ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রক্তদানে সুরক্ষিত থাকে হার্ট, আর কী কী হয় জানেন?

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২২  

কোনো মানুষকে রক্তদান করে তাকে বাঁচিয়ে তোলার মতো মহৎ কাজ আর নেই। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে একজন মুমূর্ষু রোগীকে রক্তদান করাটা সৌভাগ্যের বিষয়। এই সৌভাগ্যের পরশ পায় আমাদের শরীরও।

মানবিকতার সবচেয়ে বড় নিদর্শন হলো স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি। পৃথিবীতে এখনো কৃত্রিম রক্ত তৈরি করা সম্ভব হয়নি। আর এ কারণেই মানুষের জীবন-মরণ নির্ভর করছে শুধুই স্বেচ্ছায় দান করা এক ব্যাগ রক্তের ওপর।

একজন সুস্থ মানুষের শরীর থেকে একবারে এক ইউনিট রক্ত নেওয়া হয়। এই রক্ত দাতার দেহে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পুনরায় তৈরি হয়ে যায়। তাই রক্তদানের ফলে দাতার কোনো ক্ষতি হয় না। বরং তার সুস্থতার হার বাড়ে দ্বিগুণ।

গবেষণায় দেখা গেছে,  নিয়মিত রক্তদাতাদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। কারণ নিয়মিত রক্তদান করলে শরীরে অতিরিক্ত আয়রন জমতে পারে না। বছরে তিনবার রক্ত দিলে শরীরে নতুন লোহিত কণিকা তৈরির হার বাড়তে শুরু করে। এতে অস্থিমজ্জা সক্রিয় থাকে। দ্রুত রক্ত স্বল্পতা পূরণ হয়।

রক্তে কোলেস্টরেলের মাত্রা কমে যায়, এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

আমেরিকার কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষা থেকে জানা যায়, যারা নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট সময় অন্তর রক্তদান করেন, তাদের হৃদ্‌রোগের আশঙ্কা কমে।

অন্যদিকে দেখা যায়, যারা সারা জীবনে কখনও রক্তদান করেননি, তাদের হৃদ্‌যন্ত্রের তুলনায় যারা রক্তদান করেন, তাদের হৃদ্‌যন্ত্র অনেক বেশি সুস্থ থাকে।

রক্ত দিলে যে ক্যালোরি খরচ হয়, তা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়া নিয়মিত রক্ত দানে শরীরে হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, জন্ডিস, ম্যালেরিয়া, সিফিলিস, এইচআইভি বা এইডসের মতো বড় কোন রোগ আছে কি না, সেটি বিনা খরচে জানা যায়।

এদিকে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, চার কিংবা পাঁচ মাস অন্তর যদি কেউ রক্তদান করেন তবে তার প্রতি বারই বিনা পরিশ্রমে ঝরবে ৬৫০ ক্যালোরি। এর ফলে তাদের শরীরে বয়সের ছাপ কম পড়ে।

ত্বকে টানটান ভাবের পাশাপাশি শরীরে মেদ জমার পরিমাণও থাকে কম। তাই শরীরকে ফিট রাখতে নিয়মিত রক্তদানের মতো মহৎ কাজটি করতে পারেন।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা, বিবিসি।