যন্ত্রপাতির ব্যবহারে উৎপাদন খরচ হ্রাস এবং কৃষি হবে লাভজনক

কুমিল্লার লাকসামে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও যৌথ খামার ব্যবস্থাপনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষকের উন্নতির পাশাপাশি দেশ স্বর্নিভর হবে। বাংলাদেশ আজ খাদ্যে সফলতা অর্জন করেছে। আমরা এখন বিদেশেও খাদ্য রপ্তানী করতে পারছি। দেশ যত বেশী উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে ততই আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষিতে সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

শুক্রবার সকালে কুমিল্লার লাকসামে আধুনিক যন্ত্রনির্ভর ও কমিউনিটি ভিত্তিক যৌথ চাষ পদ্ধতির মাধ্যমে কৃষিকে লাভজনক করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) কতৃক গৃহীত কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ ও যৌথ খামার ব্যবস্থাপনা শীর্ষক প্রকল্পের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, যান্ত্রিকীকরণের চ্যালেঞ্জসমুহ মোকাবেলা করে আধুনিক চাষ ব্যবস্থা প্রর্বতণের মডেল উদ্ভাবনের লক্ষ্যে এ প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে। এই প্রদ্ধতিতে খন্ড খন্ড জমিকে ডিজিটাল ভুমি জরিপের মাধ্যমে আইল উঠিয়ে দিয়ে বৃহদাকার জমিতে বিভিন্ন জাতের ফসলের চাষাবাদ ও শস্য উৎপাদন করা হচ্ছে। আধুনিক এ পদ্ধতিতে কৃষকদের নিয়ে গঠিত একটি সামাজভিত্তিক এন্টারপ্রাইজ এর মাধ্যমে চাষাবাদ পরিচালনা করা হচ্ছে।

 

মন্ত্রী আরো বলেন, সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদের ফলে সরকারের সব ধরনের র্ভুতকির পরও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কষকরা তাদের পন্যের ন্যায্যমুল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে কৃষির উৎপাদন ব্যয় হ্রাসের উপায় উদ্ভাবন অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছিল। আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার করে যৌথ খামার প্রতিষ্ঠার ফলে কৃষি পণ্যের উৎপাদন খরচ হ্রাস পাবে এবং কৃষি হবে কৃষকের জন্য আরেকটি লাভজনক জীবিকা। আমার বিশ্বাস ,পরীক্ষামুলক এ প্রকল্পটি একটি উন্নয়ন মডেল হিসাবে দাঁড়াবে এবং কৃষিতে আরেকটি নতুন বিপ্লব সুচিত হবে।

উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব রেজাউল আহসান, বার্ডের মহাপরিচালক মোঃ শাহজাহান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও কুমিল্লার উপ-পরিচালক সুরজিত চন্দ্র দত্ত, লাকসাম উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট ইউনুছ ভুঁইয়া সহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক, জনপ্রতিনিধি, ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ।

 

বার্ড কতৃক বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পের আওতায় ডিজিটাল ভুমি জরিপের মাধ্যমে উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়নের নোয়াপাড়া, ছনগাঁও গ্রামের যৌথ খামার প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী ৭৫ জন কৃষকের ৪০ একর কৃষিজমির সীমানা নির্ধারণ করা হয়। নির্বাচিত ৪০ একর কৃষিজমির ১৪১টি প্লটের আইল উঠিয়ে একত্র করে চলমান বোরো মৌসুমে ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধান রোপন করা হচ্ছে। চুক্তির আওতায় বাস্তবায়নাকারী কতৃপক্ষ বার্ড কৃষকদের উচ্চ ফলনশীল ধানবীজ, কৃষিযন্ত্র সহায়তা এবং যৌথ খামার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে।

প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি সহ অতিথিবৃন্দ আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।