ব্রেকিং:
কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা জিয়াউর রহমান যেভাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে চেয়েছি চলতি হজ মৌসুমে প্রথম বাংলাদেশী হজযাত্রীর মৃত্যু শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ধর্ম অবমাননা কুবি শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ ‘পিডাইয়া লম্বা করে দেওয়ার নির্দেশ’ ফুলবাড়িতে সীমান্তে ঢুকে বিএসএফের গুলিবর্ষণ অভিযানে গিয়ে নারীর মাথায় পিস্তল ধরে, ‘শিশুকে আঘাত’ করে পুলিশ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান রাতেই কুতুবদিয়ায় নোঙর করবে এমভি আব্দুল্লাহ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সিন্ডিকেটের থাবা প্রাণিখাদ্যের বাজারেও কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল, সম্পাদক মুন নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ আজ বিশ্ব মা দিবস চাঁদপুরে মন্ত্রী ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলে আলোচনায় নাজিম কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
  • রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পাঠক সংকটে ফেনীর পাঠাগার

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

পাঠক সংকটে ভুগছে ফেনীর পাঠাগারগুলো। লাইব্রেরিতে যারা আসেন, তাদের বড় অংশই চাকরির পরীক্ষার্থী। নিয়োগ পরীক্ষার সিলেবাস পড়তে আসেন। ফেনীতে জেলা গণগ্রন্থাগারের রেজিস্ট্রেশনকৃত ৫ থেকে ৬টি লাইব্রেরি থাকলেও সে লাইব্রেরিগুলোতে পাঠক নেই বললেই চলে। 

ফেনী জেলা গণগ্রন্থাগার ১৯৮২ সালে স্থাপিত হয় কিন্তু লাইব্রেরির আর্কাইভে নেই পর্যাপ্ত ইতিহাস। নেই ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের ইতিহাসের পর্যাপ্ত ইতিহাস। স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ফেনী আগমনের কোনো ইতিহাসও আর্কাইভে নেই। 

এছাড়াও ফেনীর লেখকদের বইগুলোও লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত নেই। ফেনীতে উচ্চ শিক্ষার জন্য ফেনী সরকারি কলেজ থাকলেও গবেষণামূলক কোনো বই লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত নেই। এতে করে পাঠকরাও লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত আসে না। ফেনী জেলা গণগ্রন্থাগার শহর থেকে দূরে জেলা শিল্পকলা একাডেমির পাশে হওয়াতে অনেক পাঠক লাইব্রেরিতে গিয়ে বই পড়তে আগ্রহী হয়না।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বইয়ের পাঠক এখন ইন্টারনেটমুখী। তাই পাঠক আসছে না। লাইব্রেরিকেই ডিজিটালাইজড করে পাঠকের কাছে নিতে হবে। পাঠকরা যাতে লাইব্রেরিতে আসে তার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।

জেলা লাইব্রেরিয়ান কামরুল ইসলাম বলেন, জেলা গণগ্রন্থাগারে ৩২ হাজার বই রয়েছে। যার মধ্যে সামাজিক, রাজনৈতিক, সাহিত্যিক ও মুক্তিযুদ্ধের বই রয়েছে কিন্তু কিছু কিছু পাঠক আসলেও অনেক পাঠকই চাকরি প্রত্যাশী, চাকরির প্রস্তুতি নিতে আসেন। ১৯৯৩ সাল থেকে পত্রিকাগুলো লাইব্রেরির আর্কাইভে রয়েছে। এর আগের কোনো ইতিহাস আর্কাইভে নেই। এছাড়াও শিশুদের জন্য শিশুতোষ কর্নারসহ বঙ্গবন্ধু কর্নার রয়েছে।

তিনি বলেন, ফেনীর গ্রন্থাগারে ফেনীর লেখকদের বিচ্ছিন্ন কিছু বই রয়েছে। তবে পর্যাপ্ত নেই। যা লেখক অনুযায়ী তুলনামূলক কম। দায়িত্ব নেয়ার পর পাঠক কিছুটা আসে। তবে তাও তুলনামূলক কম। পাঠককে লাইব্রেরিমুখী করার জন্য নানান পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

শহরের মূল কেন্দ্র কলেজ রোডে স্থাপিত নবীন চন্দ্র সেন পাবলিক লাইব্রেরি। ১৯৫৯ সালে স্থাপিত হওয়া লাইব্রেরিটিতে রয়েছে প্রায় ৪ হাজার এর মতো বই। এসব তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত নবীন চন্দ্র সেন পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত বই নেই। তবে নতুন নতুন অনেক বই নিয়ে আসা হচ্ছে যাতে পাঠকরা লাইব্রেরিমুখী হয়। লাইব্রেরিতে রাজনৈতিক, দর্শন, সাংস্কৃতিক বইসহ অন্যান্য বইগুলো রয়েছে। তবে তা পর্যাপ্ত নয়। লাইব্রেরিতে বই বাড়ানোর জন্য নানা রকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। যেহেতু এটি সরকারি গ্রন্থাগার নয় সে জন্য সব উদ্যোগ বাস্তবায়ন হয় না। পাঠক তুলনামূলক কম আসে সেটা সত্যি। তবে পাঠক সংকট কাটানোর জন্য নানাবিধ পরিকল্পনা করা হয়েছে এরই মধ্যে। 

তিনি বলেন, পাবলিক লাইব্রেরি অংশে একটি কালচারাল সেন্টারসহ একটি ক্যাফেটেরিয়া করা হয়েছে যাতে পাঠকরা লাইব্রেরিমুখী হয়। তবে পাঠক বাড়ানোর জন্য আরো নতুন বই প্রয়োজন। প্রচারণা প্রয়োজন যা পাঠকদের উৎসাহিত করবে। এই লাইব্রেরিটি প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত হলেও স্ব উদ্যোগী হয়ে কাজ করে সবাই। প্রশাসন আরো উদ্যোগ বাস্তবায়ন করলে পাঠক বাড়বে বলে আশা করেন তিনি। 

বাস্তবায়িত হয়নি শিশুতোষ কর্নার: ফেনীর রাজাঝির দিঘির পাড়ে নবীনচন্দ্র সেন পাবলিক লাইব্রেরিতে একটি শিশুতোষ কর্নার করার ঘোষণা দিয়েছিলেন ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান। তবে এখনও সেটি বাস্তবায়িত হয়নি। তবে অতিসত্বর সে কাজ বাস্তবায়িত হবে বলে জানিয়েছেন ডিসি।

ডিসি জানান, শিশুতোষ কর্নার করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। লাইব্রেরিতে শিশুদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ বাস্তবায়ন জন্য শিশুতোষ কর্নার নির্মাণের কাজ দ্রুত শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।

লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন জানান, লাইব্রেরি প্রাঙ্গণ পাঠকদের উপযুক্ত করার জন্য নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। অনেক কিছু বাস্তবায়িত হয়েছে তবে শিশুদের জন্য শিশুতোষ কর্নার জেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিলে বাস্তবায়িত হবে। যেহেতু এটি সরকারি না। সবাই মিলে উদ্যোগ নিলে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।