ব্রেকিং:
কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা জিয়াউর রহমান যেভাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে চেয়েছি চলতি হজ মৌসুমে প্রথম বাংলাদেশী হজযাত্রীর মৃত্যু শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ধর্ম অবমাননা কুবি শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ ‘পিডাইয়া লম্বা করে দেওয়ার নির্দেশ’ ফুলবাড়িতে সীমান্তে ঢুকে বিএসএফের গুলিবর্ষণ অভিযানে গিয়ে নারীর মাথায় পিস্তল ধরে, ‘শিশুকে আঘাত’ করে পুলিশ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান রাতেই কুতুবদিয়ায় নোঙর করবে এমভি আব্দুল্লাহ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সিন্ডিকেটের থাবা প্রাণিখাদ্যের বাজারেও কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল, সম্পাদক মুন নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ আজ বিশ্ব মা দিবস চাঁদপুরে মন্ত্রী ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলে আলোচনায় নাজিম কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
  • রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মিয়ানমারে ৩ দিনে ২৮৪ সেনা নিহত

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

মিয়ানমারের সাগাইং, কায়াহ, কাচিন ও চিন রাজ্যে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে গত শনি থেকে সোমবার পর্যন্ত তিন দিনে অন্তত ২৮৪ জন জান্তা সেনা নিহত হয়েছে। অবস্থা বেগতিক দেখে জাতিগত প্রতিরোধযোদ্ধাদের নেতাদের সঙ্গে শান্তি আলোচনার ডাক দিয়েছেন জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং।

স্থানীয় বাসিন্দা এবং মিডিয়া আউটলেটগুলোর তথ্য অনুযায়ী কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) সঙ্গে সংঘর্ষে শুধু কাচিন রাজ্যেই শনি থেকে সোমবার পর্যন্ত তিন দিনে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারসহ প্রায় ২০০ জান্তা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে কেআইএ। তবে এ ২০০ সেনার কতজন কবে কোন এলাকায় মারা গেছে, তা আলাদাভাবে উল্লেখ করেনি ইরাবতি। এর আগে বৃহস্পতিবার থেকে গুলিবৃষ্টি হচ্ছিল রাজ্যটির এইচপাকান্ত টাউনশিপের ওপর। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্থানীয়দের বাড়িঘর, গবাদিপশু ও কৃষিসম্পদ।

এছাড়া সাগাইং অঞ্চল এবং কায়াহ রাজ্যে পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের (পিডিএফ) সঙ্গে সংঘর্ষে ২৬ জন জান্তাসেনা এবং একজন প্রতিরোধ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ১০টায় সাগাইং অঞ্চলের কালে টাউনশিপে একটি সামরিক কনভয়ের ওপর ধারাবাহিক অ্যামবুশ পরিচালনা করে কালে-পিডিএফ। সে সময় মোট ১৭ জান্তাকে হত্যা করেছে বলে দাবি করা হয়েছে। এদিন সকালে কালে শহরের দক্ষিণে টিনথার গ্রামে শাসকদের নির্বিচার গোলাবর্ষণে এক শিশুসহ ১০ গ্রামবাসী আহত হন। তারই প্রতিক্রিয়ায় জান্তাদের ওপর ওই হামলা ঘটানো হয়েছিল।

জাতিগত চিন প্রতিরক্ষা বাহিনীসহ পাঁচটি প্রতিরোধ গোষ্ঠীর সম্মিলিত বাহিনী সেনাবাহিনীর ৮ গাড়ির একটি টহলবহরে মাইন হামলা চালায়। চিন রাজ্যের সীমান্তসংলগ্ন এক গ্রাম থেকে কালে শহরের দিকে যাওয়ার সময় এ অতর্কিত হামলা চালায় চিন ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (সিএনডিএফ)। মাইন বিস্ফোরিত হওয়ার পর শাসকবাহিনী এবং প্রতিরোধ গোষ্ঠীর মধ্যে একটি তীব্র লড়াই শুরু হয়। সে সময় ৯ জান্তাসেনা এবং সিএনডিএফের একজন প্রতিরোধ যোদ্ধা নিহত হন । আহত হন পিডিএফ আরও ৫ সদস্য। ওইদিনই দুটি ভিন্ন স্থানে সামরিক যান লক্ষ্য করে আরও তিনবার মাইন হামলা চালানো হয়। সেখানেও আট জান্তাসেনা নিহত হন এবং বাকিরা সামরিক যান রেখেই পালিয়ে যান।

আগের দিন (রোববার) কালের একটি গ্রাম থেকে ফেরার পথে ৬০ জনের জান্তা দলকে মুহুর্মুহু মাইন হামলা করা হলে ২০ জন নিহত ও অনেকে আহত হন। একই দিন সাগাইং রাজ্যেও হামলা চালান স্থানীয় পিডিএফ সদস্যরা। ড্রোন ব্যবহার করে শাসকসেনাদের ওপর বোমা ছোড়াসহ বেশ কয়েকটি সাহসী হামলা চালালে কমপক্ষে ৩৮ জান্তা সেনা নিহত হন বলে জানা গেছে। রোববার রাখাইন রাজ্যের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে টানা তিন ঘণ্টার যুদ্ধ হয়। হতাহত হয় দুপক্ষই। তবে নিহত বা আহতের নির্দিষ্ট সংখ্যা প্রকাশ করেনি কোনো পক্ষই। দুদিন আগে শুক্রবারও প্রায় ৪০ মিনিটের যুদ্ধ হয় দুপক্ষের।

আরো পড়ুন>> চোখে পেরেক গেঁথে, পা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে ১০ বছরের শিশুকে হত্যা!

সেনাদের ত্রাহি পরিস্থিতিতে জান্তাপ্রধানের টনক নড়ে উঠেছে বলেই মনে হচ্ছে। রোববার তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে চান তিনি। এদিন ন্যাশনওয়াইড সিজফায়ার এগ্রিমেন্ট (এনসিএ)-এর হীরকজয়ন্তী অনুষ্ঠানে বক্তব্যের ফাঁকে এ আহ্বান জানান জান্তাপ্রধান। তবে এ আলোচনায় ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ বলে সরকারিভাবে চিহ্নিত গ্রুপগুলোকে বাদ দিয়ে এ শান্তি আলোচনায় বসতে চান হ্লাইং। সরকারি এক ঘোষণায় বলা হয়-‘পরবর্তী যুগে রাজনৈতিক সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য গণতান্ত্রিক অনুশীলন অনুসারে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করে চিরস্থায়ী শান্তির দিকে মনোনিবেশ করা প্রয়োজন’।

কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের পররাষ্ট্রবিষয়ক বিভাগের প্রধান পাদোহ শ তাও নি বলেন, ‘আমরা সামরিক স্বৈরাচারকে উৎখাত করার জন্য কাজ করছি, যা জনগণের দৃঢ় আকাক্সক্ষা। দ্বিতীয়ত আমাদের লক্ষ্য একটি ফেডারেল গণতন্ত্র গড়ে তোলা। আর এ কারণেই দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা বিপ্লবী দলটি সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে যুবকদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়েছে।’ বর্তমান সরকার উৎখাতে মরিয়া অন্য দলগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আরাকান আর্মি (এএ), শান স্টেটের পুনরুদ্ধার কাউন্সিল (আরসিএসএস), তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এবং শান স্টেট প্রগ্রেস পার্টি (এসএসপিপি) প্রভৃতির মুখপাত্ররা অস্পষ্ট প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে জানিয়েছেন, এখনো প্রস্তাবনার সুস্পষ্ট কোনো আমন্ত্রণপত্র তারা পাননি।

এ কারণে এতে তাদের অংশগ্রহণ প্রতিক্রিয়ারও কোনো প্রশ্ন ওঠে না বলে জানিয়েছেন তারা। তবে জান্তাপ্রস্তাবনা অনুযায়ী আগামী শনিবার এ শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।