ব্রেকিং:
জিয়াউর রহমান যেভাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে চেয়েছি চলতি হজ মৌসুমে প্রথম বাংলাদেশী হজযাত্রীর মৃত্যু শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ধর্ম অবমাননা কুবি শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ ‘পিডাইয়া লম্বা করে দেওয়ার নির্দেশ’ ফুলবাড়িতে সীমান্তে ঢুকে বিএসএফের গুলিবর্ষণ অভিযানে গিয়ে নারীর মাথায় পিস্তল ধরে, ‘শিশুকে আঘাত’ করে পুলিশ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান রাতেই কুতুবদিয়ায় নোঙর করবে এমভি আব্দুল্লাহ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সিন্ডিকেটের থাবা প্রাণিখাদ্যের বাজারেও কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল, সম্পাদক মুন নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ আজ বিশ্ব মা দিবস চাঁদপুরে মন্ত্রী ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলে আলোচনায় নাজিম কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঋণ শোধের সক্ষমতা অর্জন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের
  • শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

জুন মাসে স্বপ্নপূরণ ৪ মেগা প্রকল্পে

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১ মার্চ ২০২২  

২০২২ সালের জুনের মধ্যে চালু হবে বাস্তবায়নাধীন চার মেগা প্রকল্প। এ ৪ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, কর্ণফুলী টানেল ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।  চার মেগা প্রকল্প চালুর এ তথ্য জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ওবাদুল কাদের বলেন, সরকারের যে দায়িত্বটি আমি পালন করছি, সেখানে চারটি মেগা প্রজেক্ট আছে, সেগুলো দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। মেট্রো রেল, পদ্মা সেতু, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও কর্ণফুলী টানেলের কাজ এগিয়ে চলছে, গতি পেয়েছে। সব ২০২২ সালে উদ্বোধন করতে পারব। ২০২২ সালের জুনের মধ্যেই আমরা এ প্রকল্পগুলো চালু করব। এ চার প্রকল্পের মধ্যে মেট্রো রেল ২০২১ সালের ডিসেম্বরে চালুর লক্ষ্য ছিল সরকারের। এ প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, মেট্রো রেল চালুর যে লক্ষ্য ধরা হয়েছে, তা যথাসময়ে অর্জন করা সম্ভব হবে না।

সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ বছরের চ্যালেঞ্জগুলো জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, গতকাল (শনিবার) সড়কের শৃঙ্খলা নিয়ে বৈঠক করেছি। প্রায়োরিটি সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে নিয়ে আসা। বিশ্বব্যাংকও একটা ফান্ড আমাদের দিচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি, শৃঙ্খলা না থাকলে উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে।

সরকারের অন্যতম মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু চালুর লক্ষ্য এরই মধ্যে কয়েক দফা পরিবর্তন করা হয়েছে। সর্বশেষ চালুর লক্ষ্য ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত এগিয়ে নেয়া হয়েছে। গত মাসে শেষ হয়েছে সেতুর স্প্যান বসানোর কাজ। এখন চলছে স্প্যানের ভেতরে রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ। একইভাবে স্প্যানের ওপরে বসানো হচ্ছে রোডওয়ে স্ল্যাব। স্প্যানগুলোর ভেতরে রেলওয়ে স্ল্যাব বসবে ২ হাজার ৯৫৯টি। সেতু বিভাগ জানিয়েছে, ১ হাজার ৯৪২টি রেলওয়ে স্ল্যাব এরই মধ্যে বসে গেছে। অন্যদিকে ওপরে বসানো হবে সব মিলিয়ে ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব, যার মধ্যে বসানো সম্পন্ন হয়েছে ১ হাজার ৩৩৩টি। রোডওয়ে স্ল্যাবের ওপর গড়ে তোলা হবে চার লেনের সড়ক। এখন পর্যন্ত মূল সেতুর সার্বিক কাজ ৯১ শতাংশের বেশি শেষ হওয়ার তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।

নির্মাণকাজের মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত থাকলেও ২০১৯ সালেই মেট্রো রেল চালুর লক্ষ্য ছিল সরকারের। পরে তা পিছিয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে নেয়া হয়। তবে সেই মেয়াদেও চালু হচ্ছে না প্রকল্পটি। এখন পর্যন্ত প্রকল্পটির সার্বিক অগ্রগতি ৫৪ শতাংশ। মেট্রো রেল নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। উত্তরা-মতিঝিল মেট্রো রেলটি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে যেতে কাজ করছে ডিএমটিসিএল। মতিঝিল-কমলাপুর অংশের দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার। নির্মাণ-পূর্ববর্তী কাজগুলো বর্তমানে গুছিয়ে নিচ্ছে সংস্থাটি।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প। এখন পর্যন্ত প্রকল্পটির অগ্রগতি ৬০ শতাংশের বেশি। টানেলটি নির্মাণে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ করছে সরকার।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বাস্তবায়ন হওয়ার কথা ছিল ২০১০-১৩ মেয়াদে। তবে কাজ শুরুই হয় ২০১৫ সালে। এখন শেষ করার মেয়াদ বাড়িয়ে নেয়া হয়েছে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বিমানবন্দর থেকে বনানী হয়ে তেজগাঁও রেলগেট পর্যন্ত অংশটি চালু করা হবে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ পায় ইতাল-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড। তবে শুরু থেকেই আর্থিক সংকটের কারণে প্রকল্পটিতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করতে পারছিল না প্রতিষ্ঠানটি। একটা সময় তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ চুক্তি বাতিলেরও উদ্যোগ নিয়েছিল। শেষমেশ প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় করতে এক্সপ্রেসওয়েটির ৪৯ শতাংশ শেয়ার চীনের শ্যাংডং ইন্টারন্যাশনাল (৩৪ শতাংশ) ও সিনো-হাইড্রো করপোরেশনের (১৫ শতাংশ) কাছে বিক্রি করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। ধীরগতির জন্য ঠিকাদারদের এ অর্থ সংকটকে দায়ী করে আসছেন সেতু মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।