দেবিদ্বারে ভেজাল ম্যাংগো জুস- সস তৈরির কারখানায় অভিযান

কাপড় তৈরিতে ব্যবহৃত রং, ঘনচিনি,  স্যাকারিন আর ফ্লেভার দিয়ে তৈরি করা ভেজাল ম্যাংগো জুস ও সস তৈরীর কারখানায় অভিযান চালিয়ে, কারখানায় সিলগালা করে, ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার, ভূষনা গ্রামে বিএসটিআই ও পরিবেশছাড়পত্র বিহীন, ‘এশিয়ান’ নামের একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে, ভ্রাম্যমান আদালত উক্ত রায় দিয়েছে- এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন, দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রবীন্দ্র চাকমা ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লা’র সহকারী পরিচালক, আসাদুল ইসলাম।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লা’র সহকারী পরিচালক আসাদুল ইসলাম জানান, পাইপ জুস ও সসে ভেজাল ক্যামিকেল কাপড়ের রং ব্যবহার করায়, ভ্রাম্যমান আদালত অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানের মালিক আবু বকর সিদ্দিকির ম্যানেজারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে,  কারখানাটিতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। আদালত কারখানার ম্যানেজার কে হুশিয়ারী করে বলেন-যতদিন পর্যন্ত কারখানার নামে বিএসটিআই ও পরিবেশছাড়পত্রাদি না করা হবে, ততদিন উক্ত কারখানাটি বন্ধ থাকবে। নতুবা পরবর্তীতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
মোবাইলকোর্ট পরিচালনার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেখতে পান- কারখানায় নোংরা পরিবেশে কাপড়ে ব্যবহৃত বিভিন্ন রং, ফ্লেভার আর ঘনচিনি ও স্যাকারিনের দিয়ে, মেশিন ছাড়াই ম্যাংগো জুস ও সস তৈরি করা হচ্ছে। নকল এশিয়ান কোম্পানিটির মান নিয়ন্ত্রণ ও বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নেই। আদালত অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানায়, ৬ মাস ধরে এভাবে এশিয়ান ফুড কোম্পানিটি জুস তৈরি করছে এবং সারা দেশে তাদের এ ভেজাল ও নকল পন্য সরবরাহ করছে। এ জন্য এশিয়ান ফুড কোম্পানির মালিক আবু বকর সিদ্দিক আদালতের কাছে দোষ স্বীকার করে ক্ষমাও চান। 
এ সময় স্যাকারিন যুক্ত বিপুল পরিমানে ভেজাল জুস, সস ও ম্যাংগো আচার জব্দ করে এলাকাবাসীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়।