ব্রেকিং:
জিয়াউর রহমান যেভাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে চেয়েছি চলতি হজ মৌসুমে প্রথম বাংলাদেশী হজযাত্রীর মৃত্যু শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ধর্ম অবমাননা কুবি শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ ‘পিডাইয়া লম্বা করে দেওয়ার নির্দেশ’ ফুলবাড়িতে সীমান্তে ঢুকে বিএসএফের গুলিবর্ষণ অভিযানে গিয়ে নারীর মাথায় পিস্তল ধরে, ‘শিশুকে আঘাত’ করে পুলিশ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান রাতেই কুতুবদিয়ায় নোঙর করবে এমভি আব্দুল্লাহ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সিন্ডিকেটের থাবা প্রাণিখাদ্যের বাজারেও কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল, সম্পাদক মুন নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ আজ বিশ্ব মা দিবস চাঁদপুরে মন্ত্রী ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলে আলোচনায় নাজিম কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঋণ শোধের সক্ষমতা অর্জন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের
  • রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

কুমিল্লায় অনুমোদনহীন রেলক্রসিং যেন মরণফাঁদ

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০২২  

কুমিল্লা জেলার উপর দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ পড়েছে ১২০ কিলোমিটার। এ রেলপথের মাঝে রয়েছে ২০০টির বেশি রেলক্রসিং। এর মধ্যে অনুমোদনবিহীন রয়েছে ১৫০টি। প্রতিটি অবৈধ ক্রসিংই যেন মরণ ফাঁদ। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তথ্যে অনুমোদনহীন ও অবৈধ রেলক্রসিংয়ের সংখ্যা প্রায় দেড়শত হলেও স্থানীয়রা বলছেন, বাস্তবে এই সংখ্যা আরও বেশি হবে। এ সব অবৈধ রেলক্রসিং ‘মরণ ফাঁদ’ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে মানুষের কাছে।

সর্বশেষ গত ৯ মার্চ জেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর এলাকায় স্কুলে যাওয়ার পথে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ শিশু শিক্ষার্থী প্রাণ হারায়।

কুমিল্লা রেলওয়ে পুলিশ সূত্র জানায় যায়, জেলার গত সাড়ে ৫ বছরে রেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছে ৩৩৪ জনের। চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে মৃত্যু ৫২ জনের। এ সব দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা ৫ শতাধিক। ২০১৭ সালে ৭৪ জন, ২০১৮ সালে ৬৮ জন, ২০১৯ সালে ৬৬ জন, ২০২০ সালে ৩৭ জন এবং ২০২১ সালে ৪২ জনের মৃত্যু হয়।

পুলিশ বলছে, অসচেতনতার কারণেই অনেকে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যায়। এ ছাড়া রেললাইনের ওপর দিয়ে যাওয়া সড়ক পথের অবৈধ রেলক্রসিংয়ে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণহানি ঘটে।

পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের প্রবেশদ্বার বলা হয় কুমিল্লার লাকসাম রেলওয়ে জংশনকে। জেলার ১২০ কিলোমিটার রেলপথ পড়েছে- ঢাকা-লাকসাম-চট্টগ্রাম, লাকসাম-নোয়খালী ও লাকসাম-চাঁদপুর রুটে। অবৈধ এসব রেলক্রসিংয়ে গেট নির্মাণ ও গেটম্যান নিয়োগের দাবি দীর্ঘদিনের হলেও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তেমন উদ্যোগ নেই বলে দাবি স্থানীয়দের। তবে এরই মধ্যে বেশ কিছু স্থানে গেট নির্মাণ ও গেটম্যান নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে।

কুমিল্লা রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী মজুমদার বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে লাকসাম থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ডাবল লাইন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। লাকসাম থেকে আখাউড়া ৭২ কিলোমিটার রেলপথে বৈধ লেভেল ক্রসিংয়ের সংখ্যা ১৪টি, অবৈধ লেভেল ক্রসিংয়ের সংখ্যা ৬৪টি। এরমধ্যে ২০টি লেভেল ক্রসিং নতুন করে বৈধ করা হয়েছে। এ ছাড়া লাকসাম-চাঁদপুর রেলপথে ২০টি বৈধ লেভেল ক্রসিং রয়েছে এবং অবৈধ ৩৭টির মধ্যে ১৪টি নতুন করে নির্মাণ করে বৈধ করা হচ্ছে। আর লাকসাম-নোয়াখালী রেলপথে বৈধ লেভেল ক্রসিংয়ের সংখ্যা ২২টি এবং অবৈধ ৪২টির মধ্যে নতুন করে গেট নির্মাণ করা হচ্ছে ১৬টিতে।

বিজয়পুর এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে লিয়াকত আলী মজুমদার আরও জানান, কুমিল্লা জেলায় রেলপথ রয়েছে প্রায় ১২০ কিলোমিটার। প্রতিটি রেলক্রসিংয়ে ১০০ ফুট করে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হবে। বিজয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এলাকায় ৫০০ ফুট বেড়া নির্মাণ করা হবে।

লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার জসিম উদ্দিন বলেন, লাকসাম রেলওয়ে থানার আওতাধীন এলাকা হলো- ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন থেকে ফেনীর ফাজিলপুর, লাকসাম-নোয়াখালী রুট এবং লাকসাম-চাঁদপুর রেলপথে লাকসামের চিতোষীর আগ পর্যন্ত। এর মধ্যে দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা লালমাই, সদর দক্ষিণ, নাঙ্গলকোটসহ কুমিল্লা জেলা এলাকা।

কুমিল্লা রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী মজুমদার বলেন, পর্যায়ক্রমে সব রেলক্রসিংয়ে গেট নির্মাণ এবং গেটম্যান নিয়োগ দেওয়া হবে। রেললাইনে যেহেতু সবসময় ১৪৪ ধারা বলবত থাকে, সেক্ষেত্রে জনসাধারণকেই সচেতন হতে হবে। মানুষ চলাচলে সচেতন হলে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানি কমে আসবে।