ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জন্মের চেয়েও গর্ভপাতের হার বেশি যে দেশে

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৭ মে ২০১৯  

সন্তান জন্ম দেয়ার অনুভূতি শ্রেষ্ঠ অনুভূতিগুলোর মধ্যে একটি। কিন্তু পৃথিবী এমন দেশে আছে যেখানে সন্তান জন্ম দেয়ার থেকে গর্ভপাতের হার বেশি। আর এটি ঘটে গ্রিনল্যান্ডে।

দেশটিতে ২০১৩ সালের পর থেকে শিশু জন্মের হার থেকে বেশি গর্ভপাতের হার। দেখা যাচ্ছে, প্রতি বছর যেখানে ৭০০টি শিশুর জন্ম হয়েছে সেখানে গর্ভপাতের ঘটনা ঘটেছে ৮০০টি।

এমন ঘটনার সম্মুখীন ১৯ বছরের পিয়া (ছদ্মনাম) বলেন, এনিয়ে আমি দ্বিতীয়বার চিন্তা করি না। গর্ভপাতের বিষয়ে আমরা খোলামেলা কথা বলি। আমার মনে আছে, শেষবার যখন গর্ভপাত করি তখন আমি আমার সব বন্ধুসহ পরিবারের সবাইকে জানিয়েছিলাম। গত দুই বছরে তিনি মোট পাঁচবার গর্ভপাত করিয়েছেন। সাধারণত আমি জন্মনিরোধক ব্যবহার করি। কিন্তু কখনো কখনো সেটা করতে ভুলে যাই। এখন আমি সন্তান নিতে পারবো না। কারণ আমি এখন স্কুলের শেষ বর্ষে।

গ্রিনল্যান্ডে এরকম আরো বহু নারী আছেন যারা তার মতো বেশ কয়েকবার গর্ভপাত করিয়েছেন।

পরিসংখ্যানে সেটাই দেখা যায় দেশটিতে শিশু জন্মের চেয়ে গর্ভপাতের ঘটনা ঘটেছে বেশি। দেখা যাচ্ছে, প্রতি বছর যেখানে ৭০০টি শিশুর জন্ম হয়েছে সেখানে গর্ভপাতের ঘটনা ঘটেছে ৮০০টি।

তাহলে গ্রিনল্যান্ডে গর্ভপাতের হার এতো বেশি হওয়ার পেছনে কারণ কী?

বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড, কিন্তু এর জনসংখ্যা খুবই কম- মাত্র ৫৬ হাজার। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশটিতে যতো নারী অন্তঃসত্ত্বা হন, তাদের অর্ধেকেরও বেশি গর্ভপাত করে ফেলেন। প্রতি এক হাজার নারীর মধ্যে গর্ভপাতের হার প্রায় ৩০। ডেনমার্কে এই হার মাত্র ১২। গ্রিনল্যান্ড স্বশাসিত একটি দেশ, কিন্তু পুরোপুরি সার্বভৌম নয়। অনেক কিছুর জন্যেই দেশটি ডেনমার্কের উপর নির্ভরশীল।

অর্থনৈতিক সমস্যা, আবাসনের সঙ্কট এবং শিক্ষার অভাব - এসবই গর্ভপাতের হার বেশি হওয়ার কারণ। কিন্তু এই ব্যাখ্যাও যথার্থ নয়, কারণ দেশটিতে বিনামূল্যে গর্ভনিরোধক সরবরাহ করা হয় এবং সেসব খুব সহজেই পাওয়া যায়।

যেসব দেশে গর্ভপাত বৈধ এবং বিনা খরচে সেটা করা যায়, সেসব দেশেও গর্ভপাতের বিষয়ে লাজ-লজ্জা কাজ করে থাকে। কিন্তু গ্রিনল্যান্ডে এরকম কিছু নেই। অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণের ব্যাপারে এই দেশের নারীরা মোটেও চিন্তিত নন। তারা বিব্রতও হন না।

গ্রিনল্যান্ডে ছেলেমেয়েরা ১৪-১৫ বছর বয়স থেকে যৌন সম্পর্ক করতে শুরু করে। জাতীয় পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যাদের বয়স ১৫ তাদের ৬৩ শতাংশ নিয়মিত সেক্স করেন।

তাদেরকে যৌন স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন করতে সরকার ডল প্রজেক্ট নামে কিছু কর্মসূচিও চালু করেছে।