ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

খায়রুনের প্রথম স্বামী ছিলেন সহপাঠী, চালিয়েছেন অটোরিকশাও

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০২২  

সহপাঠীর সঙ্গে প্রথম বিয়ে হয় নাটোরের সেই কলেজশিক্ষক খায়রুন নাহারের। যদিও বন্ধুত্ব থেকে তাদের প্রেম হয়েছিল। চার বছর প্রেমের পর সংসার গড়েছিলেন তারা। নানা টানাপোড়েন আর মান-অভিমান থাকলেও একসঙ্গে কাটিয়েছেন ১৯ বছর। এর মধ্যেই ২০২০ সালে বিচ্ছেদ ঘটান এ দম্পতি। তাদের দুই ছেলেও রয়েছে।

বিচ্ছেদের দুই বছর হলেও খাইরুন নাহারের মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি প্রথম স্বামী জহুরুল ইসলাম বাবলু। তিনি বলেন, আমার সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু ছেলেদের সঙ্গে তো ছিল। আমি যেন তাদের মায়ের অভাব পূরণ করতে পারি- এজন্য দোয়া করবেন।

জানা গেছে, মান-অভিমান করেই তাদের সেই সংসার ভেঙে গিয়েছিল। স্বামী জহুরুল ইসলামকে খায়রুনই তালাক দিয়েছিলেন। জহুরুল ইসলামের বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নের পান্নাপাড়া গ্রামে। বর্তমানে তিনি পান্নাপাড়া আব্দুর রহমান বিএম কলেজের প্রভাষক। প্রথম সংসার ভেঙে যাওয়ার পর তিনি আর বিয়ে করেননি।

স্থানীয়রা জানায়, লেখাপড়া শেষ করেই কলেজে শিক্ষকতা শুরু করলেও বহুদিন বেতন হয়নি জহুরুল ইসলামের। সম্প্রতি ঘোষিত এমপিও তালিকায় তার বেতন চালু হয়। এর আগে তাকে আর্থিক চরম অনটন পার করতে হয়েছে। সেই সময়টিতে তিনি অটোরিকশাও চালিয়েছেন। এর মধ্যেই পারিবারিক অশান্তি থেকে তাকে ছেড়ে চলে যান স্ত্রী।

জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘ও খারাপ না ভালো- এটা নিয়ে আমি আর কিছু বলব না। ও-ই আমাকে তালাক দিয়ে চলে গেছে। আমাদের সংসারে দুটি ছেলে রয়েছে। বড় ছেলে বৃন্ত রাজশাহীতে একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। আর ছোট ছেলে অর্ক বাঘার একটি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।’

তাদের বিচ্ছেদের পর বৃন্ত কখনো দাদার বাড়ি আবার কখনো নানার বাড়িতে থাকেন। আর অর্ক তার বাবার কাছে দাদার বাড়িতেই থাকেন।

পরিচয়, প্রেম ও বিয়ে নিয়ে জহুরুল ইসলাম বলেন, আমরা দুজনই রাজশাহী কলেজে দর্শন বিভাগে পড়তাম। ১৯৯৫-৯৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী। সেখানেই পরিচয়, বন্ধুত্ব ও প্রেম। অনার্স পরীক্ষা দিয়েই ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে আমরা বিয়ে করেছি। পরে দুজনই মাস্টার্স করেছি। আমাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে।

কলেজছাত্রকে সাবেক স্ত্রীর বিয়ের বিষয়ে জহুরুল বলেন, ‘ওর ভালো লেগেছিল করেছে। ভালো থাকার আশা নিয়েই তো করেছিল।’