ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

করোনা সচেতনতায় আলো ছড়াচ্ছে ‘সংশপ্তক’

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২০  

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আলো ছড়াচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'সংশপ্তক'। সংগঠনটির নেয়া তাৎক্ষণিক উদ্যোগ এরইমধ্যে সব মহলে প্রশংসা পেয়েছে। সাধারণ মানুষের মাঝে করোনা সচেতনতা গড়ে তুলতে সংগঠনটি বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে।

স্বেচ্ছাসেবী এ সংগঠনটি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত নাঙ্গলকোট উপজেলার শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত। করোনা মহামারীতে মানুষকে সহযোগিতা ও সচেতনতার লক্ষে এ স্বেচ্ছাসেবী টিমটি গঠন করেছেন শিক্ষার্থীরা। স্বেচ্ছাসেবী এ সংগঠন টিমের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম। উপজেলার ১৭টি ইউপির জন্য রয়েছে ১৭ টিম প্রধান। তারা সবাই দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

 

ছবি : ডেইলি বাংলাদেশ

বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবী এ সংগঠনটির সদস্য সংখ্যা বর্তমানে ২৬৬ জন। এর মধ্যে কোভিড-১৯ এর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৫ জন চিকিৎসকও কাজ করছেন। আছেন আরো ৭ জন চিকিৎসকসহ ৪১ জন মেডিকেল শিক্ষার্থী।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'সংশপ্তক'র সমন্বয়ক জহিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের এ সংগঠনের সবার বাড়ি নাঙ্গলকোট উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। আমরা সবাই বিশ্বাস করি ভালো কিছু শুরু করলে নিজের জন্মস্থান থেকেই শুরু করা উচিত। আমরা সবাই শিক্ষার্থী, তাই আমরা চাই আমাদের উপজেলাকে আলোকিত করতে। আমাদের মানুষগুলোকে করোনার মতো প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে সচেতন করতে। তাই আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস।

তিনি আরো বলেন, করোনা প্রতিরোধে নাঙ্গলকোটের প্রতিটি ইউপিতে আমাদের একটি মেডিকেল টিম এবং একটি স্বেচ্ছাসেবক টিম নিস্বার্থভাবে কাজ করছে। উপজেলার ১৬টি ইউপি ও একটি পৌরসভার জন্য মোট ১৭টি টিম কাজ করবে।

 

ছবি : ডেইলি বাংলাদেশ

‘সংশপ্তক’ সমন্বয়ক বলেন, গত কয়েকদিন ধরে নাঙ্গলকোট উপজেলার ১৬টি ইউপি ও একটি পৌরসভায় একযোগে নানা কার্যক্রম চালাচ্ছি আমরা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণ, সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট দেয়া, গ্রামে গ্রামে মাইকিং করা এবং বিদেশফেরত ব্যক্তিদের খোঁজখবর নেয়া। আমরা তাদেরকে করোনা সংক্রমণ এড়াতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে উৎসাহিত করছি। নাঙ্গলকোট উপজেলার প্রতিটি ইউপির বাজারে ও গ্রামে গ্রামে আমাদের টিমের সদস্যরা জীবাণুনাশক স্প্রে করছে।

জহিরুল ইসলাম আরো বলেন, আমাদের কার্যক্রম দেখে এরইমধ্যেই তালিকাভুক্ত ২৬৬ জন সদস্যের বাইরে আরো অনেকেই আমাদের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছা প্রকাশ করছেন। আমাদের এ কার্যক্রম সব সময় অব্যাহত রাখতে চেষ্টা করবো। পাশাপাশি আমরা এ টিমের মাধ্যমে মানুষের থেকে সহযোগিতা ও অনুদান সংগ্রহ করে নাঙ্গলকোট উপজেলার দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে খাবার (চাল, ডাল ইত্যাদি) বিতরণ করব। এজন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।