ব্রেকিং:
রাত ১১টার পর চা-পানের দোকান বন্ধের নির্দেশ রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
  • মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

মেধাবী হৃদয়ের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলেন ইউএনও

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

‘বর্তমান সমাজে মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন হচ্ছে। দেশ যেমন এগিয়ে যাচ্ছে, মানুষও মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসছে। তাই তোমাদের লেখাপড়ার জন্য আমরা উপজেলা প্রশাসন থেকে সহযোগিতা করবো। পড়াশোনা করে তোমরা ভালো মানুষ হবে, এ প্রত্যাশা করি।’
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের গরীব মেধাবী ছাত্র হৃদয় হোসেনের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন ভূঞা জনী এসব কথা বলেন। রোববার দুপুরে শিক্ষার্থী হৃদয় হোসেনের খালা রোশনা বেগমের হাতে লেখাপড়ার জন্য অনুদানের টাকা তুলে দেয়ার সময় এ কথা বলে ওই আশ্বাস দেন তিনি।
এ সময় ধামঘর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাদির ও দারোরা ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন খন্দকারসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। ধামঘর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাদিরের দেয়া পাঁচ হাজার টাকাসহ তার লেখাপড়ার খরচের জন্য ইউএনও নিজের ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে মিলিয়ে নগদ দশ হাজার টাকা তার অভিভাবকের হাতে তুলে দেন।
উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের লিপি আক্তারের ছেলে মো. হৃদয় হোসেন। হৃদয় হোসেন গর্ভে থাকার সময়ই তার বাবা আল-আমীন তার মায়ের খোঁজ-খবর নেওয়া বন্ধ করে নিরুদ্দেশ হন। অর্থাভাবে ছোট বাচ্চাদের টিউশনি করিয়ে পড়াশোনা চালিয়েছেন হৃদয় হোসেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন ভূঞা জনী দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, দারোরা ডিসি হাই স্কুলে একজন মেধাবী শিক্ষার্থী রয়েছে বিষয়টি জানতে পেরে মেধাবী ওই গরীব শিক্ষার্থীর যাতে নির্বিঘ্নে সে তার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে আমরা সব সময় মেধাবীদের পাশে থাকবো।
খালা রোশনা বেগম দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, অর্থকষ্টে থাকার পরও বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বোনের ছেলেকে পড়াশোনা করিয়েছি। হাইস্কুলে ভর্তি করানোর পর অনেক চিন্তিত ছিলাম। কিন্তু সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় এখন একটু ভারমুক্ত হয়েছি। আমি তার উন্নতি কামনা করি।
মেধাবী হৃদয় হোসেন দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, হাইস্কুলে ভর্তির পরে মনের মধ্যেএক ধরনের অনিশ্চয়তা কাজ করছিল। ইউএনও স্যার ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ অনেকের সহযোগিতার আশ্বাস পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ। সবার কাছে দোয়া চাই। যাতে ভালো লেখাপড়া করে দেশের সেবা করতে পারি।