মায়ের সাথে অভিমানে স্কুল ছাত্রীর অত্মহত্যা

মায়ের সাথে অভিমান করে, পরীক্ষা শেষে স্কুল থেকে বাড়ী ফেরার পথে কীটনাশক (বিষ) পান করে আত্মহত্যা করেছে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী। ঘটনাটি কুমিল্লার জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জামতলী গ্রামে ঘটেছে। এই ব্যাপারে স্কুল ছাত্রীর চাচা বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে এবং পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালের মর্গে পেরণ করেছে।

এই ব্যাপারে নিহতর বড় চাচা নজরুল ইসলাম জানান, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের জামতলী গ্রামের ওরা কাজীর বাড়ীর জমির হোসেনের মেয়ে সানজিদা আক্তার (১৩) কে তার মা আঞ্জুমান বেগম গত ২৫ জুন মঙ্গলবার সকালে পরীক্ষার প্রস্তুতির বিষয়ে শাসন করেন। এ নিয়ে সানজিদা আক্তার তার মায়ের সাথে অভিমান করে একইদিন বিকেলে পরীক্ষা শেষে বাড়ী ফেরার পথে চান্দলা বাজার থেকে কীটনাশক (ক্যারির বড়ি) ক্রয় করে নিয়ে আসে এবং পথিমধ্যে সে সহপাঠীদের অগোচরে কীটনাশক (ক্যারির বড়ি) খেয়ে ফেলে। এক পর্যায়ে স্কুল ছাত্রী সানজিদা আক্তার উত্তর চান্দলা নামক স্থানে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ অবস্থা দেখে তার সহপাঠীরা তাকে মাথায় পানি দেয় এবং তার বাড়ীতে খবর দেয়। 

খবর পেয়ে ঐ স্কুল ছাত্রী সানজিদার স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসে প্রথমেই সানজিদাকে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে, সানজিদাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে পেরণ করে। পরে সানজিদার স্বজনরা তাকে কুমেকে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। নিহত সানজিদা আক্তার (১৩) উপজেলার চান্দলা কেবি হাই স্কুল এন্ড কেলেজের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। এই ব্যাপারে নিহত সানজিদার মা আঞ্জুমান বেগম জানান, মঙ্গলবার সকালে পরীক্ষার প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি সানজিদাকে শাসন করেন এবং পড়ালেখায় মনোযোগী হতে বলেন। এই নিয়ে সানজিদা ঐ সময় তার মায়ের সাথে কোন কথা বলেনি। পরে তিনি নিজ হাতে সানজিদাকে খাবার খাইয়ে পরীক্ষার দেওয়ার জন্য স্কুলে পাঠান। সে স্কুলে পরীক্ষায় দিয়ে বাড়ীতে ফেরার পথে চান্দলা বাজার থেকে কীটনাশক (ক্যারির বড়ি) কিনে নিয়ে পথের মধ্যে খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। পরে তারা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানকার ডাক্তার তার প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখান থেকে সানজিদাকে কুমেকে নিয়ে যাওয়ার পথে সে মারা যায়। তাদের ধারণ সে তার মায়ে সাথে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে। 

খবর পেয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানার এস আই তীথংকর দাস, সঙ্গীয় ফোর্স সহ সানজিদার বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী শেষে, ময়না তদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের মর্গে পেরণ করে। পরে নিহত স্কুল ছাত্রী সানজিদার বড় চাচা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।