ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শত বছরের পুরোনো মদের কারখানা গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০১৯  

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসদরের হরিপুর রেললাইন সংলগ্ন সাধনের বাড়ীর বাংলা মদের কারখানায় অভিযান চালিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। প্রায় শত বছরের পুরোনো বাংলা মদের এই কারখানায় গতকাল বিকেল ৪ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ও নাঙ্গলকোট থানার ওসি মোঃ মামুন অর রশিদ পিপিএমের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় মাদক তৈরী ও বিক্রির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযানে মদের কারখানাটি গুড়িয়ে দেয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে স্বস্থি ফিরেছে।

আটককৃতরা হল-, হরিপুর গ্রামের মৃত. বাদল রবি দাসের স্ত্রী রেখা রাণী, বড় ফতেপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে মোঃ আলা উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড উপজেলার উত্তর বাটের  খিল গ্রামের মৃত. হারাধন কুমার নাথের ছেলে সনজিত কুমার নাথ। সদর দক্ষিণ উপজেলার চানপুর গ্রামের পারভীন বেগম।   
  
অভিযানে মদের ওই কারখানার বিপুল পরিমাণ চোলাই মদ ধ্বংস করে দেয়া হয়। প্রায় শত বছর ধরে ওই বাড়িটিতে বাংলা মদ তৈরি করে বিক্রয় করে আসছিল। অভিযানে আটককৃত চারজনকে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হবে বলে জানিয়েছে থানার ওসি।

এদিকে বহু বছর পর মাদকের এই কারখানায় প্রশাসনের অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় নাঙ্গলকোট বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, চোলাই মদের এই কারখানা বছরের পর বছর ধরে চলে আসলেও এর বিরুদ্ধে কেউই ব্যবস্থা নেয়নি। এতে স্থানীয় অনেক যুবকই মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। এই বাড়ীটির পাশেই এ.আর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারী ডিগ্রী কলেজ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের পাশে এমন একটি মদের কারখানা বা মাদক বিক্রির হাট দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। যা অপ্রত্যাশিত। কোনভাবেই কারখানাটি বন্ধ করা যাচ্ছিল না। বারবার পুলিশ ও প্রশাসনকে জানানোর পরও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। পুলিশ, প্রশাসন, প্রভাবশালী রাজনৈতিক ও কতিপয় সাংবাদিকদের ম্যানেজ করে মাদকের এ কারখানা পরিচালিত হতো বলেও জানান ওই ব্যবসায়ী। এ অভিযানকে আমরা স্বাগত জানাই এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ও থানার ওসি মোঃ মামুন অর রশিদকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

এ ঘটনায় থানায় ওসি মোঃ মামুন অর রশিদ জানান, সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছে। এর অংশ হিসেবে নাঙ্গলকোটকে মাদকমুক্ত করতে আমরা নিয়মিত অভিযান চালাবো। মাদক বিক্রি বা সেবনের কোন ধরনের তথ্য পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।     
    
উপজেলা নির্বাহী অফিসার লামইয়া সাইফুল বলেন, সরকার মাদকের বিরুদ্ধে যে ঘোষনা দিয়েছে আমরা সেটা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। তবে আপনাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। আপনাদের সন্তানরা কোথায় যায় কি করে তা খেয়াল রাখতে হবে। এলাকায় যারা মাদক সেবন ও বিক্রির সাথে জড়িত রয়েছে তাদের তথ্য আমাদের জানাবেন। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিব।