ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

যুবদলের হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু, আটক ২

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০২৩  

লাকসামে ছাত্রদল ও যুবদলের হামলায় লাকসাম পৌরসভা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ইফতেখার অনিক গুরুতর আহত হয়ে সাত দিন হাসপাতালে থাকার পর বুধবার রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (লাইফ সাপোর্ট) থাকাবস্থায় মারা যান। 

বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) বিকালে লাকসাম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রথম জানাজা এবং উত্তরাদাস্থ নিজ এলাকায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। 

নিহত অনিক উপজেলার উত্তরদা গ্রামের মনির আহমেদ ও স্কুল শিক্ষিকা রাবেয়া বেগমের ছেলে। তিনি বাবা মায়ের সঙ্গে শহরের পূর্ব লাকসাম এলাকায় বসবাস করতেন।

জানাজায় স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি, কুমিল্লার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান, লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট ইউনূছ ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, লাকসাম পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাবারক উল্যা কায়েস, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম হিরা, যুবলীগের আহবায়ক ও পৌর মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের এবং ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ নেতারা বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, গত ২১ জুন বিকালে লাকসাম পৌরশহরের দক্ষিণ বাইপাস এলাকায় পৌর ছাত্রলীগের সহসভাপতি ইফতেখার অনিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম সৌরভ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আলমগীর হোসেনের ওপর ছাত্রদলের কতিপয় সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালায়। ওই সময় তারা ছাত্রলীগ নেতা অনিক, সৌরভ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বুকে ও পাঁজরে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহতদের প্রথমে লাকসাম ফেয়ার হেলথ হসপিটালে এবং পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত ইফতেখার অনিকের অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (লাইফ সাপোর্ট) রাখা হয়েছিল। সেখানে বুধবার সন্ধ্যায় অনিক মারা যায়। বাকি দুজন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে। তাদের অবস্থাও আশংকাজনক। 

জানা গেছে, ওই ঘটনার পরদিন অনিকের বাবা মনির আহমেদ বাদী হয়ে ছয় জনের নাম উল্লেখ করে  অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে লাকসাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে এজাহার নামীয় আসামিরা হলেন ঘটনার মূলহোতা লাকসাম পৌর এলাকার গাজীমুড়া গ্রামের সাংবাদিক মশিউর রহমান সেলিমের ছেলে ছাত্রদল নেতা সাইমুন রহমান রকি, একই গ্রামের চাঁন্দু মিয়ার ছেলে শাকিল, ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে জিল্লুর রহমান, জিন্নতের রহমানের ছেলে মশিউর রহমান সেলিম, পেয়ারাপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে তাজুল ইসলাম খোকন, একই গ্রামের আলী মিয়ার ছেলে আবুল হোসেন মিলন। 

লাকসাম থানা পুলিশের ওসি আবদুল্লাহ আল মাহফুজ জানিয়েছেন, এ ঘটনায় মশিউর রহমান সেলিম ও টিপু নামে দুজনকে নারায়নগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।