খালেদার ভুয়া জন্মদিন পালনের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১৫ আগস্টের মতো নৃশংস হত্যা দিবসে খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিন পালনের জন্য জাতির কাছে বিএনপি ক্ষমা চাইবে, এটাই মানুষ আশা করে।

বৃহস্পতিবার তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি। ঈদকে সামনে রেখে করোনাকালীন এ সংকটে রাজনৈতিক ব্লেম গেম থেকে বিএনপিকে বিরত থেকে মানুষের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনেরও আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিবস নিয়ে জাতির কাছে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, তার সঠিক জবাব বিএনপির পক্ষ থেকে আজও পাওয়া যায়নি। খালেদা জিয়া এখন অসুস্থ। তাই ১৫ আগস্টের মতো নৃশংস হত্যা দিবসে তার ভুয়া জন্মদিন পালনের জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম জাতির কাছে ক্ষমা চাইবেন, এটাই মানুষ আশা করেছিল।

সরকার নাকি বাংলাদেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করছে, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার নয়, ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করছে বিএনপি। যেমনটি তারা ২০০১ সালে করেছিল। বিএনপি মহাসচিব প্রতিদিনই এক একটা বিষয় নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে যাচ্ছেন, যা দেশের মানুষ কামনা করে না। 

তিনি বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষের ওপর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছিল বিএনপি। ২১ হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের হাজারো নেতাকর্মীর রক্তে দেশকে মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত করেছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মাহিমা, রহিমা, পূর্ণিমাসহ শত শত নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছিল, তা কি ভুলে গেছে বিএনপি? সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন ৭১’র পাক-হানাদারের নির্যাতনকেও হার মানিয়েছিল।

তিনি বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতে ২৬ মার্চ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজত যে ত্রাস ও তাণ্ডব চালিয়েছিল, তার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল বিএনপি। আগেও ভাস্কর্য ইস্যুতে দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ত্রাস সৃষ্টিতে হেফাজতকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদ দিয়েছিল বিএনপি।

দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যত প্রয়াস, তার সবগুলোর সঙ্গেই বিএনপি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।