ব্রেকিং:
ধর্ম অবমাননা কুবি শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ ‘পিডাইয়া লম্বা করে দেওয়ার নির্দেশ’ ফুলবাড়িতে সীমান্তে ঢুকে বিএসএফের গুলিবর্ষণ অভিযানে গিয়ে নারীর মাথায় পিস্তল ধরে, ‘শিশুকে আঘাত’ করে পুলিশ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান রাতেই কুতুবদিয়ায় নোঙর করবে এমভি আব্দুল্লাহ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সিন্ডিকেটের থাবা প্রাণিখাদ্যের বাজারেও কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল, সম্পাদক মুন নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ আজ বিশ্ব মা দিবস চাঁদপুরে মন্ত্রী ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলে আলোচনায় নাজিম কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঋণ শোধের সক্ষমতা অর্জন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কুকি চিনের রক্তথাবায় বিপন্ন সবুজ পাহাড় জুলাইয়ে বেইজিং যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী একদিনের সফরে গোপালগঞ্জের পথে প্রধানমন্ত্রী
  • শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

চিকিৎসক ও যন্ত্রপাতি সংকট স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০২২  

৫০ শয্যাবিশিষ্ট তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কাগজেকলমে থাকলেও বাস্তবে মিলছে না ৩১ সয্যার সেবা। জনবল ও যন্ত্রপাতির সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। সেবা নিতে আসা রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ছুটে যেতে হয় প্রাইভেট ক্লিনিকে। ইমারজেন্সি বিভাগে চিকিৎসক সংকট রয়েছে।

সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৪ সালে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি কার্যক্রম শুরু করে। ২০১৯ সালে এই হাসপাতালটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। পরে চিকিৎসা দিতে ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ডাক্তারকে অতিরিক্ত দায়িত্বে নিযুক্ত করতে হয়। শুধু তাই নয়, ২০১০ সালের ১৫ মার্চ উক্ত হাসপাতালে এক্সরে মেশিন বরাদ্দ পাওয়া গেলেও টেকনিশিয়ানের অভাবে তা আর চালু করা সম্ভব হয়নি। ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর আব্বাস আলী ফাউন্ডেশন থেকে একটি আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন উপহার দেওয়া হলেও তা এখনো বাক্সবন্দি রয়েছে। এক্সরে কিংবা আলট্রাসনোগ্রাফিসহ যে কোনো পরীক্ষার জন্য রোগীদের ঝুঁকি নিয়ে ছুটতে হচ্ছে প্রাইভেট ক্লিনিকে। মেডিক্যাল অফিসারের তিনটি পদের মধ্যে তিন জন থাকলেও ইমারজেন্সি বিভাগে চিকিৎসক নেই। মেডিসিন ও রেডিওগ্রাফি শাখার পদটি খালি রয়েছে।

হোমিওপ্যাথিক বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার সুদীপ কুমার দাস বলেন, ইমারজেন্সিতে ডাক্তার না থাকায় টিএইচওর নির্দেশে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে আমার সহকারী ইমারজেন্সিতে দায়িত্ব পালন করেন। 

চিকিৎসাসেবা নিতে আসা গাজীপুর গ্রামের হালিমা বেগম জানান, একজন মাত্র ডাক্তার রোগী দেখছেন। আমি এক ঘণ্টা হয় লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। কলাকান্দি গ্রামের কলেজ শিক্ষার্থী সাবরিনা আক্তার বলেন, ডাক্তার আমাকে তিনটি ওষুধের নাম লিখে বলেছে হাসপাতাল থেকে নিতে কিন্তু এর মধ্যে দুটি ওষুধ হাসপাতালে নেই।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সরফরাজ হোসেন খান বলেন, আগের এক্সরে মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে। আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন পাওয়া গেলেও জনবলের কারণে তা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিদিন রোগীর সেবা নিশ্চিতসহ সিজারিয়ান অপারেশন চালু রয়েছে। ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও এর কার্যক্রম চালু হয়নি। কাগজপত্র ঠিক করা হচ্ছে। মানুষের সেবার চাহিদার তুলনায় হাসপাতালের কার্যক্রম সীমিত হওয়ায় সুইপার আর কম্পাউন্ডার দিয়েই সেবা দিতে হচ্ছে। অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করলেও কম্পাউন্ডার তার নামের পূর্বে ডাক্তার শব্দ ব্যবহার করতে পারবে না। যদি তাই হয় অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।