চাঁদপুরে জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে ৫ জনের মৃত্যু

চাঁদপুরে জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে পাঁচজন মারা গেছেন। স্থানীয় নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টায় সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন এক পল্লী চিকিৎসক (৬০), রাত ২টায় সদর উপজেলার কল্যান্দী গ্রামের এক বৃদ্ধ (৭০), বুধবার সকালে একই গ্রামের এক গৃহবধূ (৩৪) মারা গেছেন।

করোনার উপসর্গ  নিয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় হাজীগঞ্জ উপজেলার হাটিলা পূর্ব ইউপির বলিয়া গ্রামের ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় হাজীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী ও বলিয়া গ্রামের অপর এক বৃদ্ধ (৬০) মারা গেছেন।

হাজীগঞ্জের বলিয়া গ্রামের মনির হোসেন জানান, তার বাবা কয়েকদিন দিন ধরে জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি মার যান। এলাকার কোনো লোকই সহযোগিতা করেনি বরং সবাই পালিয়ে গেছে। পরে অ্যাডিশনাল এসপি আফাজাল হোসেন এর সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি নিজে এসে উপজেলা দাফন কাফন কমিটির সহযোগিতায় বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় দাফন সম্পন্ন করি।

বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় মারা যান একই গ্রামের বাসিন্দা হাজীগঞ্জ বাজারের এক ব্যবসায়ী (৬০)। তাকেও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের টিম নামাজে জানাজা ও দাফনের ব্যবস্থা করেন।

অ্যাডিশনাল এসপি (হাজীগঞ্জ সার্কেল) আফজাল হোসেন জানান, হাজীগঞ্জের বলিয়ার একজন বৃদ্ধের মরদেহ রাতে বাড়িতে পড়ে থাকলেও এলাকার কোনো জনপ্রতিনিধি এগিয়ে আসেনি। ভোরে নিজে গিয়ে তাদেরকে ফোন করি তবুও তারা আসেনি। পরবর্তীতে রিপোর্ট করার কথা বললে তারা এগিয়ে আসে।

অন্যদিকে বুধবার রাত সাড়ে ১২টায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়ার পর মারা যান সদর উপজেলার বাগাদী ইউপির পশ্চিম বাগাদী গ্রামের ভূইয়া বাড়ির এক বৃদ্ধ (৬০)।

স্থানীয় ঢালীর ঘাট বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন জানান, শুনেছি তিনি রাতেই হাসপাতালে মারা গেছেন। রাতেই তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি ঢালীর ঘাট বাজারে নিজ ফার্মেসিতে নিয়মিত রোগী দেখতেন। 

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ফোকাল পার্সন ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল জানান, সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউপির কল্যান্দী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন। রাত ২টায় তিনি মারা যান। একই গ্রামের লাকী বেগম বুধবার সকালে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হন। ভর্তি হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মারা যান।