নাঙ্গলকোটে সন্ত্রাসী হামলা ভাংচুর, আটক-৬

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে নারী ঘটিত বিষয়ে সন্ত্রাসী হামলায় দোকানপাট, বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার রাতে উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের, বেল্টা ও পূর্ববামপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় এক ইউপি সদস্যসহ ৬ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

 

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, উপজেলার বেল্টা ও পূর্ববামপাড়া গ্রামে, শনিবার রাতে নারী ঘটিত বিষয়ে একশ থেকে দেড়শ জনের একটি সন্ত্রাসী দল, দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে পূর্ববামপাড়া গ্রামের উত্তর পাড়ার ছালেহ আহাম্মদের মুদি দোকান, আতর ইসলামের চা ও মুদি দোকান এবং আলমগীরের চা দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। পরে সন্ত্রাসী দলটি পূর্ববামপাড়া গ্রামের রেজাউল হক রেজু, সেকান্দর আলী, নবী হুজুরের টিনসেডের বেড়াতে, হোসেনের চা দোকান ও এছহাক সওদারের মুদি দোকানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে পালিয়ে যায়।

 

খবর পেয়ে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ৬ জনকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন- বেল্টা গ্রামের ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম, তার ভাই পেয়ার আহম্মদ ও রেজাউল হক । পূর্ববামপাড়া গ্রামের মহিবুল্লাহ, মজিবুল হক ও জসিম উদ্দিন হোরা। এঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

 

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ছালেহ আহাম্মদ জানান, আমার দোকানের সাড়ে তিন লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এছাড়া আমার পার্শ্ববর্তী আতর ইসলামের চা দোকান থেকে ২ লাখ টাকার মালামাল ও আলমগীরের চা দোকান থেকে ৬০ হাজার টাকার মালামাল লুট হয়েছে।

 

নাঙ্গলকোট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদের জন্য ৫ জনকে থানায় নিয়ে আসি। এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।