কুমিল্লায় পুকুর পাড়ে শিশুর মরদেহ, ধর্ষণের পর হত্যা

কুমিল্লার বরুড়ায় দশ বছর বয়সী এক শিশুর মরদেহ পাওয়া গেছে; যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় বলে স্থানীয়দের ধারণা।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বরুড়া উপজেলার ভাউকসার ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মাস্টার বাড়ির পুকুর পাড়ে মেয়েটির মরদেহ পাওয়া যায়।

আটক মো. জসিম উদ্দিন (২০) ভাউকসার ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের মনোহর আলীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, শিশুটি উপজেলার শ্রীপুর কলোনি এলাকার বাসিন্দা। বুধবার মেয়েটি একই গ্রামে তার ফুফুর বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল।

বুধবার রাতে ভাউকসার ইউনিয়ন পরিষদের শ্রীপুর এলাকার সদস্য সফিকুর রহমান বলেন, সন্ধ্যায় মেয়েটির মামাতো ভাই ফোনে তার ফুফাতো বোনকে খুঁজে না পাওয়ার কথা বলেন। শেষবার জসিমের সঙ্গে মেয়েটিকে দেখা গেছে। স্থানীয়রা জসিমকে আটক করেছে।

“পরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে জসিমকে জিজ্ঞেস করলে সে অস্বীকার করে বলে – সে মেয়েটিকে দেখেনি। পরে স্থানীয় কয়েকজন তার সামনেই মেয়েটি আর জসিমকে এক সঙ্গে দেখেছে বললে জসিম চুপ হয়ে যায়।”

সফিকুর বলেন, এরপর তিনি জসিমকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান। ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার পর খবর আসে শ্রীপুর গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে মেয়েটির লাশ পাওয়া গেছে।

“কিছুক্ষণ পর পুলিশও আসে। এরপর ছেলেটিকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। মেয়েটার লাশও উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে তারা।”

তিনি আরও বলেন, “মেয়েটা ধর্ষণের শিকার হয়েছে কি-না বলতে পারব না। তবে ধারণা করা হচ্ছে এমনটাই ঘটেছে। তাছাড়া মেয়েটার হাতে দড়ি বা কিছু দিয়ে বাঁধার চিহ্ন আছে। ঘটনা যা-ই হোক মেয়েটা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে, এটা সবাই নিশ্চিত। আমরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে হত্যার নেপথ্যের কারণ আর খুনিদের সামনে আনার দাবি জানাচ্ছি।”

ভাউকসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাশরুল হক বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। ধর্ষণের পর মেয়েটাকে হত্যা করা হয়েছে, এমনটাই বলছেন স্থানীয়রা। তবে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত না। আশা করছি পুলিশের তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে।”

বরুড়া থানার ওসি ইকবাল বাহার মজুমদার জানান, বৃহস্পতিবার সকালে মেয়েটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় এক তরুণকে আটক করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত শেষ হলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।