বরুড়ায় সাহস স্কুলে নতুন বছরের ক্লাস শুরু

কুমিল্লার বরুড়ায়  সাহস ইনটেলেক্ট ডেভেলপমেন্ট স্কুলের নতুন বছরের ক্লাস শুরু হয়েছে ৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার।

সাহস এর পরিচালক খায়রুল এনাম আলম এর সভাপতিত্বে সকাল ১০ টায় শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করে স্কুলের ছাত্র আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়াছিন ও গীতা পাঠ করে আবীর চক্রবর্তী। এরপর সমবেত জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। স্কুলে নতুন ছাত্রছাত্রীদের প্রথম পদার্পণ দিবসে ফুল দিয়ে তাদের বরণ করে নেন শিক্ষকমন্ডলী। শীত উপেক্ষা করে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতিতে সমস্ত ক্যাম্পাস আলোয় আলোয় ভরে ওঠে।

বক্তব্য রাখেন সাহস এর প্রধান সমন্বয়কারী সবুর বাদশা এবং সাহস ইনটেলেক্ট ডেভেলপমেন্ট স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক শামীমা ইয়াছিন। বক্তারা উপস্থিত সকলকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন - পুরাতন বিদায় জানিয়ে আমাদের স্কুলের যাত্রা আজ থেকে নতুনভাবে শুরু হলো। দীর্ঘ ১৬ বছরে সাহস স্কুল আজ এলাকার মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। উদ্যোক্তা নাজমুল হুদা রতন এর দূরদৃষ্টি এলাকায় আধুনিক শিক্ষার প্রসারে সাহস স্কুল অগ্রণী ভুমিকা রেখে চলেছে। প্রতি বছরই শিক্ষার্থীদের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে এলাকার পরিধি। বক্তারা স্কুলের নিয়মকানুন সমুহ অভিভাবকদের জানিয়ে দিয়ে বলেন - ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবক এই তিনের সমন্বয়েই গড়ে এককেটি শিশু তাই এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। অভিভাবকদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন মোঃ জসিম উদ্দিন।

তিনি বলেন - এলাকায় ভালো মানের স্কুলের সংকট রয়েছে। সাহস স্কুলের কথা ও সুনাম শুনেই সাহস স্কুলে আমার সন্তানকে প্রায় ৭/৮ কিলোমিটার দূর থেকে ভর্তি করিয়েছি। এখানকার শিক্ষকমণ্ডলীদের আন্তরিকতার প্রসংসা করে বলেন - এখানকার পরিবেশ নিরিবিলি ও সুন্দর। শিক্ষার মান বিচারে সাহস অন্যান্য স্কুল থেকে একধাপ এগিয়ে আছে। যারা এগিয়ে থাকে তারাই পথ দেখায়। এরপর ঝলম স্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র প্রভাষক মাসুদ মজুমদার তার বক্তব্যে বলেন - আমি দীর্ঘদিন থেকেই সাহস এর শিক্ষা ও উন্নয়ন বিষয়ক যে কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করি।

তিনি অভিভাবকদের উদ্যেশ্য করে বলেন - সাহস স্কুল যেমন সেরা স্কুল তেমনি আপনাদের সম্পৃক্ততাও সাহসী। নিশ্চয় সাহস স্কুল দিন দিন একটু একটু করে এগিয়ে চলেছে স্বপ্ন পূরণে। তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করে বলেন একদিন সাহস স্কুল আরো বেশি বেশি নাম করবে যে নামের ধারাবাহিকতায় স্কুলে শিক্ষার মান ও সেবা নিশ্চিত করতে আরো বেশি বেশি কাজ করতে হবে, মনিটরিং বাড়াতে হবে। আমরা চাই আমাদের সন্তানরা বেড়ে উঠুক প্রকৃত শিক্ষায়। তিনি সাহস এর সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করেন। এরপর দেশগান পরিবেশন করেন শিক্ষক সীমা চক্রবর্তী। পরিশেষে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে নিজ নিজ শ্রেণি শিক্ষক ক্লাসে প্রবেশ করেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শিক্ষক সুমিত্রা রানী।