ব্রেকিং:
জিয়াউর রহমান যেভাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে চেয়েছি চলতি হজ মৌসুমে প্রথম বাংলাদেশী হজযাত্রীর মৃত্যু শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ধর্ম অবমাননা কুবি শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ ‘পিডাইয়া লম্বা করে দেওয়ার নির্দেশ’ ফুলবাড়িতে সীমান্তে ঢুকে বিএসএফের গুলিবর্ষণ অভিযানে গিয়ে নারীর মাথায় পিস্তল ধরে, ‘শিশুকে আঘাত’ করে পুলিশ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান রাতেই কুতুবদিয়ায় নোঙর করবে এমভি আব্দুল্লাহ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সিন্ডিকেটের থাবা প্রাণিখাদ্যের বাজারেও কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল, সম্পাদক মুন নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ আজ বিশ্ব মা দিবস চাঁদপুরে মন্ত্রী ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলে আলোচনায় নাজিম কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঋণ শোধের সক্ষমতা অর্জন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের
  • শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে অপসারণের দাবিতে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের খুরুইল সিনিয়র আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. আনিসুর রহমান মোল্লার বিরুদ্ধে একই প্রতিষ্ঠানের সহকারি শিক্ষিকাকে শ্লীলতাহানি ও কু-প্রস্তাব, ছাত্রীদের যৌন হয়রানি ও প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ১২টায় মাদরাসা প্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করেছে ওই প্রতিষ্ঠানের  ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসী। এসময় ছাত্রছাত্রীরা অধ্যক্ষকে দ্রুত অপসারণের দাবি জানান এবং তা না করা হলে পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জনের হুমকি দেয়। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ শেষে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জনীর কাছে ভুক্তভোগীসহ ১৭ জন শিক্ষকের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগপত্র দেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন (ইউএনও) আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জনী।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী একাধিক শিক্ষিকা ও ছাত্রীরা অংশ নেয়। তাঁরা ফেনীর সিরাজ উদ দৌলা ও নুসরাতের প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, আমরা খবরের শিরোনাম হতে চাইনি এতদিন। তাই এতদিন চুপ থেকেছি, কিন্তু আর না। আমরা না পারি কাউকে কিছু বলতে না পারি সইতে। ফেনীর নুসরাতের মত হতে চলেছে আমাদের অবস্থা। অধ্যক্ষের কু-প্রস্তাবের যন্ত্রনায় আমাদের মাদরাসায় আসা যাওয়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম। সে বিভিন্ন সময়ে আমাদেরকে শ্লীলতাহানি ও কু-প্রস্তাব  দেয়। সে একবার এক শিক্ষিকা টেঁনে হেঁচরে খালি ক্লাসরুমে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে পরে ওই শিক্ষিকার চিৎকারে মানুষ জড়ো হয়ে তাকে জুতা পিঠা করেছে। এরপর সে এমন কাজ আর করবে না মর্মে   প্রকাশ্যে লিখিত দিয়েছে। এরপরও তার অপকর্ম থামেনি। আমরা তাঁর দ্রুত অপসারণের দাবি করছি।
মানববন্ধনে ছাত্র-ছাত্রীরা আরও অভিযোগ করে বলেন, অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান মোল্লা শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করে পর্দার ওই পারে গিয়ে ছাত্রীদের অশ্লীল দেহভঙ্গী দেখিয়ে যৌন উত্তেজক কথাবার্তা বলত। এটা শুধু একবার দুই বার নয় বছরের পর বছর তার এ অপকর্ম চলে আসছে। আমরা আমাদের অভিভাবককে জানালে তাঁরা এসে কমিটিকে জানায়  কমিটির কাছে সে দোষ স্বীকার কয়েকবার ক্ষমা চেয়ে পার পেয়েছে। এর কিছুদিন পরই ম্যাডামকে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। আমরা এ প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁর অপসারণের দাবি জানাচ্ছি। না হয় আমরা শ্রেনী কক্ষে ক্লাস বর্জন করব।
সাবেক সভাপতি মো. আলমগীর কবির বলেন, তাঁর কাছে মাদরাসার ছাত্রী ও নারী শিক্ষিকারা কেউ নিরাপদ নয়। তার অপকর্মের বর্ণনা দিয়ে শেষ করা যাবেনা। সে মাদরাসার রেজুলেশন বই, আয়-ব্যয়ের হিসাবসহ প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র গুম করে ফেলেছে। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় মুরাদনগরে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.বেলাল আহম্মেদ তাকে সাসপেন্ড করে আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন ওই মামলায় সে জেলও খেটেছেন। পরে সে ১০ বছর পর বিভিন্ন অসৎ উপায়ে বোর্ড ম্যানেজ করে পুনরায় মাদরাসায় যোগ দেয়। তাকে দ্রুত অপসারণ করা না হলে এ মাদরাসার শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে।  
প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, খুরুইল সিনিয়র আলিম মাদরাসা প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য মাও একরামুল হক, সাবেক সভাপতি মো. আলমগীর কবির, সহকারি শিক্ষক মো. শাহজাহান, ইংরেজি প্রভাষক ফিরোজুর আলম, বাংলা প্রভাষক মোসা. সেলিনা আক্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম, স্থানীয় আলামুল হুদা মাস্টার, মো. সেলিম, মো. রহুল আমিন সরকার, সাবেক অভিভাবক সদস্য আহম্মদ মুন্সি, মো. আবদুস সালাম, মো. হেলাল মুন্সি প্রমুখ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মো. আনিসুর রহমান মোল্লা দোষ স্বীকার করে বলেছেন, আমি এ প্রতিষ্ঠান থেকে স্বেচ্ছায় চলে যাব। এ মর্মে আমি গগ কয়েকদিন আগে শিক্ষক ও এলাকাবাসীর কাছে লিখিত দিয়েছি।