চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কুলাঙ্গার বলায় মেয়র কাজলকে শোকজ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কুলাঙ্গার বলাসহ আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

মঙ্গলবার (৭ মে) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম তাকে নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী ২০১৬ এর ৬ ও ১৮ অনুচ্ছেদে আইন ভঙ্গের দায়ে এ নোটিশ দেন। 

নোটিশে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর ১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, আখাউড়া উপজেলা  পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী মনির হোসেনকে (ঘোড়া প্রতীক) কুলাঙ্গার সম্বোধন করায় এবং ২০১৬ এর ৬ অনুচ্ছেদ পরিপন্থি আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদ ব্যবহার করায় উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা  অনুযায়ী আপনার বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা আগামীকালের (৮ মে)  মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট সশরীরে লিখিত ব্যাখা দেওয়ার অনুরোধ করা গেল। 

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এ সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ ও খোঁজখবর নেওয়ার পরই উনাকে (তাকজিল খলিফা কাজল) কারণ দর্শানো হয়েছে। 

এর আগে গত সোমবার (৬ মে) বিকেলে তাকজিল খলিফা কাজল উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেনের সমর্থনে আয়োজিত সভায় বলেন, ‘এবার আর কোনো নয়-ছয় নয়। আমরা দেখবো কোন ওয়ার্ডে, কোন গ্রামে কে জামায়াত-বিএনপি ও এন্ট্রি আওয়ামী লীগ। আমরা তাদেরকে চিহ্নিত করব। আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে জামায়াত-বিএনপি করবে, দলের দুঃসময়ে থাকবে না সেটা তো মানা হবে না।’

নির্বাচনে আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মনির হোসেনকে কুলাঙ্গার আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘তিনি (মনির হোসেন) আখাউড়ার কোনো কোনো নেতাকে নাকি লাঞ্ছিত করেছেন। আমি বলব এসবের প্রতিশোধের জন্য প্রস্তুত থাকুন।’