নগরীর বাজারে বাড়ছে সবজির দাম

মাত্র ৭ থেকে ৮ দিন বাদে রমজান। এর মাঝে চলছে লকডাউন। লকডাউনে হু হু করে বাড়ছে কুমিল্লার সবজির দাম। প্রায় সবজির কেজি ৭০ টাকা ছাড়িয়েছে। বাকি সবজির বেশিরভাগের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা বা এর কাছাকাছি। তার মধ্যে বাজারের ভিন্নতায় দামেরও বিশাল তারতম্য নগরবাসীর ভোগান্তিতে পরিণত হচ্ছে। সবজির এমন চড়া বাজারে করে দাম কমেছে ব্রয়লার, সোনালি ও পেয়াজের।

গতকাল বুধবার নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম ২০-২২ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বরবটি সিমের দাম কেজিতে বেড়েছে ১৫ টাকা। করলার দাম ২০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। খুচরা ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গাজর প্রতি কেজি ৩০ টাকা যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫ টাকা। বেগুন ৫০ টাকা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা আগে ছিল ৬০ টাকা, কইডার দাম ৪০ই আছে, ঢেরস, করলা, পটলের দাম ৬৫ থেকে ৭০ এর মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। কচুর লতির দাম ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়।

এর মধ্যে পাকা টমেটো গত সপ্তাহের তুলনায় ৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে যার বর্তমান দাম ২০-২৫ টাকা। এছাড়াও লাউয়ের প্রতিপিস গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে। এক হালি কাঁচকলা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। লক্ষ্যনীয় দাম বেড়েছে ঝিঙার যা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। পেপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ টাকা।

এদিকে স্বস্তি মিলেছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগীর দামে। সোনালি প্রতি কেজিতে কমেছে ১০০ টাকা। আর প্রতিকেজি ব্রয়লার ১০ টাকা কমে এখন ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চড়া দামের বিষয়ে সবজি কিনতে আসা স্কুল শিক্ষক পরশ চন্দ্র দাস বলেন, লকডাউনে দাম একটু বেড়েছে। রমজানও সামনে খুব বেশি বেড়ে গেলে আমাদের মধ্যবিত্তদের বিপদে পড়তে হবে।

সবজির দামের বিষয়ে রাজগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী জোবায়ের হোসেন বলেন, বাজারে আগের তুলনায় সবজির সরবরাহ বাড়ছে দাম তাড়াতাড়ি কমে আসবে। আমরা লকডাউনে বেশি সবজি আনতে সমস্যা হয় তাই কম আনি বলে দামটা একটু বেশি। লকডাউন ছাড়লে দাম আরও কমে যাবে।