আহত ওই নেতা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিৎিসাধীন অবস্থায় ১০ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে বুধবার রাতে মারা যান। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধায় কৈত্রা ঈদগাহ মাঠে ওই নেতার জানাযা অনুষ্ঠান শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। 
    
লাকসাম উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত আলী জানান,  শুক্রবার ১১ জানুয়ারি নব নিযুক্ত (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি প্রম মন্ত্রী হিসেবে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় আসবেন। তাই দীর্ঘ বছর পর এলাকায় প্রথম মন্ত্রী পাওয়ার আনন্দে বিভিন্ন সংগঠণের পক্ষ থেকে মন্ত্রীর আগমন পথে অনেকগুলো তোরণ নির্মাণ করছে।  

পৌরসভা মেয়র অধ্যাপক মো. আবুল খায়ের জানান, মন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে লাকসাম পৌর শহরের দৌলতগঞ্জ বাজারের অলি-গলিসহ সর্বত্র আলোকসজ্জ্বা করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া, লাকসাম উপজেলা পরিষদ, লাকসাম উপজেলা এবং  পৌর আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠণ, লাকসাম পৌরসভা, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়ীদেও পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়ে ব্যানার ও তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। 

লাকসাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনূস ভূঁইয়া বলেন, ব্যক্তিগতভাবে ব্যাপক জনপ্রিয় এই নেতাকে সম্মান জানাতে বিভিন্ন সংগঠণ ও শ্রেণি-পেশার লোকজন নিজস্ব উদ্যোগে তোরণ নির্মাণ করছে। বিশেষ করে লাকসাম-মনোহরগঞ্জবাসী জীবনে প্রথম নিজ এলাকায় মন্ত্রী পাওয়ার আনন্দে বিশাল জনগোষ্ঠীর মানুষ আনন্দে উদ্বেলিত। তা ছাড়া স্বাধীনতার আগেও এই আসনে কোনো মন্ত্রী ছিল না।