ব্রেকিং:
ধর্ম অবমাননা কুবি শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ ‘পিডাইয়া লম্বা করে দেওয়ার নির্দেশ’ ফুলবাড়িতে সীমান্তে ঢুকে বিএসএফের গুলিবর্ষণ অভিযানে গিয়ে নারীর মাথায় পিস্তল ধরে, ‘শিশুকে আঘাত’ করে পুলিশ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান রাতেই কুতুবদিয়ায় নোঙর করবে এমভি আব্দুল্লাহ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সিন্ডিকেটের থাবা প্রাণিখাদ্যের বাজারেও কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল, সম্পাদক মুন নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ আজ বিশ্ব মা দিবস চাঁদপুরে মন্ত্রী ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলে আলোচনায় নাজিম কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঋণ শোধের সক্ষমতা অর্জন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কুকি চিনের রক্তথাবায় বিপন্ন সবুজ পাহাড় জুলাইয়ে বেইজিং যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী একদিনের সফরে গোপালগঞ্জের পথে প্রধানমন্ত্রী
  • শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ডাক বাংলোয় শিয়ালের হুক্কাহুয়া ডাক, সাপের ফোঁস ফোঁস শব্দ

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১  

যথাযথ নজরদারী ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ডাকবাংলোটি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে দীর্ঘ দিন ধরে। 

সরেজমিনে গিয়ে ভবনের চার পাশ ঘুরে দেখা গেছে , ঝোপ-জঙ্গল, শিয়াল ও বিষাক্ত সাপ, পোকা-মাকড়ে ভরে আছে এই ভবনটি। ব্যবহারের অনুপযোগী এই ভবনটি দ্রুত ব্যবহার উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন তিতাসবাসী। 

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গাজিপুরে অবস্থিত ডাক বাংলো ভবনের বাহিরে প্রাচীর রয়েছে। আর এই প্রাচীরের ভেতরে ঝাড়-জঙ্গল, দুর্গন্ধ ময়লা- আবর্জনা ও শিয়াল, সাপ, বিড়াল ও পোকামাকড়ের আস্থানা। 

দুই তলা এ ভবনটির নিচ তলার কয়েকটি রুমের জানালার কাচ ভেঙে গেছে। হঠাৎ ভবনটি দেখে যে কারো মনে হবে এটি ডাকবাংলো নয় যেন গহিন জঙ্গল। অযত্নে অবহেলায় ভবনের চারপাশে বড় বড় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ জন্মে জঙ্গলে ছেয়ে গেছে। সংস্কার ও পরিচর্যার অভাব এবং বৃষ্টির পানিতে ভবনের দেয়াল ও প্রাচীরগুলো ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। 

 

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ডাকবাংলো

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ডাকবাংলো

মেইন গেটের সামনে ডাক বাংলো কথাটি লেখা থাকলেও সেখানে দেখা গেছে গেইটের রডগুলোতে ভেজা কাপড় ঝুলিয়ে শুকাচ্ছেন আশপাশের লোকজন। বছরের পর বছর অতিবাহিত হলেও দেখা যায়নি কখনো ডাকবাংলোটির গেট খুলতে। বোঝার কোনো উপায় নেই এটি একটি সরকারি ভবন। তবে ডাকবাংলোটির দেখা শোনার জন্য আগে এক ব্যক্তি দায়িত্বে থাকলেও এখন আর তার দেখা মেলেনা। কোনো একটা সময় দায়িত্ব পালনের অবহেলার ও বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার অনেক কর্মকর্তা বলেন, বাইরের যে অবস্থা ভেতরের অবস্থা তার চেয়ে কয়েকগুণ খারাপ। রাত হলেই শেয়াল, কুকুর, বিষাক্ত সাপ আর বেড়ালের ভয়ানক ডাক শোনা যায়। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ভবনের ভেতরে থাকা আসবাবপত্র ও ফার্নিচার। ধুলো আর ময়লা ছাড়া তিল ধারনের জায়গা নেই ভবনের ভেতরে। 

ডাকবাংলোর পাশের বাসার এক গৃহবধূ জানান, প্রতিদিন রাতে আমাদের হাঁস মুরগি এমনকি ছাগল পর্যন্ত নিয়ে যায় নেকড়ে শিয়ালের দল। তাছাড়া রাত হলেই শুরু হয় শিয়ালের হুক্কাহুয়া ডাক ও বিষধর সাপের ভয়ানক ফোঁস ফোঁস শব্দ। 

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরনবী বলেন, তিতাস ডাকবাংলোটি বসবাসের অনুপযোগী। চার পাশ ঝাড় জঙ্গলে ছেয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংস্কার করার অনুরোধ করব। 

তিতাসের ইউএনও এটি এম মোর্শেদ বলেন, তিতাসের ডাকবাংলোটির বিষয়ে আমার জানা নেই। এই প্রথম শুনলাম। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে আমাদের তেমন সংশ্লিষ্টতা নেই, আছে জেলা পরিষদের। তথাপিও বিষয়টি দেখব। 

কুমিল্লা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাা মো. হেলাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি নিজেও এটি দেখে এসেছি। এই ডাক বাংলোটি করা হয়েছে উপজেলা থেকে অনেক দূরে। এই ভবনটি জেলা পরিষদ করলেও তার রক্ষণাবেক্ষণ করার দায়িত্ব ইউএনওদের। কিন্তু কোনো ইউএনও এটির রক্ষণাবেক্ষণ না করাতে আর কোনো অতিথি না যাওয়াতে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান ইউএনও এই বিষয়ে আন্তরিক।