ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারতে পালানোর উদ্দেশ্যে কুমিল্লায় লুকিয়ে ছিল ওসি মোয়াজ্জেম!

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০১৯  

গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির ২০ দিন পর, গতকাল ১৬ জুন শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে আটক হয়েছে, সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। গত ২৭ মে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর থেকে সে পলাতক ছিল।
এই সময়ের মধ্যে তার রংপুরের কর্মস্থল, যশোরের গ্রামের বাড়ি, কুমিল্লার বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়েও তাকে পায়নি। ২৭ মে’র পর থেকে গত ১০ জুন পর্যন্ত রাজধানীর কল্যাণপুরে এক খালার বাসায় ছিল ওসি মোয়াজ্জেম ।
তবে, তাকে গ্রেফতারে গোয়েন্দারা সেখানেও যেতে পারেন, এমন আশঙ্কায় ওই বাসা থেকে সে সটকে পড়ে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদকালে ওসি মোয়াজ্জেম নিজেই শাহবাগ থানা পুলিশ এমন তথ্য জানিয়েছে।
গত ২০ দিন বিভিন্ন বন্ধু-স্বজনে কাছে আত্মগোপনে ছিল ওসি মোয়াজ্জেম। তার ধারণা ছিল, ১৬ জুন উচ্চ আদালত খুলবে। এদিন হয়তো আগাম জামিন পাবে সে। কিন্তু উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার সম্ভাবনা না দেখে আবারও আত্মগোপনে যাওয়ার চেষ্টা করে ওসি মোয়াজ্জেম। 
পুলিশের ধারণা ছিল, উচ্চ আদালত খোলার দিন মোয়াজ্জেম জামিনের জন্য চেষ্টা করতে পারে। সেজন্য হাইকোর্ট এলাকায়ও নজরদারি বাড়ানো হয়। এছাড়া শুরু থেকেই তার স্বজনদের মোবাইল নম্বরও ট্র্যাকিং করা হচ্ছিল।
ওসি মোয়াজ্জেম যেন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারে, সেজন্য স্থল ও বিমানবন্দরগুলোকেও সতর্ক থাকার জন্য পুলিশ সদর দফতর থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাহবাগ থানার একজন কর্মকর্তা বলেন, ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে চলে যায় কুমিল্লা। সেখানে তার নিজের বাড়ি রয়েছে। কিন্তু ওই বাড়িতে না উঠে আত্মগোপন করে চান্দিনায়। সেখানে তার খালাতো ভাই আসাদুজ্জামান রয়েছেন। আসাদুজ্জামান চান্দিনা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হিসেবে রয়েছেন।
কিন্তু ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে ধরতে গত কয়েকদিন কুমিল্লায় অবস্থান করছিল। গোয়েন্দা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শুক্রবার (১৪ জুন) রাতে ওই বাসা থেকেও সটকে পরে সে। 
ঢাকায় এসে খালার বাসায় না উঠে অন্য এক বন্ধুর বাসায় ওঠে। সেখান থেকেই রবিবার উচ্চ আদালতে যায় আগাম জামিনে আশায়। ওসি মোয়াজ্জেম কোনও মোবাইল নম্বরে কথা বলত না। বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে কথা বলতেন।