ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

পোশাকশিল্পে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধে ব্যবস্থা নিতে অধিদপ্তরের চিঠি

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৮ জুন ২০২০  

শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমই–এর সভাপতিকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডিআইএফই)। 

ডিআইএফইর মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায় রোববার এই চিঠি দেন। এতে বলা হয়, ঈদের পর পোশাকশিল্প মালিকেরা শ্রমিক ছাঁটাই করছেন। অধিদপ্তরের ২৩টি উপমহাপরিদর্শকের কার্যালয় থেকে ঈদের পর জানায়, ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের ৬৭টি কারখানার ১৭ হাজার ৫৭৯ শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়েছে। তার মধ্যে টঙ্গীর তানাজ ফ্যাশনস ও ভিয়ালাটেক্স গার্মেন্টসের ২ হাজার ৪৫০ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের শিকার হয়েছেন। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা অধিদপ্তরের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধের দাবি করছেন।

গত ২৫ এপ্রিল ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল বর্তমান পরিস্থিতিতে সার্বিক দিক বিবেচনায় শ্রমিক ছাঁটাই ও কারখানা লে-অফ না করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছিল। বিষয়টি উল্লেখ করে শ্রম অসন্তোষ নিরসনে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন ডিআইএফইর মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায়।
ডিআইএফইর চিঠির অনুলিপি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ ও বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ এর সভাপতির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

পোশাকশ্রমিক ছাঁটাই নিয়ে বিজিএমইএ–এর সভাপতি রুবানা হকের এক মন্তব্যের পর ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন তাঁর এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। ১১ শ্রমিক সংগঠনের জোট গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন বিজিএমইএ এর সভাপতির বক্তব্য সাত দিনের মধ্যে প্রত্যাহার চেয়ে গত শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে। তারপরই বিজিএমইএ আনুষ্ঠানিকভাবে দাবি করে, 'সংগঠনের সভাপতি শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেননি। সংগঠন হিসেবে এ ধরনের ঘোষনা দেওয়ার কোনো সুযোগও নেই। বিজিএমইএ সভাপতি কর্মসংস্থান হ্রাস পাওয়া ও সম্ভাব্য শ্রমিক ছাঁটাই বিষয়ে তাঁর গভীর উদ্বেগ ও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।'

গত বৃহস্পতিবার অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রুবানা হক বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে ক্রয়াদেশ কমে যাওয়ায় মাত্র ৫৫ শতাংশ সক্ষমতায় কারখানা চালাতে হবে। সেটি হলে শ্রমিক ছাঁটাই ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। এটি অনাকাঙ্খিত বাস্তবতা, কিন্তু করার কিছু নেই।