দেবিদ্বারে ভাঙা কালভার্টে দুর্ভোগ ছয় হাজার মানুষের

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়নের সাইতলায় গ্রামীণ সড়কের কালভার্ট ভেঙে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে চার গ্রামের প্রায় ছয় হাজার মানুষ। গত সাত মাস ধরে কালভার্টটি ভেঙে পড়ে থাকলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি কেউ। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ভ্যান, ভটভটি, মটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন। এতে যেকোন মুহুর্তে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়াও কৃষকের উৎপাদিত ফসল আনা-নেওয়া ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

বুধবার দুুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ভানী ইউনিয়নের সাইতলা উচ্চ বিদ্যালয় ও ঈদগাহ মাঠের পাশে গ্রামীণ সড়কের ওপর ওই কালভার্ট। কালভার্টের মাঝখানে ঢালাই ভেঙে রড বের হয়ে গেছে। ভাঙা অংশ দিয়ে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে চলছে শিক্ষার্থীসহ এলাকার শত শত মানুষ। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।  
স্থানীয় বাসিন্দা বিজিবি (অবঃ) কর্মকর্তা মো.হাবিবুর রহমান ও সাবেক ইউপি মেম্বার নুরুল ইসলাম বলেন, গত সাত মাস ধরে কালভার্টের ওপরের অংশের ঢালাই অল্প অল্প করে ভেঙে বিশাল আকার ধারণ করেছে। কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এছাড়াও গ্রামের বেশিরভাগ রাস্তাঘাট ভাঙাচোরা। বেহাল রাস্তা ও ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্ট নিয়ে দীর্ঘদিন মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করলেও কোনো  প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এ রাস্তা দিয়ে মাধাইয়া বাজার, সাইতলা বাজার,নাওতলা,  সূর্যপুর, ভানীসহ সাত গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ জেলা ও উপজেলা সদরে চলাচল করে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্যও সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ। এটি পাশেই সাইতলা উচ্চ বিদ্যালয়। তিন রাস্তার সংযোগস্থলের এ গুরুত্বপূর্ণ বছর হলেও মেরামত করা হয়নি। মো. সোহেল নামে  স্থানীয় অপর ব্যক্তি জানান, রাস্তার কালভার্ট অল্প অল্প করে ভেঙে এখন বিশাল আকার ধারণ করছে। এটি প্রায় ২০ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। রাতে অপরিচিত কেউ এদিকে আসলে বিপদে পড়তে হয়। এখানে অনেকগুলো র্দুঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানিয়ে রাস্তার উন্নয়নসহ ভাঙা কালভার্ট মেরামতের জন্য প্রশাসনের কাছে সহায়তা চেয়েছেন তিনি।
ভানী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. হাজী জালাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ভাঙা কালভার্টের বিষয়টি আমি জেনেছি। এটি সংস্কারের জন্য আমি উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরে চিঠি লেখব। এটি নতুন করে  নির্মাণ করা জরুরি । রাস্তা ও কালভার্ট এ সাথে মেরামত করা হলে দুর্ভোগ আর থাকবে না।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ চন্দ্র সরকার বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি খোঁজ নিয়ে  দ্রুত কালভার্টটি মেরামতের ব্যবস্থা করব।