ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিলো পাঁচ পুলিশ!

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২ জুন ২০২০  

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে এক প্রবাসীকে ক্রসফায়ার ও মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ৯০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। কয়েক দফায় ওই টাকা হাতিয়ে নেয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী হারুন মিয়া।

এ ঘটনায় প্রবাসী হারুন মিয়া গত ৩০ মে এসপির কাছে অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। 

অভিযুক্তরা হলেন, আখাউড়া থানার এসআই মতিউর রহমান, হুমায়ূন কবির, এসএসআই খোরশেদ, পুলিশ সদস্য সোহাগ ও অজ্ঞাতনামা নারী পুলিশ সদস্য।

এসপির কাছে দেয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আখাউড়া পৌর এলাকার মসজিদপাড়ার (উত্তর) বাসিন্দা মো. হারুন মিয়া দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন।  তিনি আবারো প্রবাসে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। হারুন মিয়ার প্রতিবেশী কালাম মিয়ার স্ত্রী চিকুনী বেগম তার মেয়েদের নিয়ে মাদক ব্যবসা করেন। মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় হারুন মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেন চিকুনী বেগম।

 

এসপির কাছে দাখিলকৃত অভিযোগপত্র

এসপির কাছে দাখিলকৃত অভিযোগপত্র

গত ২৫ মে রাত দেড়টার দিকে এসআই মতিউর ও এসআই হুমায়ূন, এএসআই সোহাগসহ আরো দুইজন পুলিশ সদস্য চিকুনী বেগমকে তার বাড়ি থেকে আটক করেন। পরবর্তীতে চিকুনী বেগম ও তার মেয়েদের কথায় পুলিশ সদস্যরা হারুনের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালায়।

অভিযোগে বলা হয়, তল্লাশির নামে হারুনকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হয়রানি করেন পুলিশ সদস্যরা। এছাড়া ঘরের সমস্ত আসবাবপত্র তছনছ করে নাজেহাল করেন। এ সময় হারুন তার প্রতিবেশীদের ডেকে আনেন।

একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা হারুনের ঘরে মাদক না পেয়ে ঘরে থাকা তার মা আয়েশা বেগমের পেনশনের আট হাজার এবং ব্যাংক থেকে উঠানো ৩০ হাজার টাকা নিয়ে নেন। এরপর হারুনকে মারধর করে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা চলে যান।

পরে ভোর ৪টার দিকে আবারো অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হারুনের বাড়িতে এসে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে এক লাখ টাকা দাবি করেন। এ সময় ঘটনাটি ৫০ হাজার টাকায় মীমাংসা হয় এবং ওইদিন বেলা ১১টার মধ্যে টাকা পরিশোধ করার শর্ত দিয়ে ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে ক্রসফায়ার দেয়া হবে বলে হুমকি দিয়ে পুলিশ সদস্যরা হারুনের বাড়ি ছাড়েন। এরপর কথামতো এসআই হুমায়ূনের কাছে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে দেন হারুন।

এ সময় হারুন তার বৃদ্ধ মায়ের পেনশনের আট হাজার টাকা ফেরত চাইলে এসআই মতিউর আট হাজার টাকা ফেরত দেন। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হারুনের কাছ থেকে দফায় দফায় ৯০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

ভুক্তভোগী মো. হারুন মিয়া বলেন, আমার সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে আমি এর বিচার চাই। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে করো সঙ্গে না ঘটে সেজন্য আমি এসপি স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এসআই মতিউর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এসআই হুমায়ূন কবির তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা এবং তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এসপি মোহাম্মদ আনিসুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্ত করো অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।