ব্রেকিং:
ফুলবাড়িতে সীমান্তে ঢুকে বিএসএফের গুলিবর্ষণ অভিযানে গিয়ে নারীর মাথায় পিস্তল ধরে, ‘শিশুকে আঘাত’ করে পুলিশ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান রাতেই কুতুবদিয়ায় নোঙর করবে এমভি আব্দুল্লাহ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সিন্ডিকেটের থাবা প্রাণিখাদ্যের বাজারেও কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল, সম্পাদক মুন নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ আজ বিশ্ব মা দিবস চাঁদপুরে মন্ত্রী ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলে আলোচনায় নাজিম কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঋণ শোধের সক্ষমতা অর্জন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কুকি চিনের রক্তথাবায় বিপন্ন সবুজ পাহাড় জুলাইয়ে বেইজিং যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী একদিনের সফরে গোপালগঞ্জের পথে প্রধানমন্ত্রী পতেঙ্গায় আগুন ধরে প্রশিক্ষণ বিমান কর্ণফুলীতে, ২ পাইলট আহত কুমিল্লায় তিন উপজেলায় বিজয়ী যারা-
  • বুধবার ১৫ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

  • || ০৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বন্ধুর আশ্রয়ে ছিল জিতু, যেভাবে গ্রেফতার করে র‌্যাব

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২২  

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্র আশরাফুল আহসান জিতুকে (১৯) গ্রেফতার করা হয়। বুধবার বিকেলে গাজীপুরের শ্রীপুরের নগরহাওলা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। 

জিতু ওই এলাকায় বশির শরিফ (১৮) নামে তার সহপাঠী বাল্যবন্ধুর আশ্রয়ে ছিল।

বশিরের বাড়ি নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার বাইউসোনা গ্রামে। সে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নগরহাওলা গ্রামে মোশাররফ হোসেনের ভাড়া বাড়িতে থাকতো। 

বশির বলেন, জিতুর সঙ্গে হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজে একসঙ্গে পড়াশোনা করতাম। নবম শ্রেণি থেকে জিতুর সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। আমরা একসঙ্গেই পড়তাম। মঙ্গলবার জিতু তার নানার বাড়ি মানিকগঞ্জ ছিল। সেখান থেকে একটি নম্বর থেকে আমাকে ফোন করে এবং আমার এখানে আসার কথা জানায়।

বুধবার ভোরে সে মাওনা চৌরাস্তায় এসে আমাকে ফোন করে এবং কয়েকদিন আশ্রয় দেওয়ার কথা জানায়। আমি তাকে মাওনা চৌরাস্তা থেকে বাসযোগে জৈনাবাজার এলাকায় আসতে বলি। জৈনাবাজার থেকে তাকে রিসিভ করে বাসায় নিয়ে আসি। আমরা দুই ভাই ও এক বোন একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকি। তাই তাকে আমার সঙ্গে না রেখে আমার আরেক বড় ভাই সুজনের ভাড়াবাড়িতে রাখি। ঐ ভাড়া বাড়ি থেকেই বুধবার বিকেলে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

বশির আরো জানায়, জিতু এখানে আসার পর জানায়, তার বাবা এক হাজার টাকা পাঠাবে। পরে আমি তার বাবার পাঠানো এক হাজার টাকা উঠাতে স্থানীয় একটি কারখানার সামনে যাই। এ সময় হঠাৎ র‌্যাব সদস্যরা তাদের পরিচয় দিয়ে জিতুর ছবি দেখিয়ে তার পরিচয় ও কোথায় আছে জানতে চান। পরে আমি তাদের সুজনের ভাড়াবাড়িতে নিয়ে আসি। এ সময় জিতু ঘুমিয়ে ছিল। পরে র‌্যাব সদস্যরা তাকে ডেকে তুলে নিয়ে যায়।

বন্ধু হিসেবে জিতু খুব ভালো ছিল বলে জানায় বশির। নবম শ্রেণি থেকে জিতুর সঙ্গে তার পরিচয় হয়, এরপর থেকেই তার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমরা একসঙ্গে ঘোরাফেরা করতাম। যেকোনো বিপদে সে সবার আগে এগিয়ে আসত। ছাত্র হিসেবে যেমন জিতু ভালো ছিল, বন্ধু হিসেবে সে অনেক ভালো ছিল। তবে জিতু যে এমন কাজ করেছে তা সে জানত না।

বাড়ির মালিক সিদ্দিকুর রহমান জানান, ঐ ছেলেটিকে তারা কেউই চেনেন না। বুধবার বিকেলে মাগরিবের নামাজের আগে হঠাই বাড়ির ভেতর কিছু লোকজন এসে বিভিন্ন ঘরে তল্লাশি শুরু করে। এ সময় ঘুম থেকে ডেকে তুলে এক ছেলেকে হাতকড়া পরানো হয়। পরে সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।