ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

দেশে হিন্দু বৌদ্ধ মুসলমান খ্রিস্টান কোনো ভেদাভেদ নেই: তথ্যমন্ত্রী

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৩ আগস্ট ২০২০  

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে ধর্ম যার যার উৎসব কিন্তু সবার। আমাদের দেশে হিন্দু বৌদ্ধ মুসলমান খ্রিস্টান কোনো ভেদাভেদ নেই।

তিনি বলেন, আজকে মুসলমানদের কোরবানির ঈদ উদযাপিত হচ্ছে, আজকে সবার ঈদ উৎসবের সময়। আমরা গ্রামে সকল ধর্মের মানুষ মুসলমান হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান একসঙ্গে ভাই ভাই হিসেবে বড় হয়েছি। এটি সমগ্র বাংলাদেশের চিত্র। কিন্তু আমাদের গ্রামে এই সম্প্রীতি অন্যান্য জায়গার তুলনায় আরও বেশি। আমাদের এখানে কখনো কোন ভেদাভেদ ছিলনা, ভবিষ্যতেও থাকবে না, কেউ চেষ্টা করলেও সেটা নষ্ট করতে পারবে না।

রোববার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় তথ্যমন্ত্রীর গ্রামের বাড়ি সুখবিলাস ভগবানপুর ধর্ম্মাংকুর বৌদ্ধ বিহারে জ্ঞাতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাঙ্গুনিয়া বৌদ্ধ জনসাধারণবৃন্দের আয়োজনে অনুষ্ঠিত জ্ঞাতি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সুখবিলাস ধর্ম্মাংকুর বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ প্রজ্ঞাজ্যোতি মহাস্থবীর। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি জ্ঞানবংশ মহাথের, উর্ধ্বতন সভাপতি পরমানন্দ মহাথের এমএ, বাটাপাহাড় সার্বজনিন শালবন বিহার অধ্যক্ষ সুমনতিষ্য থের, ফলহারিয়া সদ্ধর্মলঙ্কার বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ দেবময় ভিক্ষু, পশ্চিম শিলক বনরত্ন বিহারের অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ বংশভিক্ষু, মাষ্টার রঞ্জন বড়ুয়া, আশীষ বড়ুয়া, অধীর বড়ুয়া, রাজন তালুকদার শিবলু, বিধু মুৎসুদ্দী, টিটু বড়ুয়া প্রমুখ।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের যখন প্রবারণা পূর্ণিমা অনুষ্ঠিত হয় তখন ফানুস উড়ানো হয়। তখন কিন্তু শুধু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ নয়, সবাই মিলে ফানুস উড়ান। সবাই কিন্তু সেই উৎসবে শামিল হয়। আমাদের যখন ঈদ উৎসব হয় তখন মুসলমানদের বাড়িতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবাই যান। এটাই আমাদের দেশের ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্য যুগ যুগ ধরে চলে আসছে।

তথ্যমন্ত্রী নিজ গ্রামের এই বৌদ্ধ বিহারের স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, ছোটবেলা থেকে আমি এই বিহারে আসতাম। এখানে আসলে বৌদ্ধ বিহারের যিনি অধ্যক্ষ ছিলেন তিনি আমাদের চকলেট দিতেন, নাড়ু ও বাতাসা খাওয়াতেন, আমাদের মত বাচ্চাদের দেখলে নানা ধরনের আপ্যায়ন করতেন। তখনকার যেসব ভিক্ষুরা ছিলেন তাদের আমি পায়ে ধরে সালাম করতাম। বর্তমানেও যিনি আছেন তিনিও প্রায় আমার বাবার বয়সি। উনিও আমার পিতৃতুল্য শ্রদ্ধাভাজন।

সুখবিলাস ভগবানপুর ধর্ম্মাঙ্কুর বিহারটি ১৯০২ সালে প্রতিষ্টিত হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি ১১৮ বছর আগের পুরনো বৌদ্ধ বিহার। এই বিহারসহ আশপাশের বিহারগুলোর উন্নয়নে আমি অনেক কাজ করেছি। আমি মনে করি এটা আমার গ্রামের বৌদ্ধ মন্দির মানে আমার মন্দির। এবারও এই বিহারসহ পাশের দুই বিহারের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এভাবে রাঙ্গুনিয়ার প্রতিটি বৌদ্ধমন্দির একাধিকবার বরাদ্দ পেয়েছে।

তিনি বলেন, এই বিহারে আরও দুটি সোলার লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর বাইরে আরো কিছু প্রয়োজন থাকলে সেটিও কাজ করা হবে। অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী পাশের সুখবিলাস সার্বজনীন লুম্বীনিকানন বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেন এবং বৌদ্ধ ধর্মের নেতাদের নিয়ে ফানুস উড়ান।
এর আগে বিকালে তথ্যমন্ত্রী রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা চক্ষু হাসপাতাল এর ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন।