ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

কুমিল্লায় নগর জীবনে গ্রামীণ পিঠার আমেজ

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২০  

শীতে পিঠা তৈরীর প্রচলন বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই রয়েছে। বাহারি নামের ও স্বাদের পিঠা রয়েছে আমাদের দেশে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিচিত ভাপা, পিঠাপুলি, চন্দ্রপুলি, ক্ষীরপুলি, চিতই, পোয়া, পাটিসাপটা, বিভিন্ন রকমের ও স্বাদের নকশা পিঠা ইত্যাদি।

তবে, অন্য অনেক ঐতিহ্যর মত শীতে পিঠা তৈরির রীতিটিও হয়ে গেছে গ্রাম কেন্দ্রিক। তবে, কুমিল্লা নগরীর ইট-পাথরের ভীড়ে সেই ঐতিহ্যের কিছুটা হলেও রেশ ফিরিয়ে দিয়েছে পথের পাশের ছোট-ছোট পিঠার দোকানগুলো।

এ ধরণের দোকানগুলোতে ভাপা আর চিতই পিঠাই বেশী বিক্রি হয়। নগরীর দোকান রয়েছে ঝাউতলা, সিটিপার্ক গেইট, কান্দিরপাড়, শাসনগাছা, ভিক্টোরিয়া কলেজ রোড, রাজগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় দোকানগুলোতে সন্ধার পর-পর পিঠাপ্রেমীদের দেখার মতো ভীড় থাকে।

সিটি পার্ক গেইটের এক পিঠা বিক্রেতার কাছে গেলাম। তিনি চিতই পিঠা বিক্রি করেন। সঙ্গে থাকে ৭ পদের ভর্তা। সরিষা, রসুন-মরিচ, শুঁটকি, ধনেপাতার ভর্তা দিয়ে ধোয়া ওঠা চিতই পিঠা খেতে দারুণ সুস্বাদু। পাশাপাশি পঞ্চমূখী মাটির উনুন থেকে পিঠা তুলছেন আর ক্রেতারা নিয়ে নিচ্ছেন।
খেতে-খেতে কথা হলো দোকানির সঙ্গে। মানুষের ভীড়ে দম ফেলবার যেনো ফুরসত নেই। জানালেন, প্রতিটি পিঠা ১০টাকা করে বিক্রি করেন। ভর্তা ফ্রি। দৈনিক গড়ে ২০০-৩০০ পিঠা বিক্রি হয় তার।

কথা হয়, রাশেদ নামের একজনের সঙ্গে। তিনি এবং তার বন্ধুরা পাল্লা দিয়ে খাচ্ছেন। হাসতে-হাসতে বলেন, ‘গরম চিতই পিঠা ডেইলি খাইতে আসি। ১০-১৫টা আমরার লাইগ্যা কিছুই না’।

এরপর গেলাম ঝাউতলার দিকে আরেকটি পিঠার দোকানে। এখানে বিক্রেতা একজন। ভ্যানের মধ্যে চুলায় বসিয়ে ভাপা পিঠা বিক্রি করছেন তিনি। তাকে ঘিরে আছেন বেশ কিছু ক্রেতা। প্রতিদিন গড়ে ১০০-১৫০টি পর্যন্ত পিঠা বিক্রি হয় তার। গুড়, নারিকেল আর চালের গুড়া দিয়ে তৈরি এই পিঠা না খেলে নয়। যোগ করেন একজন ক্রেতা।

শীতে এমন ছোট-খাটো পিঠার দোকানগুলি নগর জীবনে যেনো নিয়ে আসে গ্রাম বাংলার আবহমান পিঠা উৎসবের আমেজ।