ব্রেকিং:
কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা জিয়াউর রহমান যেভাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে চেয়েছি চলতি হজ মৌসুমে প্রথম বাংলাদেশী হজযাত্রীর মৃত্যু শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ধর্ম অবমাননা কুবি শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ ‘পিডাইয়া লম্বা করে দেওয়ার নির্দেশ’ ফুলবাড়িতে সীমান্তে ঢুকে বিএসএফের গুলিবর্ষণ অভিযানে গিয়ে নারীর মাথায় পিস্তল ধরে, ‘শিশুকে আঘাত’ করে পুলিশ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান রাতেই কুতুবদিয়ায় নোঙর করবে এমভি আব্দুল্লাহ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সিন্ডিকেটের থাবা প্রাণিখাদ্যের বাজারেও কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল, সম্পাদক মুন নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ আজ বিশ্ব মা দিবস চাঁদপুরে মন্ত্রী ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলে আলোচনায় নাজিম কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
  • রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

এ পর্যন্ত চাঁদপুরে করোনায় ১৯ জন আক্রান্ত

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৪ মে ২০২০  

কোভিড-১৯ তথা করোনাভাইরাস পরীক্ষা সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুর জেলায়ও বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। একেকদিন ২৫-৩০ থেকে ৫০টি স্যাম্পলও পাঠানো হয়। তবে এ পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ ৭০টি স্যাম্পল পাঠানো হয়েছে। আবার রিপোর্টও একদিনে ৩০-৪০টি থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭৫টি পর্যন্ত এসেছে। গতকাল রিপোর্ট এসেছে ৩৭টি। এরমধ্যে ৩৬টি নেগেটিভ আর ১টি পজিটিভ। নমুনা পরীক্ষা করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়াকে ভালো হিসেবেই দেখছেন সচেতন মহল। অর্থাৎ সতর্ক থাকা এবং কেউ যাতে নীরবে এই ভাইরাসটি বহন করে স্বাভাবিকভাবে ঘোরাফেরা করতে না পারে।

চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত চাঁদপুর জেলা থেকে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্যে ৪৭৮ জনের স্যাম্পল পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে গতকালকের ছিলো ২৯টি। ৪৭৮টি স্যাম্পলের মধ্যে গতকাল পর্যন্ত রিপোর্ট এসেছে ৪১৪ জনের। এই সংখ্যার মধ্যে ১৯ জনের রিপোর্ট আসে পজিটিভ অর্থাৎ তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এই ১৯ জনের মধ্যে গতকাল ছিলো একটি। আর এটি ছিলো মারা যাওয়ার পর রিপোর্ট। মৃত ব্যক্তিটি হচ্ছেন ৭০ বছরের বৃদ্ধ। তাঁর বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ধানুয়া গ্রামে। তিনি গত ২৭ এপ্রিল নিজ বাড়িতেই মারা যান। প্রথমে তাঁর আত্মীয়-স্বজনসহ বাড়ির লোকজন বার্ধক্যজনিত কারণ হিসেবে দেখলেও তাঁর মাঝে করোনার উপসর্গ পাওয়া যাওয়ায় মৃত ব্যক্তির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সে নমুনার রিপোর্টই গতকাল পজিটিভ আসে। এর আগে আক্রান্ত আরো দুজন মারা যায়। এই দুইজনও করোনা চিহ্নিত হওয়ার আগেই মারা যান। এরমধ্যে সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের উত্তর কামরাঙ্গা গ্রামের জামাতা ফয়সাল আহমেদ শ্বশুর বাড়িতেই মারা যান। পরে তার নমুনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। শারমিন আক্তার নামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া আরেকজনের বাড়ি হচ্ছে ফরিদগঞ্জের পশ্চিম লাড়ুয়া গ্রামে। তিনিও করোনা চিহ্নিত হওয়ার আগেই মারা যান।

করোনা চিহ্নিত হওয়া ১৯ জনের মধ্যে মারা যাওয়া তিনজন ছাড়া অপর ১৬ জনের মধ্যে ১০জন পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন। আর বাদবাকি ছয়জনের মধ্যে দুইজন আছেন চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। এছাড়া দুইজন হাজীগঞ্জে নিজ নিজ বাসায় এবং অপর দুইজন ফরিদগঞ্জে নিজ নিজ বাসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তবে এই ছয়জনও সহসা সুস্থ হয়ে যাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ।


এদিকে এ পর্যন্ত এই জেলার যে ৪৭৮ জনের স্যাম্পল নেয়া হয়েছে, তার মধ্যে ৬৪ জনের রিপোর্ট এখনো আসে নি। এই ৬৪ রিপোর্ট আজ-কালের মধ্যে চলে আসবে।