মেম্বারের হামলার স্বীকার প্রবাসীর স্ত্রী, অতঃপর...

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে এক সাবেক মেম্বারের নেতৃত্বে হামলায় জনৈক প্রবাসীর স্ত্রী গুরুতর আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নাঙ্গলকোট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২১ সেপ্টেম্বর দুপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মদনপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার গোলাম কবির বাদল, তার ছোট ভাই গোলাম হোসেন ও ছেলে মোঃ সাগর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একই গ্রামের মৃত. গাজীউল হক ভূঁইয়ার বাড়িতে হামলা চালায়। এতে প্রবাসী মঈনুল হোসেনের স্ত্রী শান্তি আক্তার (২০) গুরুতর আহত হন। এসময় হামলাকারীরা তাদের ঘরে থাকা নগদ টাকা ও গহনা সহ প্রায় ২ লক্ষ ২৭ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। আহত শান্তি আক্তারকে স্বজনরা উদ্ধার করে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। এ ঘটনায় শান্তি আক্তারের শাশুড়ী লুৎফুন নাহার বাদী হয়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর নাঙ্গলকোট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে বাদী লুৎফুন নাহার বলেন, ‘জমিজমা নিয়ে পাশের বাড়ির মেম্বার গোলাম কবির বাদলের পরিবারের সাথে আমাদের বিরোধ রয়েছে। তারা আমাদের অনেক সম্পদ জবর দখল করে ভোগ করছে। আমার স্বামী নেই। তিন ছেলেই প্রবাসী। চার বৌ নিয়ে আমি বাড়িতে থাকি। কিছু দিন আগে আমার বড় ছেলে খলিলুর রহমান ভূঁইয়া বাড়িতে আসে। মেম্বার আমার ছেলে রাস্তায় দেখলে গালমন্দ ও উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে আমাদের বাড়ির সামনে বাদল মেম্বার ও তার ছেলে আমার ছেলে খলিলের উপর হামলা চালায়। খলিলের চিৎকার শুনে আমি দৌড়ে গিয়ে দেখি তারা তাকে বেদম মারধর করছে। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট হাসপাতালে নিয়ে যাই। ওই দিন রাতেই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আমি নাঙ্গলকোট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। পরে জানতে পারি এ ঘটনার ৩দিন পর বাদল মেম্বার তার ভাই গোলাম হোসেনকে বাদী করে থানায় আমার ছেলের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে।’

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সাবেক ইউপি মেম্বার গোলাম কবির বাদলকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করেও বক্তব্য নেয়া যায়নি। নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম পিপিএম বলেন, এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।