ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রূপের ঝলকে প্রবাসীদের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০১৯  

কুমিল্লার তিতাসে প্রতারক নীলা পারভীন রূপের জাদুতে ভেলকি লাগিয়ে নি:স্ব করছে শত শত প্রবাসী ও দেশের যুবকদেরকে। নীলা পারভীন তিতাস উপজেলার জগতপুর গ্রামের মোঃ মঙ্গল মিয়ার মেয়ে। মোবাইল ফোনে টাকা  পয়সাওয়ালা ছেলেদের সাথে কথা বলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ই হলো তার মূল লক্ষ।

সে তার রূপের যৌবনে সব হাসিল করছে। তার রয়েছে ৩ ছেলে মেয়ে। বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছে। দ্বিতীয় মেয়েটিও প্রায় বিয়ের উপযুক্ত এবং রয়েছে একটি ছেলে। তবুও সে এসব বাজে কাজ করে বেড়ায় সব সময়। চেহারা সুন্দর হওয়ায় তার রূপের ঝলকানিতে পড়ে যায় যে কোন পুরুষ।

তেমনি সে তার প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রবাসী সহজ সরল মৃত আকরম আলীর ছেলে ফারুককে। ২০১৪ সালের ১ লা জানুয়ারি প্রেমের ফাঁদে ফেলে ১ লক্ষ টাকা কাবিন দিয়ে ফারুককে বিয়ে করতে বাধ্য করে পারভীন। যদিও ফারুকের প্রথম স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে রয়েছে। পারভীন তার প্রবাসী স্বামীকে রেখেই ফারুককে বিয়ে করে টাকার লোভে। পারভীন জানত ফারুক কুয়েতে অনেক টাকা পয়সা রোজগার করে। সেই লোভে পারভীনের প্রবাসী স্বামীকে রেখেই ফারুককে বিয়ে করে। ফারুকও প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে টাকার লোভী পারভীনকে স্ত্রীর মর্যাদা দেয়।

কিন্তু কিছু দিন পরেই ফারুক দেখতে পায় পারভীনের আসল চেহারা। প্রতিনিয়ত সে মোবাইল ফোনে টার্গেট করে পুরুষের সাথে কথা বলে এবং মাঝে মাঝে ঢাকায় গিয়ে থাকে। আপত্তিকর অনেক কিছু দেখে ফারুক তার সাথে সম্পর্ক বিছিন্ন করতে চাইলে , সে কান্নাকাটি করে। এবং তাকে ব্ল্যাক মেইলিং করে এবং তার কাছে থেকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেন মোহর বাবাদ  ৫ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে নেয় এবং ৫ ভরি স্বর্ণ নিয়ে নেয়। এছাড়া সে গাড়ি বিক্রির ৬ লক্ষ এবং নগদ ১ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে বলে জানায় রেমিটেন্স যোদ্ধা ফারুক। ২ বছর আগে তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়। ফারুক বিদেশে চলে গেলে সে জালিয়াতি করে দেন মোহরের পরিমাণ ৭ লক্ষ টাকা উল্লেখ করে একটি কাবিননামা তৈরি করে। যা সম্পূর্ণ ভূয়া, প্রতারনামূলক।

এই বিষয়ে প্রবাসী ফারুক জানান, আমি বিদেশ চলে যাওয়ার পর সে প্রতারনা করে ৭ লক্ষ টাকার একটি কাবিননামা তৈরি করে। যা দিয়ে সে আমার নামে বিগত ২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বরে কুমিল্লায় নারী  ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। আমি প্রবাসে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারিনি। তাই আদালত আমার বাড়ির মালামাল ক্রোক করার নির্দেশ দেয়।  কিন্তু পুলিশ আমাকে কোন নোটিশ না দিয়েই হঠাৎ করেই বাড়িতে গিয়ে মালামাল নিয়ে আসে। আইনের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে তাই বাঁধা দেয়নি কেউ। 

পারভীন যে প্রতারক তা সহজেই নমুনা হলো পারভীনের ইমু নম্বর ৫ টি এগুলো হলো ভুল সব ই ভুল, তামিম, ঢ়ধৎাবহ, ঋধৎঁশ, ঘরষধ ঢ়ধৎাবহ । একজন মানুষের কয়টি ইমু নম্বর থাকে। শুধু এগুলো নয় তার কতটি মোবাইল সিম আছে সে নিজেই বলতে পারবে না। সিম পরিবর্তন করে প্রেমের জালে আটকানোই তার কাজ।

প্রেমের অভিনয় করে ছেলেদের সাথে অশ্লীল ছবি তুলে অর্থ আদায়ই তার মূল লক্ষ। সে পতিাতার চেয়েও খারাপ। ছেলেদের আকৃষ্ট করার জন্য সে তার নিজের আপত্তিকর ছবি পাঠাত। তা দেখে অনেকেই ঠিক থাকার কথা নয়।

বর্তমানে সে কিছু কুচক্রী মহলের প্ররোচনা ও যোগসাজশে আমাকে এবং আমার পরিবারকে হয়রানি করছে। প্রতিনিয়ত টাকা চাচ্ছে। টাকা না দিলে নাকি একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবে বলে সে হুমকি দিচ্ছে। টাকা না দিলে আমার সন্তানকে অপহরণ করে গুম করে ফেলবে বলেও হুমকি দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। 

পারভীনের এই প্রতারণার হাত থেকে যুবক ও প্রবাসীদের বাঁচাতে হলে প্রশাসন ও সামাজিকভাকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি পারভীনের মতো নোংরা মহিলাদের কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে এবং সতর্ক হতে হবে।

এই বিষয়ে নীলা পারভীন বলেন, ফারুক আমাকে স্বামীর ঘর থেকে বাহির করে আনছে। আমি সমাজে মুখ দেখাতে পারি না। ৩ টা ছেলে মেয়ে নিয়ে কোথায় যাব?  দেন মোহরের টাকা দিয়ে ফারুক আমাকে মুক্ত করে দেক আমি আর তাকে জ্বালাবো না।