দেবিদ্বারে বাক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ, বৃদ্ধ আটক

বাক প্রতিবন্ধী একশিশু (১০) কে ধর্ষণের অভিযোগে ৫৫ বছরের এক বৃদ্ধকে আটক করেছে দেবিদ্বার থানা পুলিশ। সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ধামতি মধ্যপাড়া গ্রামের মধুরবাড়ি এলাকার একটি রিক্সা গ্যারেজে এ ঘটনা ঘটে। জন্মগত বাক প্রতিবন্ধী শিশুটি ওই গ্রামের রিক্সা চালক ইয়াসিনের মেয়ে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশংকজনক অবস্থা দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণের পরামর্শ দেন। বর্তমানে সে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

প্রত্যাক্ষদর্শী এক নারী জানান, প্রথমে আবদুল মজিদকে রিক্সা চালিয়ে মেয়েটিকে তার গ্যারেজের দিকে নিয়ে যেতে দেখি। পরে আমার সন্দেহ হলে আমি রিক্সার পিছু নেই। দশ মিনিট পরে তার গ্যারেজের কাছে পৌছলে রাস্তার ওপরে মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে স্থানীয় কয়েকজন যুবককে জানালে তারা ধর্ষক আবদুল মজিদকে গ্যারেজের ভিতর থেকে আটক করেন।

শিশুটির দাদা নাজির আহমেদ জানান, প্রায় প্রতিদিন শিশুটি আমার সাথেই গরুর ঘাস কাটতে মাঠে যেত। কিন্তু আজ (গতকাল) তাকে না পেয়ে আমি একাই মাঠে যাই। পরে এ ঘটনা শুনে দ্রুত বাড়িতে আসি। তিনি আরও জানান, আমার নাতনি একেবারেই অসহায় তার বাবা থেকেও নেই। মা তাকে নয় মাস বয়সে ফেলে অন্যত্র চলে যায়। এরপর থেকে আমিই তাকে তাকে দেখা শুনা করি। প্রতিবন্ধী ভাতা দিয়েই তার চিকিৎসা ও অন্যান্য খরচ চলে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রাশেদা বেগম জানান, ধর্ষক আবদুল মজিদ’র বিরুদ্ধে এর আগে আরও চারটি ধষর্ণের অভিযোগ রয়েছে। ওই গুলো স্থানীয়দের সহায়তায় আপোষ মিমাংসা হয়।

দেবিদ্বার থানার ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, উত্তেজিত এলাকাবাসী ধর্ষক আবদুল মজিদকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছেন। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শিশুটির দাদা নাজির আহমেদ বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।