ব্রেকিং:
জিয়াউর রহমান যেভাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে চেয়েছি চলতি হজ মৌসুমে প্রথম বাংলাদেশী হজযাত্রীর মৃত্যু শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ধর্ম অবমাননা কুবি শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ ‘পিডাইয়া লম্বা করে দেওয়ার নির্দেশ’ ফুলবাড়িতে সীমান্তে ঢুকে বিএসএফের গুলিবর্ষণ অভিযানে গিয়ে নারীর মাথায় পিস্তল ধরে, ‘শিশুকে আঘাত’ করে পুলিশ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান রাতেই কুতুবদিয়ায় নোঙর করবে এমভি আব্দুল্লাহ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সিন্ডিকেটের থাবা প্রাণিখাদ্যের বাজারেও কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল, সম্পাদক মুন নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ আজ বিশ্ব মা দিবস চাঁদপুরে মন্ত্রী ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলে আলোচনায় নাজিম কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঋণ শোধের সক্ষমতা অর্জন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের
  • শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

গ্রেনেড হামলা : দুর্বিষহ দিন কাটাচ্ছেন হতাহতদের পরিবার

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০২২  

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হতাহত অনেকের বাড়ি ঢাকার বাইরে। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি থাকায় পরবর্তী সময়ে এসব পরিবারে দুর্ভোগ নেমে আসে। আহত অনেকে এখনো শরীরে স্প্লিন্টার নিয়ে দুর্বিষহ দিন কাটাচ্ছেন। সরকারের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার ও আহত ব্যক্তিরা।

 

আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—

 

মাদারীপুর : গ্রেনেড হামলায় মাদারীপুরের চারজন মারা যান। তাঁরা হলেন রাজৈর উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের চানপট্টি গ্রামের যুবলীগ নেতা লিটন মুন্সি, একই উপজেলার কদমবাড়ী ইউনিয়নের মহিষমারী গ্রামের সুফিয়া বেগম, কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের রামারপোল গ্রামের নাছিরউদ্দিন ও কালকিনির ক্রোকিরচর গ্রামের যুবলীগ নেতা মোস্তাক আহাম্মেদ ওরফে কালা সেন্টু।

আহত ব্যক্তিরা হলেন কালকিনি পৌর এলাকার বিভাগদি গ্রামের হালান হাওলাদার, কৃষ্ণনগর গ্রামের কবির হোসেন ও ঝাউতলা গ্রামের সাইদুল হক সরদার। নিহতদের মধ্যে যাঁরা উপার্জনক্ষম ছিলেন, তাঁদের পরিবারের সদস্যরা এখন কায়ক্লেশে দিন কাটাচ্ছেন। সরকার থেকে আর্থিক সহায়তা পেলেও তা দিয়ে তাঁদের কষ্ট লাঘব হয়নি বলে তাঁরা জানান। এ ব্যাপারে নিহতদের পরিবার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

চিঠি পাঠিয়েও সরকারি সহযোগিতা পাচ্ছেন না রাজৈর উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের উত্তর হোসেনপুর গ্রামের লিটন মুন্সীর মা-বাবা। এমনই অভিযোগ তাঁদের। অসুস্থ হয়ে প্রায় ঘর ধরা তাঁর বাবা আইয়ুব আলী মুন্সী। মা আছিয়া বেগমও ভুগছেন নানা রোগে। সরকারি তিন হাজার টাকা মাসিক ভাতা পেলেও চলে না সংসার ও চিকিৎসার খরচ। প্রতি মাসে তাঁদের ওষুধ কিনতেই লাগে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।

নারায়ণগঞ্জ : শিগগিরই বাড়ি ফিরবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন উপার্জনক্ষম বড় ছেলে রতন শিকদার। মা পথ চেয়ে রইলেন। রতন বাড়ি ফিরলেন ঠিকই, তবে লাশ হয়ে।

সেদিন বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার গাবতলীর সন্তান রতন শিকদার। রতনের মা মমতাজ বেগম শোকের এই ধাক্কা সামলাতে পারেননি। ২০১৮ সালের ১৯ জানুয়ারি তিনি মারা যান।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে ঢাকার দোলাইরপাড় বসবাস করছেন। ছেলে আনন্দ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। মেয়ে অপূর্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স পড়ছেন।

কেশবপুর (যশোর) : ১৮ বছর স্প্লিন্টারের আঘাতে শারীরিক যন্ত্রণা বয়ে চলেছেন কে এম সফিকুল ইসলাম টুকু। টুকু ছিলেন সে সময়ে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী। নিজের জীবন বাজি রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা এই মানুষটি এখন কেশবপুরের ভাড়া বাসায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। টুকু বলেন, ‘গ্রেনেড বিস্ফোরণের পর আমরা ও নেতাকর্মীরা মানববর্ম তৈরি করে নেত্রীকে ট্রাক থেকে দ্রুত নামিয়ে মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়িতে তুলে দিই। ’

শেরপুর : ‘কী যে কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছি, বোঝাতে পারব না। বিচার হয়েছে, খুশি হয়েছি। অপেক্ষায় আছি রায় কার্যকরের। মরার আগে বিচারের রায় কার্যকর দেখে মরতে চাই। আল্লাহ যেন সে পর্যন্ত হায়াত দেন। ’ সেদিনের বিভীষিকার কথা স্মরণ করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এভাবে নিজের অভিব্যক্তি তুলে ধরেন গ্রেনেড হামলায় আহত শেরপুরের সৈয়দা উম্মে কুলছুম রেনু। শরীরে এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন স্প্লিন্টারের যন্ত্রণা।