ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন
কুমিল্লার ধ্বনি
প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২৩
সারা দেশের ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার বেশিরভাগ উৎপাদিত জমির ফসল এবং খাদ্যশস্য ধ্বংস করছে ইঁদুর। ক্ষতিকারক সেই ইঁদুর নিধন করে কৃষকদের পরম বন্ধু হয়ে উঠেছেন জাকির হোসেন নামে এক কৃষক। তিনি উদ্ভাবিত যন্ত্রপাতি ও কৌশলের মাধ্যমে ইঁদুর নিধন করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।
১৬ বছরে তিনি ৮০ হাজার ইঁদুর নিধন করেছেন। ইঁদুর নিধনের জন্য তিনি জেলা পর্যায়ে বহু পুরস্কার পান। তিনি এখন সার্বিকভাবে স্থানীয় কৃষকদেরকে ইঁদুরের হাত থেকে ফসল রক্ষা করতে পরামর্শ দিয়ে আসছেন। কৃষক জাকির হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের আখরন্দ গ্রামের আলী আকবরের ছেলে। তার পরিবারে ৩ ছেলে ৪ মেয়ে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদে কৃষি বিভাগের আয়োজনে ইঁদুর নিধন অভিযানের এক আলোচনা সভায় তিনি যোগ দেন। এর আগে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব তথ্য জানান। এ সময় তিনি নিধন করা বেশ কয়েকটি ইঁদুর নিয়ে আসেন।
তিনি জানান, যখনই কৃষকরা তাকে ইঁদুর নিধনের জন্য খবর দিচ্ছেন সেখানেই তিনি ছুটে যাচ্ছেন। ইঁদুরের কবল থেকে সোনালী ফসল রক্ষার জন্য তিনি সব সময় কৃষকের পাশে থেকে কাজ করছেন।
জানা যায়, ২০০৭ সালে শুরু হয় তার ইঁদুর নিধন কার্যক্রম। স্থানীয়ভাবে প্রথম বছরে ইঁদুর নিধন করে তিনি সবার নজরে আসেন। তার এই ধারাবাহিক কার্যক্রমে গত ১৬ বছরে অন্তত ৮০ হাজার ইঁদুর নিধন করেছেন।
জাকির হোসেন মাঠ পর্যায়ের একজন আদর্শ কৃষক। তিনি মৌসুম অনুযায়ী সব সময় জমিতে নানা জাতের ধান আবাদ করছেন। কিন্তু তিনি দেখতে পান প্রতি বছর তারসহ অন্যান্য কৃষকের ফসল ইঁদুর কেটে নষ্ট করছে। এতে তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েন। তিনি মনে মনে ভাবতে লাগলেন কি মানুষ হলাম মানুষ হয়ে মানুষের জন্য কিছুই করতে পারছি না। চোখের সামনে ফসল কেটে ইঁদুর নষ্ট করে ক্ষতি করছে কিন্তু কিছুই করতে পারছি না। এরপর তিনি জিং দিয়ে ইঁদুর মারার ওষুধ তৈরি করেন। প্রথম প্রথম স্থানীয় লোকজন তাকে নিয়ে বেশ উপহাসও করে। যখন ওই ওষুধের কার্যকর তারা দেখতে পান তখন সবাই ওই ওষুধ জমিতে দেওয়া শুরু করেন। তখন ইঁদুর নিধনে তার কাছ থেকে পরামর্শ ও ওষুধ নিতে শুরু করেন।
তিনি আরো জানান, ইঁদুর যা খায় তার চেয়ে ১০ গুণ বেশি খাদ্যদ্রব্য নষ্ট করে। এর পর থেকে তিনি নিজ উদ্যোগে ইঁদুর নিধনে কৌশল উদ্ভাবন করে ইঁদুর মারতে শুরু করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন জেলা উপজেলায় ইঁদুর নিধনে এ কার্যক্রম হাতে নেন। কৃষি বিভাগরে পরামর্শে তিনি এরপর থেকে ইঁদুর নিধন কার্যক্রম শুরু করেন।
তিনি বলেন, আমি ছোট কাল থেকেই কৃষকের কাজ করি। কৃষকের ফসল যাতে ইঁদুর নষ্ট করতে না পারে এ জন্য তিনি ইঁদুর নিধন করে কৃষকদেরকে উৎসাহিত করছি। এতে করে ফলন বাড়ছে।
তিনি বলেন, আমি ইঁদুরের ডাক ও ভাষা বুঝি। ডাক ও ভাষার মাধ্যমে তাদেরকে ধরা হয়।
ইঁদুর নিধন করে এ পর্যন্ত তিনি ৭ বার পুরস্কার পেয়েছেন। সর্বশেষ গত দুই দিন আগে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান ২০২২ অঞ্চল পর্যায়ে সর্বোচ্চ ইঁদুর নিধন স্বীকৃতি স্বরুপ আঞ্চলিক পর্যায়ে কুমিল্লায় পুরস্কার পান।
পৌর শহরের তারাগন এলাকার মো. তাহার মিয়া বলেন, প্রতি বছর জমির ফসল ইঁদুর কেটে ক্ষতি করছে। অনেক কিছু করেও ইঁদুরের কবল থেকে ফসল রক্ষা করতে পারছি না। শুনেছি এখানে ইঁদুর নিধনের একজন অভিজ্ঞ লোক আসবেন। তিনি কীভাবে ইঁদুর নিধন করে এবং ইঁদুরের ভাষা বুঝে ইঁদুর ধরে তাই দেখতে মূলত আসা।
কৃষক মো. ফজলু মিয়া বলেন, ইঁদুরের আক্রমণে ফসল নষ্ট হচ্ছে। ইঁদুর নিধনের বিষয়ে জাকির হোসেনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে জানান।
আখাউড়া উপজলো কৃষি কর্মকর্তা মোছাম্মদ তানিয়া তাবাসসুম বলনে, ফসলের প্রধান শত্রু হলো ইঁদুর। ফসল রক্ষায় সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন। এদিকে কৃষি বিভাগের পরামর্শে জাকির হোসেন ইঁদুর নিধনের ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছেন। জমির ফসল রক্ষা করতে কীভাবে ইঁদুর নিধন করা হয় মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। এই কাজের জন্য তিনি স্থানীয়ভাবে পুরস্কৃত হয়েছেন। তাছাড়া তিনি কৃষকের জন্য নিবেদিত।
- দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না
- এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল
- এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি
- এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী
- সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ
- পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
- বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে
- নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী
- দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ
- দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী
- শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা
- বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার
- দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ
- বাংলাদেশ-কুয়েত বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন
- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাতারের আমির
- আগুনে পুড়ল ১৪ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
- বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ৫ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক সই
- সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় বাবা-মাকে কুপিয়ে জখম
- কসবায় ৩৪ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার
- কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
- তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়াম্যানসহ ৩০ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা
- হাজীগঞ্জে বৃদ্ধের টং দোকানে বিদ্যুতের মিটার থাকলেও জ্বলছেনা আলো
- মতলবে সাবেক ইউপি সদস্য হত্যা : যশোর থেকে প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
- কচুয়ায় সর্বজনীন পেনশন বিষয়ক আলোচনা সভা
- চাঁদপুরে পৃথক ঘটনায় দুই মরদেহ উদ্ধার
- ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া
- লাকসামে সফল খামারিদের মাঝে চেক ও পুরস্কার বিতরণ
- লালমাইয়ে জামাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে এক শিশু উপহার পেল সাইকেল
- দাউদকান্দিতে বাস চাপায় মা-মেয়েসহ ৪ জন নিহত
- পিটিয়ে নয়, ‘স্ট্রোকে’ মৃত্যু হয়েছে শামীমের
- পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
- বাংলাদেশ-কুয়েত বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন
- দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ
- কসবায় ৩৪ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার
- কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ৪০ সিটের শিশু ওয়ার্ডে ১২১ জন রোগী
- দেবিদ্বারে সরকারি খালের অবৈধ বাঁধ অপসারণ
- সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় বাবা-মাকে কুপিয়ে জখম
- তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়াম্যানসহ ৩০ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা
- নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী
- ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া
- সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন
- পিটিয়ে নয়, ‘স্ট্রোকে’ মৃত্যু হয়েছে শামীমের
- কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
- আগুনে পুড়ল ১৪ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
- শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা
- দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী
- দেবিদ্বারে অর্ধগলিত কঙ্কাল উদ্ধার
- দাউদকান্দিতে বাস চাপায় মা-মেয়েসহ ৪ জন নিহত
- বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার
- লালমাইয়ে জামাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে এক শিশু উপহার পেল সাইকেল