ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

দেশে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়া এবং ব্যবহারের নিয়ম

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২০  

নিজের বাড়িতে বসে ফাঁকা গুলি ছোঁড়েন ফরিদপুরের ভাঙা উপজেলার ইউএনও। পরে সেখানে পুলিশ গেলে ওই কর্মকর্তা দাবি জানান, পরীক্ষা চালানোর জন্য নিজের অস্ত্র দিয়ে তিনি গুলি ছুঁড়েছেন।

পুলিশের মতে, আগ্নেয়াস্ত্র থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গুলি কেবল কেনার পরপরই চালানো যাবে।

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বেশ আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে আসলে আগ্নেয়াস্ত্র কেনার, ব্যবহারের নিয়মকানুন কী রয়েছে? কারা কিনতে পারেন? ডেইলি বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য বিষয়টি তুলে ধরা হলো-

বৈধভাবে অস্ত্র কিনতে পারবেন কারা?

দেশে ছোট-বড় যেকোনো ধরণের আগ্নেয়াস্ত্র কেনার জন্য আগেই লাইসেন্স করতে হয়। এ সংক্রান্ত নিয়মগুলো কয়েকটি আইনের আওতায় পরিচালিত হয়। এর মধ্যে মূলত ১৮৭৮ সালের আর্মস অ্যাক্ট এবং ১৯২৪ সালের আর্মস রুলস আইনের আওতায় আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য কিছু মানদণ্ড রয়েছে। সেগুলো পূরণ হলেই একজন নাগরিক আবেদন করতে পারবেন।

আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়ার মানদণ্ড:

*বাংলাদেশের বৈধ নাগরিক হতে হবে

*আবেদনকারীর জীবনের বাস্তব ঝুঁকি থাকলে, অর্থাৎ কেবলমাত্র আত্মরক্ষার ব্যাপার থাকলে তিনি আবেদন করতে পারবেন। 

*'শর্ট ব্যারেল' আগ্নেয়াস্ত্রের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বয়স ন্যূনতম ৩০ বছর, 'লং ব্যারেল' আগ্নেয়াস্ত্রের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২৫ বছর হতে হবে এবং ৭০ বছরের নিচে হবে। 

*আবেদনকারীকে অবশ্যই আয়কর দাতা হতে হবে, বছরে ন্যূনতম দুই লক্ষ টাকা আয়কর প্রদান করতে হবে। 

*অনুমতি পেলে আবেদনকারী অস্ত্র আমদানি করে আনতে পারেন, অথবা দেশীয় বৈধ কোন ডিলারের কাছ থেকে অস্ত্র কিনতে পারবেন। 

*কোন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুইটি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

লাইসেন্সের জন্য আবেদন:

আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য একজন নাগরিককে তার স্থায়ী ঠিকানার ডিসির কার্যালয়ে লাইসেন্স ও আগ্নেয়াস্ত্র বিভাগ থেকে আবেদন পত্র সংগ্রহ করতে হবে। এক্ষেত্রে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ বা এসবি শাখা তদন্ত করে আবেদনকারীর তথ্য মিলিয়ে দেখে একটি রিপোর্ট দেয়। এরপর ডিসি বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমোদনের পর সেটি পাঠানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনাপত্তি পত্র দিলে ডিসি ওই আবেদনকারীর বরাবরে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করেন।

 

আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সের আবেদন ফরম

আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সের আবেদন ফরম

এক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সঙ্গে বৈধ নাগরিকত্বের সনদপত্র, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, ট্যাক্স সার্টিফিকেটের ফটোকপি, ছয় কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং লাইসেন্স ফি জমা দিতে হবে।

অস্ত্র ব্যবহারের নিয়ম:

আগ্নেয়াস্ত্রের মালিক কখন 'টেস্ট ফায়ার' বা পরীক্ষামূলকভাবে ফাঁকা গুলি চালাতে পারবেন, সে সংক্রান্ত কিছু নিয়ম আছে।

আগ্নেয়াস্ত্র বিষয়ে সর্বশেষ 'আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা ২০১৬' আইনে কেবলমাত্র আত্মরক্ষার স্বার্থে ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। তবে, এই আইনে ব্যক্তিগত পর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান সাধারণভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. মুনিম হাসান বলেন, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া 'টেস্ট ফায়ার' করা যাবে না। নতুন কেনা অস্ত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে আগ্নেয়াস্ত্রের মালিক 'টেস্ট ফায়ার' করতে পারবেন। এছাড়া যাদের পুরনো অস্ত্র বছর শেষে বার্ষিক নবায়ন করতে যাবেন, তখন ডিসির কার্যালয়ে নিয়ম অনুযায়ী 'টেস্ট ফায়ার' করা হয় অস্ত্রের কার্যকারিতা প্রমাণ করে দেখার জন্য।

এছাড়া গুলি ক্রয় বা সংগ্রহের ক্ষেত্রেও ডিসির অনুমতি লাগে এবং গুলির হিসাব সংশ্লিষ্ট থানা এবং ডিসির কার্যালয়ে অবহিত করতে হয়। গুলি সংগ্রহের বাৎসরিক সীমা বা পরিমাণ লাইসেন্সে নির্ধারিত থাকে। এছাড়া আগ্নেয়াস্ত্র যিনি ব্যবহার করবেন লাইসেন্সটি তার নামে থাকতে হবে, যেমন মালিক যদি ব্যবহার করেন তার নামে লাইসেন্স থাকতে হবে। আবার কোনো ক্ষেত্রে যদি আগ্নেয়াস্ত্রটি মালিকের দেহরক্ষী ব্যবহার করেন তাহলে বডিগার্ড এর নামে লাইসেন্স থাকতে হবে।

নিজের অধিকারে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার সাধারণ কিছু নিয়ম-

*আগ্নেয়াস্ত্র হারিয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে জিডি করতে হবে।

*মালিক দেশের বাইরে গেলে, আগ্নেয়াস্ত্রের নিরাপত্তার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট থানাকে জানিয়ে যেতে হবে

*যেকোনো নির্বাচনের আগে আগ্নেয়াস্ত্র স্থানীয় পুলিশের কাছে জমা দিতে হয়

*এক বছর পর পর আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়।