জিয়াউর রহমান কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করেন
কুমিল্লার ধ্বনি
প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০২২
মানবতার ইতিহাসের এক কালো অধ্যায় ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। সংসদে পাশ করার সুযোগ না থাকায় বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দায়মুক্তি দিতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ ১৯৭৫ সালের ২৬ শে সেপ্টেম্বর কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে।
এটি ১৯৭৫ সালের অধ্যাদেশ নং ৫০ নামে অভিহিত ছিল। পরে ১৯৭৯ সালে সংসদ কর্তৃক এটি অনুমোদন করা হয়। যার ফলে এটি একটি আনুষ্ঠানিক আইন হিসেবে অনুমোদন পায়।
১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই বাংলাদেশ সংবিধানের ৫ম সংশোধনীর পর সংশোধিত আইনে এ আইনটি বাংলাদেশ সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এরপর জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর রাষ্ট্র ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৭৬ সালের ২৯ এপ্রিল জিয়া রাষ্ট্রপতি সায়েমের কাছ থেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্ব নিয়ে নেয়। ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করায় এবং প্রহসনের হ্যাঁ-না ভোটে নিজে রাষ্ট্রপতি হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশসহ চার বছরে সামরিক আইনের আওতায় সব অধ্যাদেশ, ঘোষণাকে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে আইনি বৈধতা দেয়া হয়। সংসদে উত্থাপিত আইনটির নাম ছিলো সংবিধান (সংশোধনী) আইন, ১৯৭৯। এটি সংবিধানের চতুর্থ তফসিলের ১৮ অনুচ্ছেদে সংযুক্ত হয়েছিলো, যা পঞ্চদশ সংশোধনীতে বিলুপ্ত হয়।
পঞ্চম সংশোধনীকে বৈধতা না দিলে জিয়াউর রহমানের আমলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা যেত কিন্তু জিয়াউর রহমান তা করেনি। মূলত, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করে জিয়া প্রমাণ করেছেন তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের রক্ষাকারী এবং এই হত্যার ষড়যন্ত্রের মূল কুশিলবদেরই একজন।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পরে লাভবান কারা হয়েছে, এগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, জিয়াউর রহমান এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত ছিল।
জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিচারপতি সাত্তার, জেনারেল এরশাদ এবং খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকলেও কোনো সরকারই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করেনি। বরং খুনীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরস্কৃত করা হয়েছে। সামরিক স্বৈরাচারের ভোট খেলায় খুনিদের এমপিও বানানো হয়ছে।
কুখ্যাত এই অধ্যাদেশে দীর্ঘ ২১ বছর দৃশ্যত থমকে ছিল আইনের শাসন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দরজা খুলে যায়।
সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু বলেছিলেন, যা আমি সংসদে উত্থাপন করলাম, পাস হলো। এই ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সের ছুতা দিয়ে ২১ বছর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার করা হয়নি।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, যদি কেউ বাংলাদেশকে ভালবাসে তাহলে তার এটা বাতিল করা উচিত ছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমান সেটা করেনি, এরশাদ করেনি, খালেদা জিয়াও সেটা করেনি।
’৯৬ এর ১২ নভেম্বর কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে সংসদ। পরে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগও ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের আইনকে বৈধ বলে রায় দেয়।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স থাকলেও তাদের বিচার করা যেত। বিরাট একটা কলঙ্ক এবং জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই কলঙ্ক দূর করেছেন।
এরই পথ ধরে দায়ের করা হয় মামলা। আইনের আওতায় আনা হয় খুনিদের। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসে বাংলাদেশ।
ইতিহাসের নৃশংস এ কালো অধ্যায়ের নেপথ্যে ছিলেন যারা, তাদের বিচার শুরু হতেও অপেক্ষা করতে হয়েছে ৩৪টি বছর। তবে দন্ডপ্রাপ্তদের কয়েকজন এখনো পলাতক। সর্বশেষ ২০২০ সালের ১১ এপ্রিল রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এরআগে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারী রাতে ফাঁসি কার্যকর হয় ৫ খুনীর।
- চাঁদপুরে ২ উপজেলার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- রাতেই কুতুবদিয়ায় নোঙর করবে এমভি আব্দুল্লাহ
- কুমিল্লায় কীটনাশক ছিটানো পুকুরে মাছ ধরতে নেমে শিশুর মৃত্যু
- হিমালয়ে ইসরায়েলিদের সামনেই ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ালেন ৩ বাংলাদেশি
- লোকসভা নির্বাচন: চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ শুরু
- ইউক্রেনে যুদ্ধের মধ্যেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে সরিয়ে দিচ্ছেন পুতিন
- সৌদি পৌঁছেছেন ৯ হাজার ৪৮৪ হজযাত্রী
- উপজেলা নির্বাচন: তৃতীয় ধাপে ভোটের প্রতীক বরাদ্দ আজ
- ইজি ফ্যাশন মালিকদের জালিয়াতির থাবায় নিঃস্ব অনেক পরিবার
- প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, অতঃপর...
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবারও সেরা অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
- চার মেয়ের জন্য একাই লড়ছেন ফাতেমা
- পড়ার ফাঁকে অন্যকে পড়াতো প্রাইভেট, সুরাইয়া পেল জিপিএ-৫
- এবার এসএসসির ফলাফলে মেয়েকে ছাড়িয়ে গেলেন মা
- কুমিল্লায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার
- কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ৯
- চাকরির বয়সসীমা নিয়ে আমার করা সুপারিশের কার্যকারিতা নেই
- নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠনের পরিকল্পনা নেই সরকারের: আইনমন্ত্রী
- আওয়ামী লীগের ‘ফ্রি স্টাইল’ নেতারা নজরদারীতে
- সোমবার রাতেই দেশে ফিরছে এমভি আব্দুল্লাহ
- বিএনপি এখন অদৃশ্য শক্তির ওপর নির্ভর হয়ে পড়ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
- কুমিল্লা বোর্ডে বেড়েছে পাসের হার ও জিপিএ-৫
- আসামিকে না পেয়ে নারীর মাথায় পিস্তল ঠেকালেন পুলিশ কর্মকর্তা!
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই প্রার্থীকে সমর্থন দিল আওয়ামী লীগ
- হবিগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত ৩,প্রধান অভিযুক্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আটক
- বুুড়িচংয়ে পুকুর থেকে স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
- ডিসি সাহেবের বলি খেলায় চ্যাম্পিয়ান কুমিল্লার বাঘা শরীফ
- কুমিল্লা হবে সকল স্তরের উদাহরণ
- সিন্ডিকেটের থাবা প্রাণিখাদ্যের বাজারেও
- দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না
- পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
- বাংলাদেশ-কুয়েত বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন
- কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
- আখাউড়ায় বাজারে অপরিপক্ব লিচু, দামও চড়া
- কুমিল্লা বোর্ডে বেড়েছে পাসের হার ও জিপিএ-৫
- অলির বাজারে ইঞ্জিনিয়ার রিপনের নির্বাচনি জনসভা
- বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের দিকে নজর দিন : শেখ হাসিনা
- শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস, আ.লীগ নেতাকে অব্যহতি
- তারেককে নিয়ে টালমাটাল বিএনপি
- কুকি চিনের রক্তথাবায় বিপন্ন সবুজ পাহাড়
- থার্ড টার্মিনালের পুরোপুরি ব্যবহার ৬ মাসের মধ্যে: বিমানমন্ত্রী
- বিয়ের ৪ মাসেই নববধূর সন্তান প্রসব, তোলপাড়
- শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি জয়নুল আবদিন ফারুকের
- তেলের দাম বাড়াল সৌদি
- কামাল হত্যা : ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার ১২
- প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস: শিক্ষামন্ত্রী
- উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপির ১০ স্বজনের জয়
- আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্র ময়লা ঢুকে দুটি ইউনিটের উৎপাদন আংশিক বন্ধ
- কেন পিছু হঠল আওয়ামী লীগ